বিপিএলে এবারের আসরে সাকিব আল হাসান রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলছেন। সাকিব আল হাসানের। রংপুর রাইডার্সের দলের এক ম্যাচে খেলেননি আর দুই ম্যাচে ব্যাটিংই করেননি। ২, ২, ০—রান এর জেরে সাকিবের পারফরম্যান্স নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা তৈরি হয়। ধারণা করা হয়—চোখের সমস্যার কারণে এই অলরাউন্ডার হোঁচট খাচ্ছে।
চোখের সমস্যা কিছুটা ভোগান্তিতে ফেললেও তা গুরুতর কোনো সমস্যা নয় বলে জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বরং চশমা পরে যতটুকু দেখা যায়, তার থেকে খালি চোখেই ভালো দেখেন বলে দাবি করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে অফফর্মের বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত সাকিব নিজেও। কারণ উদঘাটনে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়ে এই অলরাউন্ডার বলেছেন, খারাপ সময়ে সকলের সমর্থনে অভিভূত তিনি।
একইছন্দে জাতীয় দল, প্রিমিয়ার লিগ কিংবা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ, ব্যাট হাতে কোথাও যেন স্বস্তিতে নেই সাকিব আল হাসান। স্বরুপে দেখা নেই বল হাতেও। অথচ একটা সময় তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের আসন বহুদিন ধরে রেখেছিলেন ।
এবারের বিপিএলে মোটেও ছন্দে নেই বাংলাদেশের পোস্টার বয়। ৫ ম্যাচের তিনটিতে ব্যাটিং করে মাত্র ৪ রান করেছেন। উইকেট পেয়েছেন ৬টি। নিজের সঙ্গে নিজের এমন সংগ্রাম সবশেষ কবে হয়েছিল সাকিবের- তা রীতিমতো গবেষণার বিষয়। বিশ্বকাপ থেকেই চোখের সমস্যাটা ভোগালেও তা মানতে নারাজ এই অলরাউন্ডার। উল্টো মিষ্টি হাসির কথার বাণে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিককে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়েন সাকিব।
সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আল হাসান বলেন, জানি না, আমার এটা আইডিয়া নেই কখন ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আর এই যে বারবার চোখ চোখ বলতেছেন, চোখের কোনো প্রবলেম নাই। চোখ ঠিক আছে। আপনি চশমা পরে যা দেখেন আমি চশমা না পরেও এর চেয়ে ভালো দেখি। কী সমস্যা আছে খোঁজার চেষ্টা করছি এখন।
সকলের সমর্থনে নিজের খারাপ সময়েও অভিভূত এই অলরাউন্ডার। তাদের আস্থার প্রতিদানে নিঙরে দিতে চান সামর্থ্যের সবটুকু। টাইগার অলরাউন্ডার বলেন, জিনিসটা হচ্ছে জীবনে কখনও এরকম করিনি। যেকোনো একটা সাইড দিয়ে খেলতে হয়েছে এরকম কখনও হয়নি। প্রথমবার। অবশ্যই রংপুর রাইডার্সের জন্য খারাপ লাগছে তারা যে প্রত্যাশা নিয়ে আমাকে দলে নিয়েছিল তার অর্ধেক আমি করতে পারছি অর্ধেক পারছি না। তারপরও তারা যেভাবে সাপোর্ট দিচ্ছে অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হয়।
দলের বিশ্রামের দিনেও ঐচ্ছিক অনুশীলনে ব্যস্ত থাকছেন, হারানো ফর্ম ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে কাজ করছেন সাকিব আল হাসান।
/বিআরইউ