পাকিস্তানের পেসার আমের জামালের ফাইফার এবং অধিনায়ক লিটনের রানে ফেরার দিনে খুলনা টাইগার্সকে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। মিরপুর শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) আগে ব্যাট করতে নেমে ১৪৯ রানের মাঝারি পুঁজি পায় কুমিল্লা। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৭ বল বাকি থাকতেই ১১৫ রানে গুটিয়ে যায় খুলনা। আমের জামালের বিধ্বংসী বলে ৩৪ রানের জয় পায় কুমিল্লা। এই জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। প্রথম চার ম্যাচ জেতার পর টানা দুই হারে খুলনা নেমে গেল চারে।
দেড়শো রানের লক্ষ্যে এনামুল হক বিজয় ঝড়ো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন। ৩ চার, এক ছক্কায় ১২ বলে ১৯ করে আলিস আল ইসলামের সোজা বলে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান খুলনা অধিনায়ক।
তিনে নেমে আরও একবার ব্যর্থ আফিফ হোসেন। ৯ বল খুইয়ে ৫ রান করে সহজ ক্যাচে বিদায় নেন উইল জ্যাকসের বলে। আকবর আলি ক্রিজে এসেই ক্যাচ দিয়েছিলেন। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে পয়েন্টে খুশদিল শাহ ক্যাচ ফেলে দিলেও বেশি আগানো হয়নি তার। মোস্তাফিজের বলেই ফ্লাই স্লিপে ধরা দেন ৫ রান করে।
এক পাশে উইকেট পতনের স্রোতে স্ট্রাইক পাচ্ছিলেন না এভিন লুইস। স্ট্রাইক পেয়ে এক ছক্কা মেরেই থেমে যান ক্যারিবিয়ান বিস্ফোরক ব্যাটার। নবম ওভারে ১৪ বলে ১০ রান করে আমির জামালের বলে ক্যাচ তুলে দেন বাঁহাতি ওপেনার। তার বিদায়ে ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় খুলনা। বাকিটা সময়ে ম্যাচে ছিলো না কোনই উত্তাপ। খুলনার বাকি ব্যটাররা স্রেফ হারের ব্যবধান কমিয়েছেন।
দুপুরে টস জিতে ব্যাটিং বেছে ভালো শুরু পায় কুমিল্লা। আগের পাঁচ ম্যাচে স্রেফ ৩৭ রান করেছিলেন লিটন। চরম রান খরায় থাকা কুমিল্লা অধিনায়ক এদিন ফিরে পান ছন্দ। চার-ছয়ের ঝলকে পাওয়ার প্লে কাজে লাগান তিনি।
আরেক প্রান্তে রিজওয়ান ছিলেন মন্থর। ফলে লিটনের ঝড়ের পর রানের চাকা যেভাবে চলার কথা সেভাবে চলেনি। লিটন থামেন দশম ওভারে। নাসুম আহমেদের আর্ম বলে বোল্ড হয়ে ৩০ বলে ৪৫ রান করে বিদায় নেন ডানহাতি ওপেনার। খানিক পর বিদায় নেন রিজওয়ানও। ২৮ বল খুইয়ে ২১ রান করা পাকিস্তানি ব্যাটারকেও ফেরান নাসুম।
ইংলিশ ব্যাটার উইল জ্যাকস আগের রাতে দলে যোগ দিয়ে নেমেছিলেন খেলতে। সুবিধা করতে পারেননি। ২৭ বলে ২২ রান করে বিদায় নেন ওয়াসিম জুনিয়রের বলে। এদিন তাওহিদ হৃদয় ব্যাটও ছিলো নিষ্প্রভ। কুমিল্লার রান দেড়শোর কাছে যায় মূলত জাকের আলি অনিক আর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ছোট দুই ক্যামিওতে। জাকের ৮ বলে করেন ১৮, অঙ্কন ১০ রান আনেন ৫ বলে। শেষ পর্যন্ত এই পুঁজিই হয়ে যায় ম্যাচ জেতার জন্য যথেষ্ট।