কানাডার ক্রিকেট ইতিহাস অবশ্য অতোটা পুরনো না। ১৯৬৮ সালে তারা প্রথম আইসিসির সহযোগী সদস্যপদ পায়। আর ১৯৭৯ সালেই জায়গা করে নেয় বিশ্বকাপে। তবে এরপরের বিশ্বকাপ খেলতে তাদের অপেক্ষা করতে হয় ২৫ বছর। ২০০৩ সালে দ্বিতীয়বার তারা খেলে বিশ্বকাপ। এরপর তারা ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলে।
এরপর অবশ্য তাদের ক্রিকেট উল্টোরথে ছুটতে শুরু করে। সেটা অবশ্য আইসিসি তার কাঠামো পরিবর্তন করে নতুন ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগের ডিভিশন চালু করায়। একটা সময় গিয়ে তারা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি স্ট্যাটাস হারায়। ২০২৩ সালে আবার কানাডা ফিরে পায় তাদের ওয়ানডে স্ট্যাটাস। তবে আইসিসির র্যাকিংয়ে জায়গা করে নেওয়ার মতো যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। অবশেষে প্রায় এক দশক পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আইসিসির ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে জায়গা পায় কানাডা।
গেল বছর যখন পুরুষ ক্রিকেটের টিম র্যাংকিং হালনাগাদ করা হয় তখন তাদের আরও চারটি বাছাইপর্বের ম্যাচ ও ২০ রেটিং ছিল না। এরপর তারা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাসের শুরুতে নেপাল সফর করে। সেখানে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে। বর্তমানে তারা ‘আইসিসি মেন্স ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ লিগ-২’ চক্রে খেলছে।
সেখানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে খেলার মাধ্যমে তারা মোট আটটি ম্যাচ খেলার কোটা পূরণ করে এবং বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) আইসিসির ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে জায়গা করে নেয়। ওই ম্যাচে আরব আমিরাতকে তারা প্রথমে ১৯৪ রানে অলআউট করে। এরপর ৭ উইকেট হারিয়ে সেই রান ছুঁয়ে দারুণ এক জয় তুলে নেয়। আর এক দশক পর জায়গা করে নেয় র্যাংকিংয়ে। বর্তমানে র্যাংকিংয়ে কানাডা রয়েছে ২০তম স্থানে। তাদের ওপর আছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।