আমাদের ফুটবলের হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসছে। গতকালই ভুটানকে ৬-০ গোলে হারিয়েছে অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দল। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবার নজর কেড়েছে বাংলাদেশ। সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের ফুটবল। শনিবার (০৯ মার্চ ) এমন মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন।
মোহাম্মদপুর সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব-১৭) ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের (অনূর্ধ্ব-১৭) উদ্বোধন করে ক্রীড়ামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন-
ফুটবল বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। দেশের আনাচে-কানাচে সর্বত্র এ খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। সরকার ফুটবলের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্ট আয়োজন ফুটবলের উন্নয়নে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুটবলের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি নিজেই এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ করেন এবং বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। তিনি সবসময় এই টুর্নামেন্টের খোঁজখবর রাখছেন।
প্রধানমন্ত্রী ক্রীড়াপ্রেমী পরিবারের সদস্য উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জাতির পিতা নিজেও ভালো ফুটবল খেলতেন। বঙ্গবন্ধুর পিতাও ভালো ফুটবলার ছিলেন। শহীদ শেখ কামাল আধুনিক ফুটবলের রূপকার। শহীদ শেখ জামালও ছিলেন কৃতী খেলোয়াড়। প্রকৃতার্থে বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবারই অত্যন্ত খেলাপ্রেমী পরিবার। তাই প্রধানমন্ত্রী ক্রিকেট ও ফুটবল ছাড়াও সব খেলাধুলার উন্নয়নে অত্যন্ত আগ্রহী।’
এমনকি ক্রিকেট-ফুটবলেই নয়, ক্রীড়া অন্য ডিসিপ্লিনেও বাংলাদেশ আরও ভালো ফলাফল অর্জন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক (অনূর্ধ্ব-১৭) ২০২৩ সালে প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ৪৬৬৭টি দলের ৮৪০০৬ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করে। আর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে বালিকা প্রাথমিক পর্যায়ে অংশগ্রহণ করছে মোট ৫৮৪টি দলের ১০৫১২ জন খেলোয়াড়।’
বিআরইউ