ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ব্রাদার্স ইউনিয়কে হারিয়ে চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। বুধবার (২০মার্চ) ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ব্রদার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে আকাশী-নীল জার্সিধারীরা। তবে আবাহনীর এই জয়ে একটু অবাকই হওয়ার কথা। দুই ইনিংস মিলিয়ে খেলা হওয়ার কথা ১০০ ওভার। তবে সেই ১০০ ওভারের ম্যাচ শেষে হয়ে গেছে মাত্র ৩৪ ওভারে!
এতোটা সহজে আবাহনী লিমিটেড জয় পাবে তা হয়তো কেউ কল্পনাতেও ভাবেনি। সহজ জয়ের স্কোরবোর্ডটা চরম বিব্রতকর। আবাহনীর আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ১০ উইকেট হারায় ২১.৩ ওভারে। স্কোরবোর্ডে রান মাত্র ৭১। জবাবে আবাহনী লিমিটেড ম্যাচ জিতে নেয় ১২.৩ ওভারে ৮ উইকেট হাতে রেখে। তাতে ৩৪ ওভারেই লিখা হয়ে হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য। আবাহনীর জয়ের নায়ক স্পিনার তানভীর ইসলাম। বাঁহাতি স্পিনার মাত্র ৬ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৭ রানে নেন ৫ উইকেট। তার ৬ ওভারের ৩টিই ছিল মেডেন। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন এই বোলার।
ব্রাদার্সের ওপেনার রহমানউল্লাহ আলী বাদে দলের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেননি। রহমানউল্লাহ ২৯ বলে ৩৫ রান করেন ৩টি করে চার ও ছক্কায়। বাকিরা ছিলেন আশা-যাওয়ার মধ্যে। তানভীরের ফাইফার বাদে ২টি করে উইকেট নেন আল ফাহাদ ও রাকিবুল হাসান। ১ উইকেট নেন নাহিদুল ইসলাম। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আবাহনী লিমিটেড হারায় সাব্বির হোসেন (২) ও নাঈম শেখের উইকেট (৩০)। এনামুল হক বিজয় ৭ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব ২৩ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
স্কোরবোর্ড চরম বিব্রতকর হলেও এই ম্যাচে কোনো রেকর্ড হয়নি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এর চেয়ে কম রানের দলীয় পুঁজি রয়েছে। আবাহনী লিমিটেডের কাছেই ৩৫ রানে অলআউটের রেকর্ড আছে ক্রিকেট কোচিং স্কুলের। বলের হিসেবে সবচেয়ে বড় জয়ও আসেনি। আবাহনী জিতেছে ২২৫ বল হাতে রেখে। ২০১৭ সালে ফতুল্লাতেই ঢাকা লিগের ম্যাচে ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব মাত্র ৪৬ রানে অলআউট হয়েছিল।
রান তাড়ায় খেলাঘর ম্যাচ জিতে যায় ২৪৪ বল হাতে রেখে। যা বলের হিসেবে সবচেয়ে বড় জয়। গতকাল সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডও হয়নি। ২০১৮ সালে পেসার ইয়াসিন আরাফাত মিশু ৪০ রানে পেয়েছিলেন ৮ উইকেট। তানভীর ৭ রানে পেয়েছেন ৫ উইকেট। টানা চার জয়ে আবাহনী পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থান মজবুত রাখল। অন্যদিকে ব্রাদার্স চার ম্যাচ খেলে জয়ের খাতা খুলতে পারেনি।