২০২৩ সালের মার্চে অলিম্পিক বাছাই খেলতে মিয়ানমারে খেলতে যেতে পারেনি বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সেই সফর বাতিল করায় উত্তাল হয়েছিল পুরো ক্রীড়াঙ্গন। বছর ঘুরে আবার সেই মার্চেই নারী দল মিয়ানমার পাঠানোর পরিকল্পনা করছে বাফুফে। ১ থেকে ৯ এপ্রিল নারী ফিফা উইন্ডো। এই সময় বাফুফে দেশেই দুটি ম্যাচ খেলতে চেয়েছিল। রমজানের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ আসতে রাজি হয়নি। তাই মিয়ানমারে গিয়ে খেলার পরিকল্পনা করছে বাফুফে। মিয়ানমার ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে দুটি ম্যাচ খেলার ও আয়োজনের সম্মতি দিয়েছে। বাংলাদেশ অবশ্য এখনো চূড়ান্ত স্বীকৃতি দেয়নি।
মিয়ানমারে রাজনৈতিক অস্থিরতা রয়েছে। আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি রোহিঙ্গা ও সীমান্ত ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি খানিকটা উষ্ণ। তাই নারী দলের মিয়ানমার সফর নিশ্চিত করার আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর চিঠি দিয়েছে বাফুফে। বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমার ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে বাফুফের আলোচনা ইতিবাচক। বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পেলেই বাকি আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।
নারী-পুরুষ ফুটবল দল বছরে অনেক দেশেই যাতায়াত করে। সে সকল ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে না ফুটবল ফেডারেশন। মিয়ানমারের পরিস্থিতি একটু ভিন্ন রকম বিধায় বাফুফে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা নিয়েই এগুতে চায়। মিয়ানমার ফুটবল ফেডারেশন বাংলাদেশ দলকে অন অ্যারাইভাল ভিসার নিশ্চয়তা দিয়েছে। তাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারে দল প্রেরণের সবুজ সংকেত দিলে বিমান টিকিট নিশ্চিত করবে বাফুফে।
মিয়ানমারে সাবিনাদের কোচ হিসেবে ডাগ আউটে দাড়ানোর সম্ভাবনা বেশি বৃটিশ বাটলারের। সাইফুল বারী টিটু বয়স ভিত্তিক দল নিয়ে অনুশীলনের সময় বাটলার সিনিয়র দলকে অনুশীলন করিয়েছেন। বাফুফের এলিট একাডেমীর কোচ হয়ে আসা বাটলার অবশ্য ইতোপূর্বে লাইবেরিয়াসহ বেশ কয়েকটি জাতীয় দলের হেড কোচের দায়িত্বে ছিলেন।