হাফ-সেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে পারলেন না তামিম ইকবাল। অন্যদিকে জিতেই চলেছে আবাহনী। জয় পেয়েছে সাকিবের শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবও। রোববার (২৪মার্চ) ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। আগে ব্যাটিং করে ১৮১ রান সংগ্রহ প্রাইম ব্যাংক। জবাবে ২১ হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় গাজী গ্রুপ।
এদিন শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালে পুঁজিটা বড় করতে পারেনি প্রাইম ব্যাংক। ওপেনার তামিমের ফিফটি ও লেট অর্ডারে ব্যাটিং করা অলক কাপালীর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সাদামাটা পুঁজি পায় দলটি। তামিম ৮৮ বলে ৬টির সাহায্যে খেলেন ৫৪ রানের ইনিংস। ৪৪ বলে সমান ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৪৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন কাপালী। গাজী গ্রুপের আব্দুল গাফফার ২৪ রানে নিয়েছেন চারটি উইকেট। শেখ পারভেজ জীবন ও মঈন খান নেন দুটি করে উইকেট।
জবাবে দলীয় ৪৭ রানে তিন উইকেট হারালেও সাব্বির হোসেন শিকদারের ব্যাটে জয় পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি তাদের। ৮৩ বলে ৮টি চারের সাহায্যে ৬৪ রান করে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন। এছাড়া মাহফুজুর রাব্বি ২৮ ও প্রীতম কুমার ২৬ রানের ইনিংস খেলেন। সাভারের বিকেএসপিতে সিটি ক্লাবকে ৫২ রানে হারিয়েছে আবাহনী। প্রথমে ব্যাটিং করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৭ রান সংগ্রহ করে তারা। জবাবে ১৬৫ রানে অলআউট হয় সিটি ক্লাব। ২০ রানের খরচায় ৩ উইকেট নিয়ে আবাহনীর জয়ের নায়ক সাইফউদ্দিন। এছাড়া অফস্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন নেন তিনটি উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ ও নাহিদুল ইসলাম।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে এদিন ও ব্যর্থ জাতীয় দলের ওপেনার এনামুল হক বিজয় (১১)। মোহাম্মদ নাঈম শেখ ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন। আফিফ হোসেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। ৮৩ বলে ১টি চার ও ৩ ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংসটি। বিকেএসপিতে দিনের অপর ম্যাচে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। আগে ব্যাটিং করে শেখ জামালকে ২২৯ রানের লক্ষ্য দেয় রূপগঞ্জ টাইগার্স।
জবাবে সাইফ হাসান ও ফজলে মাহমুদ রাব্বির জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ৩৩ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে শেখ জামাল। ৮৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর সপ্তম উইকেটে ৯৮ রানের জুটি গড়েন রূপগঞ্জ টাইগার্সের আব্দুল্লাহ আল গালিব ও সালমান হোসেন ইমন। ৮৭ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন সালমান। গালিব খেলেন ৫১ রানের ইনিংস। জবাবে শুরুতে সৈকত আলীকে হারালে দ্বিতীয় উইকেটে সাকিব আল হাসান ও সাইফ হাসান মিলে ৯৪ রানের জুটি গড়নে। সাকিব ৩৪ রানে আউট হলেও সাইফ তুলে হাফসেঞ্চুরি। ৬৯ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬৯ রান করেন তিনি। ৮৩ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন ফজলে রাব্বি। অন্যদিকে ইয়াসির ৫০ বলে ৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন।