সিলেট টেস্ট বড় ব্যবধানেই হারতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এটি প্রায় নিশ্চিত। তবে লড়াইটা তো অন্তত করতে হবে। সেই বোধ থেকে একাই লড়ছেন মুমিনুল হক। বাঁহাতি এই ব্যাটারের লক্ষ্য, হারের ব্যবধান কমানো। সেই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ফিফটির কাছাকাছি চলে গেছেন মুমিনুল।
৩৮ ওভারের খেলা শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান করে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর দল এখনো পিছিয়ে আছে ৩৮২ রান। মুমিনুল অপরাজিত আছেন ৪৬ রানে। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন শরিফুল ইসলাম ৩ রান নিয়ে।
লঙ্কানদের দেওয়া ৫১১ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় মাঠে নেমে দৃষ্টিকটু ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটে ৪৭ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। আজ চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নেমেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
দিনের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই কাসুন রাজিথার বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন তাইজুল ইসলাম। ১৫ বলে ৬ রান করে ফেরেন তিনি।
এরপর মুমিনুলের সঙ্গে ৬৬ রানের জুটি করে বাংলাদেশকে অস্বস্তির মধ্যেও কিছুটা স্বস্তি এনে দেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৫০ বলে ৩৩ রান করে রাজিথার বলে ধনঞ্চয়া ডি সিলভার হাতে স্লিপে ক্যাচ হন তিনি।
এর আগে গতকাল রোববার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৯ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় এবং অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। জয়ের আউটটা তবু মানা যায়। বিশ্ব ফার্নান্ডোর বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েছেন এই ওপেনার (০)। রিভিউ নিয়েও কাজ হয়নি।
তবে অধিনায়ক শান্ত যেভাবে আউট হলেন, সেটাকে দায়িত্বজ্ঞানহীনতা বলতে হবে এক কথায়। কাসুন রাজিথার অফস্টাম্পের অনেক বাইরে বলে ড্রাইভ খেলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে আসেন শান্ত (৬)।
অধিনায়কের দেখানো পথ ধরে জাকির হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপুরা দ্রুতই ফিরেছেন। জাকির আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলছিলেন, তবে সেই আত্মবিশ্বাসী ইনিংসটা থেমেছে ১৯ রানেই। লাহিরুর কুমারার বলে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জাকির।
শাহাদাত হোসেন দিপুও সুইংয়ে বিভ্রান্ত। বিশ্ব ফার্নান্ডের বলে ব্যাট ছুঁইয়ে দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন শূন্য করেই। ঠিক পরের বলেই লিটন দাস যেভাবে খেললেন, চোখ কপালে ওঠার মতো।
দলের বিপর্যয়ে হাল ধরবেন কি, ডাউন দ্য উইকেটে ছক্কা হাঁকাতে গিয়েছিলেন লিটন। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে, বল সোজা উঠে যায় আকাশে। সহজ ক্যাচ নেন ম্যাথিউস। গোল্ডেন ডাক লিটনের। ৩৭ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এইচআর