লিওনেল মেসি এসেছিলেন দলের হয়ে প্রথম পেনাল্টি নিতে। গোলরক্ষক আলেকজান্ডার ডমিঙ্গেজকে ভুল পথে পাঠিয়েছিলেন বটে। কিন্তু তার প্যানেককা শট বারপোস্টে লেগে চলে যায় ওপরে। কিন্তু পেনাল্টিতে আর্জেন্টিনার ত্রাতা হয়েছিলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
শুক্রবার টেক্সাসের হিউস্টনের এনআরজি স্টেডিয়ামে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও প্রথম আক্রমণ ইকুয়েডরই করে। ম্যাচের ১৫তম মিনিটে ময়েসেজ কালসেডোর বাড়ানো পাসে জেরেমি সারমিয়েন্তোর শট রুখে দেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
তবে শুরু থেকে বেশ অগোছানো আর্জেন্টিনা ম্যাচের ২৭তম মিনিটে প্রথম আক্রমণ শাণায়। লাহুয়েল মলিনার ক্রসে হেড দিয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি এনজো ফার্নান্দেজ।
ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে মেসির পাস থেকে শট নিয়েছিলেন এনজো।
এরপর ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন লিসান্দ্রো। কর্নার থেকে মেসির উড়িয়ে দেওয়া বল ডি-বক্সের ভেতরেই মাথা ছুঁইয়ে দিক বদলে দেন ম্যাক অ্যালিস্টার। সেখান থেকে নিখুঁত স্পর্শে জাল খুঁজে নেন লিসান্দ্রো। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলে ১-০ ব্যবধানের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
বিরতি থেকে ফিরে জয়ের বন্দরেই ছিল আকাশি-নীল শিবির। তবে ইনজুরি টাইমে দুর্দান্ত এক হেডে ইকুয়েডরকে সমতায় ফেরান কেভিন রদ্রিগেজ। এতে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ।
তবে ম্যাচ আরও আগেই জমিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ইকুয়েডর। দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েও পারেনি তারা।
এবারের আসরে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট না থাকায় সরাসরি টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। সেখানে প্রথম শটই মিস করেন মেসি। অন্যদিকে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক লওতারো মার্টিনেজ প্রতিপক্ষের পরপর দুটি শট রুখে দেন। মেসির ভুলের দিনে নায়ক বনে যান তিনি। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালে উঠল আর্জেন্টিনা ।
ইএইচ