‘আয়ের ভাগ চাই, না হলে পরেরবার থাকব না’, বিপিএলের সর্বশেষ আসর শুরুর আগেই এমন হুংকার ছেড়ে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিক নাফিসা কামাল। অথচ পরের আসরের আয়োজন নিয়ে সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু হয়ে যেতেই তাঁকে আলোচনা করার জন্যও আর খুঁজে পাচ্ছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
তাতে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দল কুমিল্লার আসন্ন বিপিএলে অংশ নেওয়া নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বদলে যাওয়া প্রেক্ষাপটই এর কারণ।
সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কন্যা নাফিসা এরই মধ্যে দেশ ছেড়েছেন বলে খবর। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে বিসিবি। তাই কুমিল্লাকে ছাড়াই পরিকল্পনা সাজাচ্ছে তারা।
এদিকে আবার বদলে যাচ্ছে ঢাকা ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানাও।
ছাত্র আন্দোলন শুরুর আগেই নিউটেক্স গ্রুপ জানিয়ে দেয়, পরের বিপিএলে তারা অংশ নেবে না। নতুন মালিক হিসেবে তাই ওয়ালটনের কসমেটিকস ব্র্যান্ড রিমার্ক-হারল্যানকে সুযোগ দিয়েছে বিসিবি। দলটির মালিকানায় যুক্ত আছেন নায়ক শাকিব খান। এরই মধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফির দেড় কোটি টাকাও বিসিবিতে জমা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
নতুন এই ফ্র্যাঞ্চাইজি চাইলে দুর্দান্ত ঢাকা নামেই অংশ নিতে পারবে, আবার সুযোগ পাবে নাম বদলেরও।
বদল আসছে ব্যবস্থাপনায়ও। কারণ বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের প্রধান শেখ সোহেল ও সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক গাঢাকা দিয়েছেন। সঙ্গে দেশের চলমান পরিস্থিতি বিচারে এবারের বিপিএল আলোর মুখ দেখবে কি না, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। বোর্ডের একটি সূত্র অবশ্য গতকাল শুনিয়েছে আশার কথাই, ‘বিপিএল শুরু হতে আরো চার মাসের বেশি সময় বাকি।
কুমিল্লা ছাড়া মালিকানা বদলে আসা ঢাকার সঙ্গে থাকার কথা আগের সব ফ্র্যাঞ্চাইজিরই। শঙ্কা থাকলেও সিলেট স্ট্রাইকার্স থেকে যাচ্ছে। তবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স এবং বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল শুধুই মৌখিক সম্মতি জানিয়ে রেখেছে। এ জন্য আরো দুটি নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গেও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বিসিবি। তবে পিছিয়ে যাচ্ছে বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট। শুরু নয়, সেটি হবে সেপ্টেম্বর মাসের শেষে। বিপিএলের সূচি ধরা হয়েছে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
বিআরইউ