দেশের প্রথম স্পোর্টস ইনস্টিটিউট তৈরির ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার

ক্রীড়া ডেস্ক : প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৪, ০৩:৫৮ পিএম
দেশের প্রথম স্পোর্টস ইনস্টিটিউট তৈরির ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার

বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের মানোন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্যে পাওয়ার লক্ষ্যে স্পোর্টস ইনস্টিটিউট তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

রোববার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। ‘বাংলাদেশ স্পোর্টস ইনস্টিটিউট, নামে যাত্রা শুরু হবে এই প্রতিষ্ঠানের।

খেলোয়াড়দের বিজ্ঞানসম্মত সুযোগ-সুবিধা, ক্রীড়া ক্ষেত্রে সামগ্রিক সফলতা অর্জন, ক্রীড়াবিদদের শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্রীড়া কৌশল ও নেতৃত্ব গুণের উন্নয়নের লক্ষ্যে এই ইনস্টিটিউটের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

খেলাধুলায় বিজ্ঞান কাজে লাগিয়ে যেসব দেশ সাফল্য পাচ্ছে, তাদের মতো সাফল্যের আশা করা হচ্ছে। এ নিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ক্রীড়াবিদ তৈরি, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উঁচু মানের ফলাফলের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের খ্যাতনামা স্পোর্টস প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করবে। এ ছাড়া বিশেষায়িত স্পোর্টস সেবা এবং অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে। যুক্তরাজ্য, চীন, জাপান, ফ্রান্সের মতো দেশগুলো স্পোর্টস সায়েন্সের সুযোগ কাজে লাগিয়ে যে ফলাফল পেয়েছে সেটা নিশ্চিকরণের জন্য এই ইনস্টিটিউট তৈরি করা হবে।’

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) স্পোর্টস সায়েন্স ইনস্টিটিউট রয়েছে। সেটার মানোন্নয়ন না করে একেবারে নতুন একটি ইনস্টিটিউট কেন? প্রশ্নের জবাবে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেছেন, ‍‍`আমি যত দূর জানি, বিকেএসপিতে যেটা আছে সেটা তেমন সক্রিয় না। সেটা সক্রিয় করা হবে এবং এর বাইরে আরো কী কী সংযোজন করা যায় সেসব নিয়েই নতুন ইনস্টিটিউট হবে।‍‍` বিকেএসপিতে এইচএসসি পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থা রয়েছে।

এরপর আর কোনো খেলোয়াড় সেখানে শিক্ষা বা প্রশিক্ষণের সুযোগ পায় না। কিন্তু একজন খেলোয়াড় যখন পারফরম্যান্সের চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকে তখনো যেন প্রশিক্ষণ নিতে পারে, সেই ভাবনা থেকেই এই ইনস্টিটিউট। আসিফ মাহমুদ আরো বলেছেন, ‘বিকেএসপিতে তো এইচএসসি পর্যন্ত পড়াশোনার ব্যবস্থা আছে। সেখানে প্রাথমিক প্রশিক্ষণের সুযোগ পায়। কিন্তু পারফরম্যান্সের চূড়ান্ত পর্যায়ের জায়গায় আমাদের দুর্বলতা আছে।

যার জন্য আমাদের নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান নেই। যে কারণে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যখন আমাদের ক্রীড়াবিদরা যান তখন অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারি না। ব্যর্থ হই। সে সময় ক্রীড়াবিদদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য স্পোর্টস ইনস্টিটিউটের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিকল্প কর্মসংস্থান, সেগুলোর জন্য প্রশিক্ষণের জন্য এই প্রকল্প।’

এই ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণে কারা বা কতজন সুযোগ পাবে তা এখনো চূড়ান্ত করেনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। শিগগিরই একটি কমিটি গড়ে সবকিছু চূড়ান্ত করা হবে। জানালেন উপদেষ্টা। ‘প্রাথমিক ঘোষণা আজ দিলাম। আমরা একটা কমিটি গড়ব। কার্যক্ষেত্র এখানে কী হবে এবং কারা এখানে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবে সেটা তারা ঠিক করবে।’

কারা প্রশিক্ষণ দেবেন এখানে? উপদেষ্টা জানালেন, ‘আমরা বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমেই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব। দেশে সে রকম কাউকে না পেলে বিদেশ থেকে আমরা বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষক নিয়ে আসব।’

বিআরইউ