শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে জয় হাতছাড়া কিংবা ম্যাচ হারার সংস্কৃতিতে যেন আবার ফিরে এসেছে বাংলাদেশ। এ মাসের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় দল থিম্পুতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজ ১-১ গোলে ড্র করেছিল দ্বিতীয় ম্যাচে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে । ড্রয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়া ম্যাচ বাংলাদেশ হেরেছিল ইনজুরি সময়ে গোল খেয়ে।
ভুটানে চলমান সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছেও ইনজুরি সময়ে গোল খেয়ে হেরেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে ড্র করেছে ৮০ মিনিটে গোল খেয়ে। সোমবার অনূর্ধ্ব-২০ দলও অন্যদের পথে হেঁটে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে ২-২ গোলে ড্র করেছে গুয়ামের বিপক্ষে।
ভিয়েতনামে চলমান এএফসি এশিয়ান কাপ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ে প্রথম ম্যাচে সিরিয়ার কাছে ৪-০ গোলে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা ছিল সবার। ২-১ গোলে লিড নিয়েও ম্যাচ ড্র করে মাঠ ছেড়েছে মারুফুল হকের দল।
ষষ্ঠ মিনিটে রাজু আহমেদ জিশানের চমৎকার ক্রসে পা ছুঁইয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন নেপালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সর্বোচ্চ গোলদাতা মিরাজুল ইসলাম। ১-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ গোলের সুযোগও তৈরি করেছিল কয়েকবার।
৭৫ মিনিটে গুয়ামের কর্টিস হারমন ডান প্রান্ত থেকে বক্সে একটি ক্রস ফেললে সেটি বিপদমুক্ত করতে গিয়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক ও মিডফিল্ডার আশরাফুল হক আসিফের হাতে বল লাগে। পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান গুয়াম মিডফিল্ডার সুনতারো সুজুকি।
৮৭ মিনিটে গুয়ামের রক্ষণের ভুলে আবার এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। গুয়ামের বক্সের মধ্যে বল কেড়ে নিয়ে ২-১ করেন বদলি ফরোয়ার্ড মইনুল ইসলাম।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর ম্যাচের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে ঢুকে শট নেন গুয়াম ফরোয়ার্ড কার্টিস হারমন। সেটি ঠেকাতে পারেননি বাংলাদেশের গোলকিপার ইসমাইল মাহিন। অমনোযোগী রক্ষণভাগের কারণে গোল খেয়ে জয় হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের।
আরএস