পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে আগামী ১০ জুলাই। এ বছর সারা দেশে চার হাজার ৪৬০টি পশুর হাট বসবে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে কোরবানির জন্য ততই উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে পছন্দের পশু খুঁজে পেতে তৎপরতা বাড়ছে।
অনলাইন-অফলাইন হাটে চলছে কোরবানির পশুর খোঁজ। সংবাদমাধ্যমে একে একে উঠে আসছে দৃষ্টিনন্দন কোরবানির গরুর তথ্য। চলুন জানা যাক, তেমনই সাতটি গরুর দাম ও অন্যান্য তথ্য।
১. বরিশালে বাজারে ‘তুফান’ : গরুর নাম রাখা হয়েছে ‘তুফান’। তার চেহারা ও চালচলনে আছে রাজকীয় ভাব। ভাব হবে না-ইবা কেন? তার পরিচর্যায় নিয়োজিত তিন-তিনজন ব্যক্তি। তুফানের মালিক বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রানীরহাটের ইমদাদুল হক রায়হান। তিনি বলেন, ২৫ মণ ওজনের গরুটির উচ্চতা ছয় ফুট। সাদা-কালো রংয়ের গরুটির দাম চাওয়া হবে ১০ লাখ টাকা।
২. খুলনার ‘চিতা পাহাড়’ : খুলনার তেরখাদা উপজেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে বিশালাকৃতির একটি গরু। এর মালিক গরুটির নাম দিয়েছেন ‘চিতা পাহাড়’। আসন্ন ঈদের আগে ১০ লাখ টাকায় গরুটি বিক্রি করতে চান তিনি। চিতা পাহাড়ের বয়স প্রায় পাঁচ বছর এবং এটি ৯ ফুট লম্বা। ফ্রিজিয়ান ক্রস জাতের গরুটির ওজন হবে প্রায় ৩৬ মণ।
৩. দিনাজপুরের ‘রাজা’র দাম ১২ লাখ টাকা : কোরবানি ঈদ উপলক্ষে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার অন্যতম আকর্ষণ ‘দিনাজপুরের রাজা’। ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড়ের দাম হাঁকা হয়েছে ১২ লাখ টাকা। প্রায় ১২০০ কেজি ওজনের ‘দিনাজপুরের রাজা’ নামের এই বিশাল ষাঁড়টির গায়ের রঙ সাদাকালো মিশ্রিত। গরুটিকে প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে আদরে-যত্নে লালন-পালন করে আসছেন মো. গোলাম মোস্তফা ও তার পরিবার।
৪. ‘বাহুবলী’র দাম ১২ লাখ টাকা : আব্দুল আজিজ পেশায় একজন কৃষক। ছোট বেলা থেকেই শখ করে পশু পালন করেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় তার পালন করা একটি গরুর ওজন দাঁড়িয়েছে প্রায় এক হাজার ২৫০ কেজি। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্বদেলুয়া গ্রামের এই কৃষক গরুটির নাম রেখেছেন তেলুগু ভাষার জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ‘বাহুবলী’র নামে। ‘বাহুবলী’ বিক্রির জন্য আব্দুল আজিজ দাম হাকাচ্ছেন ১২ লাখ টাকা।
৫. ‘কিং অব কুড়িগ্রাম’ : কুড়িগ্রামের চাকিরপশার ইউনিয়নের খামারি পারুল বেগম। এবার কোরবানির ঈদের বাজারে প্রায় হাজার কেজি ওজনের একটি গরু তুলবেন তিনি। গরুটির নাম রেখেছেন ‘কিং অব কুড়িগ্রাম’। গরুটি ১৫ লাখ টাকায় বিক্রির আশা করছেন পারুল।
৬. ‘স্বপ্নরাজ’-এর ওজন ৩৬ মণ : নাম তার ‘স্বপ্নরাজ’। তিনবেলা ১৭ থেকে ১৮ কেজি স্বাভাবিক সুষম খাবারের পাশাপাশি নাস্তা হিসেবে আপেল, কলা, আঙুরসহ বিভিন্ন ফলমূল তার খুব পছন্দ। সাদা-কালো ডোরাকাটা ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় গরুটির ওজন আনুমানিক ৩৬ মণ। পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বাঘইল মধ্যপাড়া গ্রামের খামারি মোজাম্মেল হক বাবু দম্পতি তাদের এই গরুর দাম হাঁকছেন ২০ লাখ টাকা।
৭. ঝিনাইদহের ‘দাদারাজ’, দাম ২৫ লাখ টাকা : ঝিনাইদহের শৈলকুপার ‘দাদারাজে’র দাম চাওয়া হয়েছে ২৫ লাখ টাকা। গরুটির ওজন ৪০ মণ। ফ্রিজিয়ান জাতের এ গরুর মালিক শৈলকুপার ভগবান নগর গ্রামের ব্রাদার্স এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী ফিরোজ আহম্মেদ।