গল্পটা ভালোবাসার, সেই ভালোবাসায় প্রেমিক শুধু প্রেমিকাকে চেনে আর জানে শুধু একটা কবিতা। কাজল চোখের মেয়ে আমার দিবস কাটে বিবশ হয়ে তোমার চোখে চেয়ে। সহজ-সরল অ্যাসপারগার সিনড্রোম রোগে আক্রান্ত ছেলেটার ভালোবাসায় হারিয়ে গেছে, ভালোবাসার মানুষটাকে খুঁজতে গিয়ে ছেলেটি একের পর এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়।
ঠিক এমনই এক কাহিনি নিয়ে নির্মিত হয়েছে শিহাব শাহীনের তুমুল আলোচিত ওয়েব সিরিজ সিন্ডিকেট। ঈদের দিন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তির পর থেকেই সিরিজটি নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন নির্মাতা। গল্পের প্লট, নিশো-ফারিন আর নাজিফা তুষির রহস্যময় এ চরিত্রকে সঠিকভাবেই ব্যবহার করেছেন নির্মাতা।
নির্মাতা জানালেন এই সিরিজ তৈরির পেছনের গল্প। নির্মাতা শাহীন বলেন, মরীচিকার আগে থেকেই এ সিরিজটি নিয়ে পরিকল্পনা ছিল। আর এ চরিত্রের জন্য নিশোকে আগে থেকেই ভেবে রাখা হয়েছিল। সবাই অনেক রকমের নায়ক দেখেছেন, কিন্তু নিশোর মতো এ রকম নায়ক এই সিরিজে প্রথমবারের মতো দেখবেন। সবাই যার যার চরিত্র থেকে যথার্থ দিয়েছেন।
মুক্তির পরই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির ইতিহাসে প্রথম দিনেই ভিউ পাওয়ার ক্ষেত্রে ‘সিন্ডিকেট’ তৈরি করেছে নতুন রেকর্ড! বাংলা ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য সিরিজের জন্য এটা নতুন উন্মোচন জানালেন শিহাব শাহীন।
তিনি বলেন, ‘বাংলা ওটিটি প্ল্যাটফর্মের ভালো কিছুই আমরা চাই। এ রেকর্ড আমাদের জন্য অনেক বড় অ্যাচিভমেন্ট।’ ‘সিন্ডিকেট’-এর মূল চমক ছিল আফরান নিশোকে ঘিরে। নিশোকে আগে এভাবে তেমন কোনো চরিত্রে দেখা যায়নি। মাথায় ছোট চুল, খোঁচা খোঁচা দাড়ি। চোখ দুটি ঘোলাটে। কখনো প্রেমের গল্পের নায়ক, কখনো স্বল্পভাষী রহস্যময়ী হয়ে ধরা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে চরিত্রটি আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র করে প্রায়ই আলোচনায় থাকেন ভার্সেটাইল এই অভিনেতা।