জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই পাঁচ মাসকে ধরা হয় ইলিশের ভরা মৌসুম। এ সময়ে বাজার ইলিশে সয়লাব থাকে। তাই অন্যান্য সময়ের তুলনায় দামও থাকে কম। বেচাবিক্রিও হয় বেশি। কিন্তু এ বছরের চিত্র ভিন্ন। এখনো দাম বেশি হওয়ায় ‘ইলিশের বাড়ি’ খ্যাত চাঁদপুরের বাজারে এসে হতাশ ক্রেতারা।
ঢাকা থেকে চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছের আড়তে ইলিশ কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁদপুরের ইলিশ অনেক সুস্বাদু। তাই এখান থেকে তাজা ইলিশ নিতে এসেছিলাম। কিন্তু এখানে মাছের দাম অনেক বেশি মনে হচ্ছে।’
কুমিল্লা থেকে আসা হাসান মাহমুদ বলেন, ‘হাতিয়া, ভোলা, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদপুরে ইলিশ আসে। তাই আমরা কয়েক বন্ধু মিলে আজ ইলিশ মাছ কিনতে এসেছি। ভেবেছিলাম সস্তায় মাছ কিনতে পারব। কিন্তু দাম বেশি। তারপরও কিছু মাছ নিয়েছি।’
চাঁদপুর বড় স্টেশন মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শবেবরাত সরকার বলেন, ‘স্থানীয় নদী অঞ্চলে ইলিশ তেমন পাওয়া যাচ্ছে না।
তবে গত সপ্তাহে দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা ইলিশের আমদানি একটু ভালো ছিল। কিন্তু আজ আবার মাছের আমদানি কমে গেছে। এদিন সর্বসাকুল্যে প্রায় ৪০০ মণ ইলিশ বাজারে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘ছোট সাইজের ইলিশ প্রতি কেজি ৫০০-৫৫০, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ এক হাজার টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ টাকা দরে। গত দুই সপ্তাহে ইলিশের আমদানি ওঠানামা করলেও দামে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।’
এ আড়তদার আরও বলেন, ‘গত সপ্তাহে ইলিশের দাম যেমন ছিল এখনো তেমনই আছে। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই ইলিশের আমদানি আরও বাড়বে।’
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান দাবি করেন, বাজারে ইলিশের পর্যাপ্ত আমদানি রয়েছে। প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার মণ ইলিশের আমদানি হচ্ছে।