টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স আশানুরূপ নয়। তবে ওয়ানডে ফরম্যাটে পাওয়া জয়গুলো দিয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসেন বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু এবার দুর্বল জিম্বাবুয়ের সফরে গিয়ে সেটিও করা গেল না। উচ্ছ্বাস তো দূরের কথা; টানা দুই ম্যাচ হেরে এখন ওয়ানডে সিরিজেও হোয়াইওয়াশ হওয়ার শঙ্কায় ভুগতে হচ্ছে।
বিষয়টিতে হতাশার সঙ্গে ক্ষোভ যুক্ত হয় একাকার। তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দলের সমালোচনা চলছে এখন। তবে দুই ম্যাচ দেখেই ওয়ানডে দলের সমালোচনা করা ঠিক হবে না বলে মনে করেন টাইগারদের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
তার মতে, এই সিরিজের ভুল শোধরানোর দিকেই মনোযোগ দিয়ে সামনে ভালো ফলের প্রত্যাশা করাটাই কাম্য। গত রোববার জিম্বাবুয়ের কাছে দ্বিতীয় ম্যাচে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন ডমিঙ্গো।
সেখানে তিনি বলেন, ‘গত দুদিনের পারফরম্যান্সে ওয়ানডে দলকে সমালোচনা করা কঠিন। বিশেষ করে গত কয়েক বছরে তারা যেমন খেলছে। তবে অনেক কাজ করার বাকি। তারা চারটি সেঞ্চুরি করেছে, আমরা একটিও করিনি। কোচিং স্টাফের সদস্য এবং দলের সবাই বড় শিক্ষা পেয়েছে। বিশ্বকাপ আসছে। ভাগ্যক্রমে এসব ম্যাচে পয়েন্ট নেই।’
হারলেও দুই ম্যাচেই জিম্বাবুয়েকে চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। সে কথাই মনে করিয়ে দিতে চান ডমিঙ্গো। যদিও দুই ম্যাচেই একই ভুল করায় সেই চাপ উতরে গিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় জিম্বাবুয়ে। সেই বিষয়টিই পোড়াচ্ছে টাইগার হেড কোচকে। তিনি বলেন, ‘দুটি ম্যাচেই জিম্বাবুয়ে একসময় ৬০/৩, ৪০/৪ ছিল।
চাপ অব্যাহত রাখতে পারেনি ছেলেরা। বেশি আলগা বল করে ফেলেছে, ভুল ফিল্ডিংয়ে বল করেছে। ভুল অপশন বেছে নিয়েছে। বলতে গেলে আমাদের ছেলেরা পরিশ্রমে কোনো ত্রুটি রাখছে না। কিন্তু ভুল থেকে শিক্ষা নিতে পারছে না। এটিই সবচেয়ে হতাশাজনক। এমন হলে ভালো দল আপনাকে শাস্তি দেবেই।’ এরপরও সিরিজ হারে কোনো অজুহাত দাঁড় করাতে চান না ডমিঙ্গো। তার মতে, ঘরের মাঠে দারুণ ব্যাট করেছে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশি বোলাররা ব্যর্থ হয়েছে।
ডমিঙ্গো বলেন, ‘কোনো অজুহাত দিতে চাই না। জিম্বাবুয়েকে কৃতিত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে সিকান্দার রাজাকে। দুটি দারুণ ইনিংস খেলেছে চাপের মুখে। গতকাল হয়তো ২০ রান কম করেছি। আজও ২০ রানের মতো কম করেছি। আর বিকালে এমন স্কোর ডিফেন্ড করা খুবই কঠিন।’