বিশ্বব্যাপী জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে, এমন অজুহাতে একের পর এক পণ্যের দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানি। কখনো তেল, কখনো চাল, কখনো মুরগি, কখনো ডিম। এছাড়া শাক-সবজি তো রয়েছেই। এরই ধারাবাহিকতায় এবার বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রসাধনী পণ্যের দামও। সাবান, শ্যাম্পু, টুথপেস্ট, পারফিউম ও বিভিন্ন টয়লেট্রিজ পণ্যের দাম বাড়িয়েছে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। এমনকি কোনো কোনো পণ্যের মূল্য ৮৭ থেকে ১২৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এরপরও লোকসানের গল্প শোনাচ্ছে কোম্পানিগুলো। ক্ষোভ প্রকাশ ছাড়া কিছুই করার থাকছে না অসহায় সাধারণ জনগণের।
তারা বলছেন, কর্পোরেট মাফিয়াদের দাপটে কোণঠাসা সবাই, তাই হয়তো সরকার কঠোর হতে পারছে না। কিছুদিন আগে কারণ ছাড়াই বেড়েছে ডিম-মুরগির দাম। তারও আগে চলেছে ভোজ্যতেল ও চালের বাজারে কারসাজি। অসাধু কিছু ব্যবসায়ীর কারণে বারবার দুর্ভোগে পড়ছে দেশের প্রায় ৪২ ভাগ নিম্ন আয়ের মানুষ। আইনের তোয়াক্কা না করে বছরের পর বছর তারা নিজেদের ইচ্ছেমতো পণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন এবং কমাচ্ছেন। কারসাজি চক্রের লাগাম টানতে সরকার মাঝেমধ্যেই অভিযানসহ নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। তবুও থেমে নেই অসাধু চক্রের দাপট।
এদিকে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে প্রকৃত ব্যবসায়ীদেরও সমালোচিত হতে হয় বলে মনে করেন ব্যবসায়ী নেতারা। সিন্ডিকেটের দায় নিতে নারাজ ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। কোভিড মহামারি এবং এর পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বজুড়ে জ্বালানির দাম বেড়ে যায়। পাশাপাশি ডলার সংকট তৈরি হওয়ায় প্রায় সব খাতেই এর প্রভাব পড়ে।
এমন অজুহাত তুলে বিভিন্ন সময় পণ্যের দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট। প্রথম প্রভাব পড়ে ভোজ্যতেলের বাজারে। সে সময় ভোক্তা অধিকার অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ তেল জব্দ করে। জরিমানা ও সিলগালা করা হয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সে সময় মেঘনা গ্রুপ, বসুন্ধরা, সিটি গ্রুপ, টিকে গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েলসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের নাম বেরিয়ে আসে এই ঘটনার নেপথ্যে। এরপরই সরকারের লোডশেডিং ঘোষণায় দাম বেড়ে যায় চার্জার ফ্যান, লাইট, আইপিএস এবং জেনারেটরের।
সেখানেও দেখা যায়, নবাবপুর ইলেকট্রনিক্স মার্কেটের বড় বড় আমদানিকারকরা দাম বাড়ানোর ফলে খুচরা বিক্রেতারাও দাম বাড়িয়ে দেয়। ফলে ৯০০ টাকার একটি চার্জার ফ্যান সর্বোচ্চ ২৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বাজারে ডিম ও মুরগির দাম হঠাৎ অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়।
পুনরায় ভোক্তা অধিকার অভিযানে নামলে দেখা যায়, এর মধ্যেই রয়েছে ব্যবসায়ীদের সেই বড় সিন্ডিকেট! কাজী ফার্মস, সিপি, প্যারাগনসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নিয়ম বহির্ভূত নিলাম ডেকে বাড়িয়েছে এই দাম। এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হতেই বাড়তে থাকে চালের দাম। যথানিয়মে এখানেও রয়েছে কর্পোরেট ও মিলারদের যোগসাজশ। খাদ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরও বাজারে তেমন প্রভাব পড়েনি।
সর্বশেষ নিত্যব্যবহারিক পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে কর্পোরেট নামে কতিপয় ‘ডাকু’ ব্যবসায়ী গ্রুপ। এমনিতেই শাক-সবজি, চাল-তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে মধ্য ও নিম্নবিত্তরা এবার খাদ্যে ব্যয় সংকোচন করতেও বাধ্য হচ্ছে। এর মধ্যে ব্যবহার্য নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জন্য চরম দুরবস্থা তৈরি করবে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে দেশের ৪২ ভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এবং স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের গত বছরের এক জরিপ অনুযায়ী, একজন শ্রমজীবী মানুষের প্রতিদিন দুই হাজার ৩০০ ক্যালরি খাদ্যশক্তির জন্য চাল, আটা, আলু, ডাল, ভোজ্যতেল ও চিনিসহ প্রায় ১৪ ধরনের খাদ্যপণ্যে ব্যয় হতো ১২৪ টাকা। অর্থাৎ বাবা-মা, স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানসহ পাঁচ সদস্যের এক পরিবারে দৈনিক খাদ্য ব্যয় কমপক্ষে ৬২০ টাকা এবং মাসে ব্যয় প্রায় ১৯ হাজার টাকা। ২০২২ সালে দৈনিক এই ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৭০০ টাকা এবং মাসিক ২১ হাজার টাকা। এতো গেলো শুধু খাদ্যতালিকা।
এরপর রয়েছে চিকিৎসা খরচ, পোশাক-পরিচ্ছদ, শিক্ষা ও বাসস্থানের মতো মৌলিক চাহিদার ব্যয়। সব মিলিয়ে ৪০ হাজার টাকারও বেশি প্রতিমাসে ব্যয়। কিন্তু সবকিছুর দাম বাড়লেও বেতন কাঠামো রয়েছে সেই আগের মতোই।
রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়ার বাসিন্দা মহসিন আলী কাওরান বাজারে মাসিক বাজার করতে এসে জানালেন, যেভাবে খাদ্যপণ্যের সাথে অন্যান্য জিনিসের দাম বাড়ছে এতে ছেলে-মেয়েসহ রাস্তায় নামা ছাড়া অন্য গত্যন্তর থাকবে না। কারণ গ্রামে যে যাব, সেখানের পরিস্থিতি আরও খারাপ। সব জিনিসের দামই আকাশছোঁয়া। একই বাজারের আরেক ক্রেতা তেজকুনি পাড়ার রহিমা আক্তার বলেন, স্বামী একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে। মাসিক বেতন ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু শাশুড়ি, দুই সন্তান ও স্বামী-স্ত্রী এই অর্থে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না।
প্রতিমাসে খাবারের জন্য ব্যয় হয় ১৫ হাজার টাকা।
এছাড়া দুই সন্তানের লেখাপড়া বাবদ আট হাজার টাকা এবং শাশুড়ির নিয়মিত ওষুধের জন্য লাগে প্রায় তিন হাজার টাকা। এর বাইরে যদি সন্তান বা নিজেরা অসুস্থ হয় তখন তা হয় মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। এছাড়া প্রতিমাসে ঘর ভাড়া বাবদ ১০ হাজার টাকা এবং কাপড়-চোপড়ে গড়ে এক হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়। অর্থাৎ প্রতিমাসে নিট ব্যয় হয় ৩৪ হাজার টাকা। ফলে জীবন বাঁচাতে গ্রামের জমি বিক্রি করে কিছু টাকা রেখেছেন ব্যাংকে। তবে তাতেও যেন চলছে না।
বাজার ঘুরে জানা যায়, গত এক বছরে সাবান-শ্যাম্পুর দাম আকার ও মানভেদে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। ব্র্যান্ডভেদে আমদানিকৃত ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রিত সাবান এখন ১৫০ থেকে ১৯৫ টাকা হয়েছে। দাম বেড়েছে গুঁড়া সাবানেরও। ৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া এক কেজির ওয়াশিং পাউডার এখন ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইউনিলিভারের রিন পাউডার মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ১৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮০ টাকা হয়েছে। ৫০০ গ্রামের সার্ফ এক্সেল দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১০৫ টাকা যেটা বর্তমানে ১৪০ টাকা। আবার ৩২০ মিলিগ্রামের সানসিল্ক শ্যাম্পুর দাম বর্তমানে ৪৬০ টাকা, যেটা কয়েকদিন আগেও সর্বোচ্চ ৩৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এছাড়া ৪০০ মিলির নিভিয়া লোশন ৬২০ টাকার পরিবর্তে ৭৫০ টাকা এবং ২০০ মিলির জিলেট শেভিং জেলের মূল্য ২৫০ টাকার পরিবর্তে ৩২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বডি স্প্রের দাম বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। মানভেদে ২০০ গ্রাম ওজনের সব ব্র্যান্ডের টুথপেস্টে ১০-২০ টাকা বেড়েছে।
যেমন— ২০০ গ্রাম ওজনের কোলগেট টুথপেস্টের দাম ১৩০ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫০ টাকা। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলছেন, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো দাম বাড়ালে তারাও বাধ্য হন মূল্যবৃদ্ধিতে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একটি বৈঠকে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। সে সময় ইউনিলিভার কনজ্যুমার, স্কয়ার টয়লেট্রিজ, কল্লোল গ্রুপ অব কোম্পানিজ, এসিআই লিমিটেডের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো জানায়, তাদের উৎপাদিত পণ্যের কাঁচামালের ৮০ শতাংশই বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। এগুলোর দাম যেমন বেড়েছে, তেমনি ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতনেও উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোনো অজুহাতে একবার পণ্যের দাম বাড়লে তা আর কমে না। উন্নত দেশগুলোতে এসব কঠোরভাবে মনিটরিং হলেও আমাদের দেশে তার কসুর নেই। ভোক্তা অধিকার যে অভিযান চালায় এতে সাময়িক দর কমতে থাকলেও প্রভাবশালী মহলগুলোর চাপে তা আর আলোর মুখ দেখে না।
সম্প্রতি ভোক্তা অধিকার কার্যালয়ে আয়োজিত বৈঠকে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক বলেন, কাঁচামালের দাম বাড়ায় পণ্যমূল্য বাড়লেও কাঁচামালের দাম কমলে তখন কেন পণ্যমূল্য কমে না। বিষয়টি নিয়ে ইউনিলিভারের সিএফও জাহিদ মালিতা জানান, যে পরিমাণ ইনফ্লেশন হয়েছে সে অনুযায়ী আমরা দাম বাড়াই নাই। টুথপেস্টের দাম সে অনুযায়ী বাড়েনি। গত দুই বছরে মাত্র ৬ শতাংশ বেড়েছে।
এছাড়া ওয়াশিং পাউডার আর সাবানের দাম বেড়েছে। অপরদিকে সবকিছুর দামই ধারাবাহিকভাবে বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্কয়ার টয়লেট্রিজের হেড অব অপারেশনস মালিক সায়িদ। তিনি বলেন, হঠাৎ করে সবকিছুর দাম বাড়েনি। ৫০, ৬০, ৭০ থেকে ১০০ পর্যন্ত এভাবে দাম বেড়েছে। ভোক্তারা বিরক্ত হলে তারা অন্য ক্যাটাগরিতে চলে যাবে। এ সময় তিনি বলেন, যদি দাম (কাঁচামালের) কমার চিত্র দেখি, তাহলে আমরা দাম কমাব।
দাম বৃদ্ধির বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সবকিছুর দাম বাড়ছে তার মানে এই নয় যে, ৩০ টাকার পণ্যের দাম ৬০ টাকা হয়ে যাবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর স্থায়ী খরচ ও পরিবর্তনশীল খরচ তো দ্বিগুণ বৃদ্ধি করেনি। অন্যান্য বিষয়ে দাম বাড়ার কারণে পণ্যের দাম কতটুক বাড়বে, এটা নিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান এখন পর্যন্ত কাজ করেনি। ফলে পণ্যের বাজারে এমন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কাজী আব্দুল হান্নান বলেন, ডিটারজেন্টের কাঁচামাল সালফিউরিক অ্যাসিড ও সোডিয়াম সালফেট নামে এনে সোডিয়াম ক্লোরাইড বলে সাদা লবণ হিসেবে মার্কেটিং করছে। যে প্রোডাক্ট বেশি বিক্রি হয় কোম্পানিগুলো সেগুলোর দামই বাড়াচ্ছে। অথচ যেটার দাম বাড়ালে অন্য কোম্পানির দখলে তা চলে যেতে পারে, তার দাম কিন্তু বাড়ায় না। অর্থাৎ যেই পণ্যের মনোপলি তৈরি করে ফেলেছে সেটার দাম বাড়াচ্ছে।
নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও সে তুলনায় বাড়েনি মানুষের ক্রয় ক্ষমতা। ফলে জীবিকার উদ্দেশ্যে রাজধানীতে আসা অনেকেই চলে যাচ্ছেন গ্রামে। ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতির চাপে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষকে রক্ষায় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিপরীতে শক্ত অবস্থানে যেতে এবং দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনো নীতিমালার মধ্যে আনতে পারছে না সরকার।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, প্রথম কথা হলো এক্ষেত্রে কোনো নিয়ম-নীতি বিদ্যমান আছে কিনা? দ্বিতীয়ত হলো, দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের সাথে বসে আলোচনা করা দরকার, যেন সাধারণ মানুষের সীমার মধ্যে রাখা যায়।
এছাড়া এসব কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের মালিকরাই সরকারের অংশ হিসেবে রয়েছে বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন।
অপরদিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান দৈনিক আমার সংবাদকে বলেন, শুধু ভোক্তা অধিকারের একার পক্ষে মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। মূল্য নির্ধারণের জন্য আরও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমরা শুধু ভোক্তাদের অসুবিধাগুলো দেখি। এরপরও আমরা একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছি। এই কমিটি দাম বৃদ্ধি কতটুকু যৌক্তিক তা নিয়ে কাজ করবে। তবে আমরা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর মনোপলি বিজনেসের ক্ষেত্রে দুটি মামলা করেছি। একটি কম্পিটিশন কমিশনে এবং অপরটি সিআইডিতে। এগুলোর বর্তমান অগ্রগতি সম্পর্কে ওই দুই প্রতিষ্ঠান ভালো বলতে পারবে।