চলতি মাসেই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল এই প্রজন্মের নায়িকা অধরা খান অভিনীত সৈকত নাসির পরিচালিত ‘বর্ডার’ সিনেমাটি। কিন্তু আপাতত আটকে আছে ‘বর্ডার’ সিনেমাটি। তবে অধরার সৌভাগ্য হয়েছিল প্রিয়দর্শিনী মৌসুমীর সঙ্গে একটি সিনেমাতে অভিনয় করার।
ইস্পাহানী আরিফ জাহান পরিচালিত ‘নায়ক’ সিনেমাতে মৌসুমীর ছোট বোনের চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ হয়েছিল অধরার। মৌসুমীর মতো গুণী একজন অভিনেত্রীর সঙ্গে অভিনয় করতে পারাটা অধরা তার অভিনয় জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি হিসেবেই বিবেচনা করেন।
মৌসুমীর সঙ্গে যে শিল্পীই অভিনয় করেন তারাই তার ব্যবহার, আন্তরিকতা এবং অভিনয়ে মুগ্ধ হন। বিশেষ করে জুনিয়ার শিল্পীরা যখন তারসঙ্গে অভিনয় করেন তাদের প্রতি মৌসুমী সহযোগিতার হাত যেমন বাড়িয়ে দেন ঠিক তেমনি মৌসুমী তার স্নেহের পরশে আগলে রাখেন।
অধরা প্রসঙ্গে মৌসুমী সেসময় শুটিংয়ের ফাঁকে বলেছিলেন, ‘অভিনয় জানা নতুন শিল্পীদের চলচ্চিত্রে আসা খুব জরুরি। নতুনরা অনেক স্বপ্ন, আশা নিয়ে চলচ্চিত্রে কাজ করতে আসে। নতুনরা যেন সুন্দরভাবে পথচলার সুযোগ পায় এই শুভ কামনা আমার সবসময়ই। অধরার আচার, আচরণ বেশ পরিশীলিত।
তার চমৎকার এক শিল্পী মন আছে, শিল্পকে ভালোবেসে এর জন্য নিবেদিত হয়ে ধৈর্য ধরে কাজ করার একাগ্রতা আছে তার মধ্যে। অধরা ছোট হলেও তার মধ্যে আলাদা ব্যক্তিত্ব আমি লক্ষ করেছি। ধৈর্য ধরে কাজ করলে সে অনেকদূর যেতে পারবে।’ মৌসুমীর সঙ্গে কাজ করতে পারাটা নিজের অভিনয় জীবনের অন্যতম অর্জন বলে বিবেচনা করেন অধরা খান।
অধরা বলেন, ‘মৌসুমী আপুকে নিয়ে কোনোরকম কিছু বলার যোগ্যতাই হয়নি আমার। তাকে নিয়ে বলার মতো আমি তেমন কেউই নই। তারপরও বলব নায়ক চলচ্চিত্রে তিনি আমার বড় বোনের চরিত্রে অভিনয় করলেও কাজ করতে গিয়ে বারবারই আমার মনে হয়েছিলো যে তিনি আমার সত্যিকারের বড় বোন।
তিনি আমাকে এত ভালোবাসেন, আদর করেন যার কোনোকিছুতেই তুলনা হয়না। আমি কৃতজ্ঞ ইস্পাহানী আরিফ জাহান স্যারের কাছে আমাকে এত বড় একটি সুযোগ দেয়ার জন্য। আমি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কিংবদন্তিদের সঙ্গে কাজ করে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে চাই।’
‘নায়ক’ সিনমোটি ২০১৮ সালের মার্চ মাসে নির্মিত হয়। এদিকে মৌসুমী অভিনীত জাহিদ হোসেন পরিচালিত ‘সোনার চর’, আশুতোষ সুজন পরিচালিত ‘দেশান্তর’ ও সাখাওয়াৎ হোসেন পরিচালিত ‘ভাঙ্গন’ সিনেমা তিনটি রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়।