বাংলাদেশের বিশিষ্ট চলচ্চিত্র বিশ্লেষক, গবেষক ও চলচ্চিত্রবিষয়ক লেখক অনুপম হায়াতকে চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘শিল্পকলা পদক’-এ ভূষিত করা হয়েছে।
গেলো বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় তার হাতে এই সম্মাননা তুলে দেয়া হয়। সেদিন বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ২০১৯ ও ২০২০ সালে বিভিন্ন শিল্পের বিভিন্ন শাখায় অবদানের জন্য ‘শিল্পকলা পদক’-এ প্রদান করা হয়।
সেই ধারাবাহিকতায় চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য অনুপম হায়াতকেও শিল্পকলা পদকে ভূষিত করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। তিনি ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
অনুষ্ঠানের সভাপতি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এবং স্বাগত বক্তা শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর হাত থেকে অনুপম হায়াৎ ২০১৯ সালের ‘শিল্পকলা পদক’ গ্রহণ করেন।
অনুপম হায়াৎ বলেন, ‘দীর্ঘ ৪৯ বছর ধরে চলচ্চিত্র বিষয়ে লেখালেখি, গবেষণা, শিক্ষকতা এবং আমার কর্মের মধ্য দিয়ে ফিল্ম আর্কাইভের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া— সবকিছু মিলিয়ে জীবনের এ পর্যায়ে এসে শিল্পকলা পদক আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন।
এই অর্জনের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রবিষয়ক গবেষণা, লেখালেখি ও শিক্ষকতার নতুন এক দ্বার উন্মোচিত হলো। আমি সত্যিই ভীষণ খুশি। যারা আমাকে মনোনীত করে চূড়ান্তভাবে আমাকে এই সম্মাননা তুলে দিলেন, তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা।’ নীতিমালা অনুযায়ী ১৬ সদস্যের কমিটি প্রতি বছর পদকের জন্য গুণীজন নির্বাচন করে থাকে। ‘শিল্পকলা পদক’-এর জন্য মনোনীত ব্যক্তি/ব্যক্তিদের প্রত্যেককে একটি করে স্বর্ণপদক, সনদপত্র এবং এক লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়।
অনুপম হায়াতের লেখা বইয়ের মধ্যে রয়েছে ‘চলচ্চিত্রের খোলা জানালায়’, ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাস’, ‘চলচ্চিত্র বিদ্যা’, ‘চিত্রনাট্য কলা’, ‘জহির রায়হান চলচ্চিত্র’, ‘আলমগীর কবির চলচ্চিত্র’, ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসের নতুন উপাদান’, ‘বঙ্গবন্ধু চলচ্চিত্র’, ‘চলচ্চিত্রে নজরুল’, ‘চলচ্চিত্রে রবীন্দ্রনাথ’সহ আরও বেশকিছু বই বাজারে প্রকাশিত আছে। অনুপম হায়াতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম।
তার ছেলে অব্যয়, তিন মেয়ে শম্পা, লায়লা ও তারানা। শম্পা সিলেট অঞ্চলের নৌ-পুলিশের পুলিশ সুপার। ১৯৬০ সালের ১ জুন অনুপম হায়াতের জন্ম।