১৯৬৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত জেবা ও ওয়াহিদ মুরাদ অভিনীত সিনেমা (উর্দু ভাষার সিনেমা) পারভেজ মালিক পরিচালিত ‘আরমান’ সিনেমার জনপ্রিয় গান মালা বেগমের কণ্ঠের ‘আকেলে না জানা’ এখনো শ্রোতা দর্শকের ভীষণ প্রিয়। অন্যদিকে উপমহাদেশের প্রখ্যাত গজলশিল্পী মেহেদী হাসানের কণ্ঠের বহুল শ্রোতাপ্রিয় গজল ‘রঞ্জিস হি সাহি’ও গজলপ্রিয়দের কাছে দারুণ প্রিয় একটি গজল।
এই দুটি গান ও গজলের প্রতি রয়েছে বাংলাদেশের সিনেমার তারকা জুটি নাইম-শাবনাজের ছোট মেয়ে মাহাদিয়ার ভীষণ ভালোলাগা। সেই ভালোলাগা থেকেই এই দুটি গান ও গজল নিয়ে একটি মেশাপ প্রকাশ করেছেন তিনি তার ইউটিউব চ্যানেলে। এই মেশাপের নামকরণ করেছেন মাহাদিয়া ‘আকেলে না জানা ও রঞ্জিস হি সাহি বাই মাহাদিয়া নাইম’।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর মাহাদিয়া তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল ‘মাহাদিয়া নাইম’-এ মেশাপটি প্রকাশ করেছেন। কিছুদিন আগেই নাইম শাবনাজ তার দুই কন্যা নামিরা ও মাহাদিয়াকে নিয়ে ভারতের জয়পুর ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানেই নাইমের আগ্রহ থেকে মেশাপটির মিউজিক ভিডিও করা হয়। সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে ছিলেন লাভিস রাওয়াত। সম্পাদনায় শুভম গুপ্ত। ভিডিও টিম ‘আওয়ার মিনিটস প্রোডাকসন’।
প্রযোজনায় নাইম প্রোডাকসন। এই মেশাপটি করা প্রসঙ্গে মাহাদিয়া বলেন, ‘দুই বছর আগে হঠাৎ করেই এই দুটি গান গজল নিয়ে একটি মেশাপ করার ভাবনা আমার মাথায় আসে। তখনই মূলত বাবার সঙ্গে আমি আমার পরিকল্পনাটা শেয়ার করি। বাবাও এতে তার সম্মতি দিলেন। দুটি গান-গজলই ভীষণ কঠিন। যেহেতু আমার দাদির এই দুটিই ভীষণ প্রিয় ছিল।
তাই এই দুটি গান-গজলের প্রতি আমার ভীষণ দুর্বলতা ছিল, ভালোলাগা ছিল। আমি মেশাপটি করার পরও অনেক ভয়ে ছিলাম যে এটি প্রকাশ করব কি না। কিন্তু সবশেষে আমার বাবা মা, আমার বোন এবং আমার খালামনি তাহমিণা সুলতানা মৌয়ের অনুপ্রেরণায় এবং সাহসে এটি প্রকাশ করার সাহস পাই।
আর গানটির সঙ্গে জয়পুরের বিভিন্ন লোকেশন বিশেষত রাজস্থানে গানটির দৃশ্যায়ন অপূর্ব হয়েছে। মেশাপটি প্রকাশের পর থেকেই আমি আসলে সবমিলিয়ে খুব ভালো রেসপন্স পাচ্ছি। আমার বিশ্বাস এই মেশাপটি সবারই ভালোলাগবে।’