রুনা আপা নির্লোভ ও নিরহংকারী মানুষ-মিনু

বিনোদন প্রতিবেদক প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২২, ০২:১৭ এএম
রুনা আপা নির্লোভ ও নিরহংকারী মানুষ-মিনু

বাংলাদেশে তথা উপমহাদেশের বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লার গান শুনে শুনেই গানের ভুবনে আসার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন নন্দিত সঙ্গীতশিল্পী আলম আরা মিনু। খুব ছোট্টবেলায় তার বাসায় আনা মেহেদী হাসান ও রুনা লায়লার একটি ক্যাসেটে প্রথম মেহেদী হাসান ও রুনা লায়লার গান শোনেন মিনু। রুনা লায়লার গানগুলো শুনে শুনে তিনি চর্চা করতেন।

পরবর্তীতে মিনুর গানে হাতেখড়ি হয় তার বাবার কাছে এবং পরবর্তীতে তিনি গান শিখেন ওস্তাদ রাখাল নন্দী বাবু ও ওস্তাদ সঞ্জীব দের কাছে। কয়েকদিন আগে রুনা লায়লার সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে দেখা হয় আলম আরা মিনুর। সেখানে রুনা লায়লার প্রতি মিনু তার সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের চেষ্টা করেছেন।

যতটা সময় রুনা লায়লা অনুষ্ঠানে ছিলেন মিনুও তার সান্নিধ্য পাওয়া থেকে দূরে থাকেননি। মিনুর মনে হয়েছে একজন রুনা লায়লার পাশে পাশে থেকে তার আশীর্বাদে থাকর মধ্যেও এক ধরনের তৃপ্তি আছে। মিনুর স্বামী সেলিম আশরাফ যখন হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থাবস্থায় ছিলেন তখন রুনা লায়লা কলকাতায় ছিলেন।

সেইসময় মিনু রুনা লায়লার মোবাইলে একটি ম্যাসেজ দিয়ে রেখেছিলেন। কলকাতা থেকে ঢাকার বিমানবন্দরে নামার পর সেই ম্যাসেজ পেয়ে রুনা লায়লা সাথে সাথেই মিনুকে ফোন করেন এবং পরদিনই হাসপাতালে গিয়ে সেলিম আশরাফ’কে দেখতে যান। সেদিন থেকে যেন রুনা লায়লার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আরও বেড়ে গেলো মিনুর।

মিনু বলেন, ‘হয়তো বা আমার ম্যাসেজ পেয়ে রুনা আপা নাও আসতে পারতেন। কিন্তু দেশে ফিরে পরেরদিনই তিনি হাসপাতালে এলেন। যা আমার হূদয়’কে ভীষণভাবে স্পর্শ করেছে। আমি এক জীবনে রুনা আপার মতো এমন নির্লোভ, নিরহংকারী, দায়িত্বশীল, ভীষণ কেয়ারিং, স্ট্রং পার্সোনালিটির মানুষ খুবই কম দেখেছি।

তিনি বিশ্বজয়ী একজন সঙ্গীতশিল্পী। যার গান নিয়ে বিশেষভাবে বলার মতো আমি কেউ নই। শুধু এতটুকু বলবো যে আমাদের একজন রুনা লায়লা আছেন এটা আমাদেরই গর্ব। তিনি চাইলেই অন্যকোনো দেশে প্রতিষ্ঠিত হতে পারতেন। কিন্তু বাংলাদেশকে ভালোবেসে তিনি বাংলাদেশেই রয়ে গেলেন। কত বড় মনের মানুষ তিনি তা তারাই কেবল ভালো বলতে পারবেন যারা একজন রুনা আপাকে খুব কাছে থেকে অনুভব করেছেন।’

একজন বিশ্ববনন্দিত সঙ্গীতশিল্পী, একজন মায়াবতী মা, একজন ভালোবাসার বড় আপা রুনা আপা সবসময়ই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন-এই দোয়া করি।’ ছোটবেলা থেকেই রুনা লায়লার গাওয়া হিন্দী, উর্দু, বাংলা গান মিনু মঞ্চে গেয়েছেন অসংখ্যবার। বিশেষ করে রুনা লায়লার গাওয়া আনকমন গানগুলো যেমন হেরে গেছি আজ আমি, আমি নদীর মতো কতো পথ ঘুরে, হাতের কাঁকন ফেলেছি খুলে-এমন গানগুলোই বেশি গাওয়ার চেষ্টা করেছেন।

মিনু তার অ্যালবামে রুনা লায়লা’র ‘চঞ্চলা হাওয়ারে’,‘ গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’ গান কাভার করেছিলেন। জীবনের শুরু থেকে আজ অবধি মিনু’র জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য শিল্পীর নাম রুনা লায়লা।