চলছে জামায়াতের আমির নির্বাচনের ভোট। চলতি মাসের শুরুতে গঠন করা হয় তিন সদস্যের প্যানেল। জামায়াতের কেন্দ্রীয় শূরা সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত তিন প্যানেলে রয়েছেন জামায়াতের চলমান আমির ডা. শফিকুর রহমান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত আমির ও সংসদ সদস্য নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সাবেক এমপি ও সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তবে কেউ চাইলে প্যানেলের তিনজনের বাইরেও যে কাউকে ভোট দিতে পারবেন। গত ৫ অক্টোবর থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এই ভোট শেষ হবে ৩১ অক্টোবর। দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ডা. শফিকুর রহমানের স্বাক্ষরিত ব্যালট নিয়ে সারা দেশে রুকনদের থেকে সরাসরি ভোট গ্রহণ করছেন। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ১৭ অক্টোবর ভোট শুরু হয়ে শেষ হয় ১০ নভেম্বর। ওই বছর ১২ নভেম্বর ডা. শফিকুর রহমানকে আমির হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এর আগে প্রয়াত মকবুল আহমদ আমির থাকা অবস্থায় তাকে বাদ দিয়ে যে প্যানেল তৈরি হয়েছিল সেখানেও এ তিনজনই চূড়ান্ত ছিলেন। এবার প্রায় ৮৫ হাজার রুকন আমির নির্বাচনে সরাসরি ভোট দিচ্ছেন। তাতে নারী ভোটার রয়েছেন প্রায় ৩৭ হাজার আর পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৪৮ হাজার। চলতি মাসের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হলে নভেম্বরে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। মজলিশে শূরার সদস্যদের ভোটে প্যানেল তৈরির পর দলের ৬২ নম্বর ধারাকে সামনে রেখে দ্বীনি ইলম, আল্লাহভীতি, আল্লাহ ও রাসূল সা: প্রতি আনুগত্য, আমানতদারি, অনঢ় মনোবল, দূরদৃষ্টি, বিশ্লেষণ ও উদ্ভাবনী শক্তি, মেজাজের ভারসাম্যসহ বিশেষ কিছু দিক খেয়াল রেখে ভোট দেয়ার কথা থাকলেও দ্বাদশ নির্বাচনের এক বছর আগে আমির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশ কৌতূহল রয়েছে।
দলটির সিনিয়র নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সংবিধানের ধারাকে সামনে রেখে ভোট দেয়ার বিষয় থাকলেও ইসলামি আন্দোলনে পরিচ্ছন্ন ও রাজনৈতিক দূরদর্শী দুটি বিষয়কেও গুরুত্ব দেয়া হয়। চলমান আমিরের আগে সাবেক আমির মকবুল আহমাদ কিংবা দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে যাদের ফাঁসি হয়েছে, দণ্ডিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে তাদের কাছে ইসলামি আন্দোলনটাই গুরুত্ব বেশি ছিল। এরপর সিলেটের সাবেক বামপন্থি নেতা শফিকুর রহমান আমির হওয়ার পর রাজনীতির বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে দলে। প্রয়োজনীয়তার পরিধিও বেড়েছে। এখন রুকনদের মধ্যে দুটো বিষয় কাজ করছে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা কী রাজনৈতিক গতিবিধির লোক খুঁজে নেবেন নাকি আধ্যাত্মিক সিনিয়র ও আন্দোলনের মূল স্রোতের কাউকে খুঁজে নেবেন। দ্বাদশ নির্বাচন দলীয় প্রার্থী চূড়ান্তসহ নানান জটিলতার বিষয় সমাধান পেতে হয় তা হলে হয়তো আবারো আমির হতে পারেন ডা. শফিকুর রহমান। আর অভিজ্ঞতা ও আন্দোলনের মূল স্রোতের কাউকে খুঁজলে সে ক্ষেত্রে সাবেক চার আমিরের খুবই কাছের লোক আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে পরিচিত সাবেক ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমানের নাম বেশি উচ্চারিত হচ্ছে। অন্য দিকে ছাত্ররাজনীতি, মাঠপর্যায়ের ভূমিকা ও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় আলোচনায় অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের নামও উল্লেখযোগ্যভাবে রয়েছে। যিনি দলে পরিচ্ছন্ন ও ত্যাগী হিসেবে অন্যরকম গ্রহণযোগ্যতায় আছেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, মকবুল আহমাদ জামায়াতের তৃতীয় নির্বাচিত আমির। এর আগে গোলাম আযম ও মতিউর রহমান নিজামী দলটির নির্বাচিত আমির ছিলেন। এর বাইরে বিভিন্ন সময় প্রয়াত আব্বাস আলী খান, মাওলানা আবদুর রহিম, মজিবুর রহমান, দলটির ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্বে পালন করেন। বর্তমানে নির্বাচিত চতুর্থ আমির হিসেবে রয়েছেন ডা. শফিকুর রহমান।
দলে আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে পরিচিত সাবেক ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমানের নাম বেশি উচ্চারিত হচ্ছে : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। দলে আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে পরিচিত। ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সাবেক এই এমপি দলে নায়েবে আমিরের দায়িত্ব পালন করছেন এখন। তার জন্ম রাজশাহীতে। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ইসলামী ছাত্রশিবিরে যুক্ত ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিভাগ থেকে অনার্স-মাস্টার্স পাস করেন। ১৯৮৬ সালে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ি) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম নামাজের বিরতি চালু হয় তার চেষ্টায়। এ ছাড়া সংসদে শোক প্রস্তাবের সাথে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের ক্ষেত্রে চালু হয় মুনাজাত করার রীতিও। ইসলাম ও ইসলামি জীবন নিয়ে অনেক বইয়ের প্রণেতাও তিনি। লিখেছেন অসংখ্য বই। তার রচিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে— আল-কুরআনে উদাহরণ, আল-কুরআন এক নজরে ১০০ চৌদ্দ সূরা, আল কুরআন সংলাপ, ইসলামি আচরণ, উপর, কম হাসো বেশি কাঁদো, কারাগার থেকে আদালতে অধ্যাপক গোলাম আজম, কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে রোগীদের জন্য সুসংবাদ, দৌড়াও আল্লাহর দিকে, বিয়ের উপহার, মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সা:, রমজান ও রোজা, আখিরাতের প্রস্তুতি, আরব ভূখণ্ডে কিছুক্ষণ, যে সব কারণে আমল নষ্ট হয়সহ অনেক বই।
জামায়াত সূত্রে আরো জানা যায়, অধ্যাপক মুজিবুর রহমান জামায়াতের রাজশাহী মহানগরীর সাবেক আমির, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় সিনিয়র নায়েবে আমিরের দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমান সময়ে জামায়াতে ইসলামিতে অবিভজ্ঞ ও সিনিয়রদের মধ্যে তার নাম অন্যতম। অতীতে সাবেক আমিরদের সব সময় কাছাকাছি ছিলেন। গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী, মকবুল আহমাদসহ সবার খুব কাছেই ছিলেন তিনি। দলের আদর্শ ও গুণগত বিষয়গুলো তিনি অন্যদের চেয়ে একটু বেশিই ধারণ করেছেন। জামায়াতের রুকনরা যদি অভিজ্ঞ ও সিনিয়রিটির দিক বিবেচনা করেন তবে অধ্যাপক মুজিবুর রহমানই হতে পারেন জামায়াতের আগামী দিনের আমির।
ফের আমির হতে ঝুঁকিতে ডা. শফিকুর তবে হিন্দুদের সাহায্যে ও ভানবাসীদের সাহায্যে আলোচনায় : চলমান আমিরকে রেখেই প্যানেল তৈরি। অতীতে ভোটের রাজনীতিতে বারবার জামানত বাজেয়াপ্ত ও ২০ দলীয় জোট ছাড়ার বক্তব্য সমালোচনা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও সমপ্রতি সিলেটসহ সারা দেশে ভানবাসী মানুষের সাহায্যে ও বোদায় নৌকাডুবির পর হিন্দুদের সাহায্য দিয়ে তিনিও আলোচনায় রয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডা. শফিকুর রহমানের গ্রামের বাড়ি সিলেটের কুলাউড়ার ভাটারা এলাকায়। তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা জাসদ ছাত্রলীগের হাত ধরে। ১৯৭৪ সালে সিলেটের এমসি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় জাসদ ছাত্রলীগে যোগ দেন। এরপর সেখান থেকে উত্তীর্ণ হয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ভর্তি হয়ে ছাত্রশিবিরে যোগ দেন। এই প্রতিষ্ঠানে পরবর্তীতে তিনি শিবির সভাপতি নির্বাচিত হন। পরে শহর ছাত্রশিবিরের সভাপতিও ছিলেন ডা. শফিকুর রহমান। জামায়াতে আসার পর ডা. শফিকুর রহমান সিলেট মহানগরীর আমির, অবিভক্ত জেলা আমির ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করে বর্তমানে আমিরের দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি সিলেটের একটি মেডিকেল কলেজ ও শিশু হাসপাতালের মালিকদের একজন।
তবে জাতীয় রাজনীতিতে তার অবস্থান খুব ভালো নয়। ২০০১ সালের নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ আসনে চারদলীয় জোটের মনোনিত প্রার্থী হলেও জামানত বাজেয়াপ্ত হয় তার। এরপর থেকে আর কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগ্রহ দেখা যায়নি তার মধ্যে। তবে গত নির্বাচনে নিজ এলাকা বাদ দিয়ে ঢাকা ১৫ আসন থেকে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করেন ডা. শফিকুর রহমান। কিন্তু এখানেও তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। তবে মিডিয়াকেন্দ্রিক তার সক্রিয়তা রয়েছে। গণমাধ্যমের শীর্ষ ব্যক্তিদের সাথে রয়েছে তার সখ্য। দেশি-বিদেশি মিডিয়ায় বিভিন্ন সময় কথা বলে সবসময় তিনি আলোচিত থাকেন। মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে জবাব দেয়ার ক্ষেত্রে তিনি বিচক্ষণ বলেও দলটির অনেকে মনে করেন। সমপ্রতি বিএনপি জামায়াতের সাথে আর নেই ঘরোয়া এমন একটি আলোচনায় বক্তব্য দেয়ার পর স্বয়ং নিজ দলেই তিনি তোপের মুখের পড়েন। আমিরের দেয়া বক্তব্যকে দলের বক্তব্য নয় বলেও জামায়াতের নেতারা দাবি করেন। কিছুদিন এ নিয়ে তিনি নীরব হয়ে থাকেন দলে। তবে এর মধ্যে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করতে ছুটে যান তিনি। গত ২৮ সেপ্টম্বর পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকার নিহতদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের স্বজনদের হাতে অর্থসহায়তা দেন ডা. মুহম্মদ শফিকুর রহমান। ৭১টি পরিবারে মধ্যে ৩০ হাজার টাকা করে মোট ২১ লাখ ৩০ হাজার টাকা তিনি তুলে দিয়ে দল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি ভাইরাল হয়ে যান। ভিন্ন আদর্শের রাজনীতিবিদরাও তার এই কাজের প্রশংসা করেন।
ছাত্ররাজনীতি, মাঠপর্যায়ের ভূমিকা ও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় আলোচনায় অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার : ছাত্ররাজনীতি, মাঠপর্যায়ের আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা ও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় অন্যতম আলোচনায় রয়েছেন সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। নির্যাতন ও ত্যাগে তিনি নেতাকর্মীদের কাছে পছন্দনীয়। মিয়া গোলাম পরওয়ার ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে জড়িত। ১৯৭৪ সালে তিনি জাসদ ছাত্রলীগে যোগদান করেন। ১৯৭৫ সালের শেষার্ধে ইসলামি আন্দোলনের দাওয়াত পেয়ে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই শিবিরের সাথে জড়িত হন এবং তিনি বিভিন্ন মেয়াদে ইসলামি ছাত্রশিবিরের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬-২০১১ সাল পর্যন্ত খুলনা মহানগরীর আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় নায়েবে আমিরের দায়িত্ব পালন করছেন এবং বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এরপর নির্বাচিত হন দলের সেক্রেটারি জেনারেল। ১৯৯১ থেকে নির্বাচন করে একাধিকবার পরাজয়ের পর ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় জোটের প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) এলাকা থেকে। দলের ভোট বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় মজলিশের এক শূরা সদস্য আমার সংবাদকে বলেন, সংবিধানের ধারা অনুযায়ী প্রার্থীদের যোগ্যতা বিবেচনা করে ভোটাররা ভোট দেবেন। এ নিয়ে জামায়াতে কোনো গ্রুপিং নেই। পদ-পদবির প্রতি আমাদের দলের কোনো নেতার লোভ নেই। বর্তমানে দলের সিনিয়র ও অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, মিয়া গোলাম পরওয়ার, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী (সাজাপ্রাপ্ত), ডা. শফিকুর রহমান, আ ন ম শামসুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা রয়েছেন। এর মধ্যে দল তিন জনকে ভোট দেয়ার বিষয়ে বাছাই করছে। কেউ চাইলে এ তিন জনের বাইরে অন্য কাউকেও ভোট দিতে পারবেন। অভিজ্ঞতাসহ সাবেক এমপি ও সিনিয়র হিসেবে অধ্যাপক মজিবুর রহমানের আমির হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে সামনে যেহেতু ভোট সে ক্ষেত্রে সংবিধানের ধারার সাথে আরো কিছু বিবেচনা হতে পারে।
ফেনী জেলার ভোট সম্পন্নে দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রের শীর্ষ এক নেতার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই উপজেলায় ১২ জন রুকন ও সাত জন নারী রুকন ভোট দিয়েছেন শনিবার। তিনি বলেন, পুরুষরা সংবিধান দেখেই ভোট দিয়েছেন পছন্দের ব্যক্তিকে। এ ক্ষেত্রে নারীরা পরামর্শ চেয়েছিলেন, ওরা কাকে ভোট দেবেন ঠিক বুঝতে পারছেন না, আমরা সংবিধান দেখে তার নিজের পছন্দমতো ব্যক্তিকে ভোট দিতে বলেছি। ভোট প্রদানে কারো জোগ্যতা বা গুণ সম্পর্কে ভোটারের সামনে বলা হয়নি। তারা যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দিয়েছেন। কাউন্সিলে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক নেতার কাছে জানতে চাইলে তিনি আমার সংবাদকে বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য দেয়ার সুযোগ নেই। তিনি সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। আমার সংবাদের কাছে থাকা মতিউর রহমান আকন্দের ফোন নম্বরে কল ও ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি সিন করে কোনো উত্তর দেননি। ফেনীর একটি উপজেলা আমির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হয়ে আমার সংবাদকে বলেন, আমাদের এখানে বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক এসেছেন। আমরা পুরুষ ও নারী যারা রয়েছি তারা ভোট দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ আমরা আশা করছি আগামী ডিসেম্বরেই আমাদের যোগ্য আমিরের নাম জানতে পারব। সে পর্যন্ত আমাদের মধ্যে কৌতূহল-উদ্দীপনা থাকবে।