বাজারে ক্রমশ বাড়ছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ। ফলে স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মধ্যে। সামনের দিনগুলোতে সবজির সরবরাহ আরও বাড়বে, এতে দাম আরও কমবে বলে আশা করছেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই।
গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পুরোনো আলু ২৮ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, পটোল, ৫০, শসা ৮০-১০০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ধনিয়াপাতা ১২০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, মূলা ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, টমেটো ১০০-১২০ টাকা, ব্রুকলি ৮০-১০০ টাকা ও পেঁয়াজ পাতা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৬০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা করে এবং লালশাক প্রতি আঁটি ১০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা জানায়, পাইকারি বাজারের দামের ওপর তাদের নির্ভর করতে হয়। পাইকারি বাজারে কম দাম থাকলে তারা কমেই বিক্রি করেন সবজি। বর্তমানে বাজারে সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় দাম কিছুটা কমেছে।
অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, কিছুটা স্বস্তি মিললেও সবজির দাম আরও কমা উচিত। দেশে প্রচুর শীতকালীন সবজি চাষ হয়। এরপরও কেনো দাম আরও কমছে না, প্রশ্ন ক্রেতাদের।
এদিকে মাস তিনেক আগেও যে কাঁচামরিচ ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছিল সেই মরিচের দাম এখন মাত্র ৩০ টাকা। রাজধানীর বাইরে দাম আরও কম। তাও আবার ডেকে ডেকে কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। যেখানে কয়েক মাস আগে মানুষ একশ গ্রাম মরিচ কিনতে পারত না সেখানে এখন দোকানিরাই জোর করে এক কেজি মরিচ দিয়ে দিচ্ছেন। সবজির পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১২০-১৩০ টাকায়।
তবে বাজারে ফের উত্তাপ ছড়াচ্ছে চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে মোটাসহ প্রায় সব চালের দাম। মোটা চাল ন্যূনতম কেজি প্রতি বেড়েছে দুই টাকা। আর মাঝারি ও চিকন চালের দাম বেড়েছে অন্তত দুই থেকে পাঁচ টাকা। দোকানিদের দেয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বাজারে মোটা পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬-৬০ টাকা। মাঝারি মানের মিনিকেট ৭০-৭২ টাকা ও সরু নাজির চাল ৭৫-৮৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বাজারে গত এক মাসে তিন দফা বেড়ে আটার দাম প্রতি কেজি ৭৫ টাকায় ঠেকেছে। বাজারে দুই কেজি ওজনের প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। খোলা আটা নিলে পাওয়া যাচ্ছে ৫-১০ টাকা কমে।