- আজ গোলাপবাগে ১০ দফা কর্মসূচি
- আসবে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা
- সরকারকে দেয়া হবে আল্টিমেটাম
- জনগণকে গোলাপবাগে আসার আহ্বান
- সন্ধ্যায় নেতাকর্মীতে সমাবেশস্থল পূর্ণ
- মির্জা ফখরুল ও আব্বাস কারাগারে
- দুই মির্জার আটকে বিভিন্ন দলের নিন্দা
অবশেষে ঢাকার উত্তেজনার অবসান। রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। গুলিতে এক নেতা নিহতে থমথমে পরিস্থিতি। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাসা থেকে দুই মির্জা গ্রেপ্তার। বুধবার রিজভীসহ প্রায় আরো ৪০০ নেতাকর্মী আটক। গত দুদিন দফায় দফায় সংঘর্ষ। আগাম জটলা, নয়াপল্টনে রক্তপাত, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান, দলীয় কার্যালয়কে ক্রাইম সিন ঘোষণা, সোহরাওয়ার্দী নাকচ করে নয়াপল্টনে অনড় অবস্থান থেকে ডিএমপি কর্মকর্তা ও বিএনপি নেতাদের মধ্যে শুক্রবার শেষবেলায় সমঝোতা হয়েছে। ডিএমপিতে মঞ্জুর হয়েছে বিএনপির আবেদন। নয়াপল্টন থেকে গোলাপবাগ মাঠে রাজি হয়েছে দলটি। এ নিয়ে রাজমাঠে তৈরি হয় নতুন চাঞ্চল্য। আটক আমান উল্লাহ আমানকে মুক্তি দিয়ে বাসা থেকে দলের শীর্ষ নেতাদের আটক। শান্ত নয়াল্টন আবার গরম। মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে পাঠানো হলো কারাগারে অনেক হিসাব কষে। অনুমতি পাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে গতকাল গোলাপবাগ মাঠ বিএনপি নেতাকর্মীদের জনস্রোতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। দলটির নেতা আমান উল্লাহ আমান ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সমাবেশস্থল সন্ধ্যায় পরিদর্শন করেন।
এর আগে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খোন্দকার মোশাররফ হোসেনসংবাদ সম্মেলন করে দেশের জনগণসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের গোলাপবাগ মাঠে আসার আহ্বান জানান। বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো বলছে, আজকে গণসমাবেশে ঘোষণা হবে সরকার পতনের ১০ দফা কর্মসূচি। আসবে যুগপৎ আন্দোলনের রোডম্যাপও। সরকারকে সরে যেতে দেয়া হবে আল্টিমেটাম। প্রায় তিন মাস আগে বিএনপি ১০ বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশ করতে নয়াপল্টনের জন্য অনুমতি চেয়ে গত ১৩ ও ২০ নভেম্বর ডিএমপি কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন করেছিল বিএনপি। দলটি নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়। কিন্তু ডিএমপি বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে বলে। পরে নয়াপল্টন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে বিকল্প ভেন্যু নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা হয়। সমাবেশস্থল নির্ধারণ নিয়ে আলোচনার মধ্যে গত বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে একজন নিহত হন। এর পর থেকে রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। দেয়া হয় ব্যারিকেড। ঢুকতে দেয়া হয়নি কাউকে।
গত ৭ ডিসেম্বর দলীয় অফিসের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষে একজন নিহত ও বহু কর্মী আহত হন। আহত হন কয়েকজন পুলিশ সদস্যও। বিএনপি অফিসে অভিযান চালিয়ে চাল-ডাল-তেলের সাথে কিছু ককটেল উদ্ধার করার দাবি করেছে পুলিশ। যদিও বিএনপি নেতাদের দাবি, এসব সরকারের সাজানো নাটক। পুলিশ বস্তায় করে বিএনপি অফিসে বোম নিয়ে যায়। যখন অভিযান চলে তখন বিএনপির মহাসচিব অফিসের নিচেই অবস্থান করছিলেন। তিনি মাটিতে বসেছিলেন। তাকে উপরে যেতে দেয়া হয়নি। সেখানে বিস্ফোরক পদার্থ আছে, পুলিশের কাছে যদি এ খবর থেকে থাকে, তারা ফখরুলকে সাথে নিয়ে কেন অভিযানে গেল না, এমন প্রশ্ন দলটির। ওই এলাকাকে ‘ক্রাইম সিন : ডোন্ট ক্রস’ ব্যানার ঝুলিয়ে দেয়া আইন লঙ্গন বলেও দাবি তোলা হয়।
গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ : রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি পেলো বিএনপি। গতকাল শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কার্যালয় থেকে বেরিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ ঘোষণা দেন। ডা. জাহিদ বলেন, আমরা কমলাপুর স্টেডিয়াম চেয়েছিলাম, কিন্তু সেখানে খেলা চলায় সম্ভব না। পুলিশের কাছে তারপর আমরা গোলাপবাগ মাঠের কথা বলেছিলাম, পুলিশ লিখিতভাবে অনুমতির জন্য আবেদন করতে বলেছিল, আমরা লিখিত আবেদন করেছি। তারা অনুমতি দিয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা এটি আইনগতভাবে মোকাবিলা করব। গোলাপবাগে আমাদের সমাবেশ হবে। পুলিশ সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে আশ্বস্ত করেছে।
জনগণকে গোলাপবাগ আসার আহ্বান : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ৯টি বিভাগে জনসভা করেছি। সরকারের সব বাধা উপেক্ষা করে এসব জনসভায় জনতার ঢল নেমেছে। আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা, নির্যাতন করা হয়েছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হয়েছে। কিন্তু আমরা ধৈর্য ধরে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে চেয়েছি। তবে মনে হয়, সরকার অন্য কিছু চায়। আমরা চাই গণতন্ত্র। তিনি বলেন, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলে তারা জনগণের দাবি অগ্রাহ্য করার চেষ্টা করছে। তাদের এই অপচেষ্টা সফল হবে না। জনগণের আন্দোলনের সামনে সব স্বৈরাচারকেই নতি শিকার করতে হয়। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারকেও করতে হবে। গতকাল বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই ইতোমধ্যে জেনেছেন, গত রাত প্রায় সোয়া ৩টার দিকে আমাদের দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য মির্জা আব্বাসকে তাদের বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সাদা পোশাকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ তাদের ডিবি অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে আমরা জেনেছি। পুলিশের পক্ষে বলা হয়েছে— নেতাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই আনা হয়েছে। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এত গভীর রাতে সাদা পোশাকে ধরে নিয়ে আসার মধ্যে স্বেচ্ছাচারিতা ও দম্ভের প্রকাশ আছে, যুক্তি নেই কোনো। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। ড. মোশাররফ বলেন, এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর বিনা উসকানিতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমবেত নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ, র্যাব, সোয়াত বাহিনী ইত্যাদি একযোগে আক্রমণ করে অনেকে খুন ও অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করে। তাদের গুলি ও টিয়ারগ্যাস ছোড়ার পরিমাণ এতই বেশি ছিল যে, মনে হয়েছে যেন যুদ্ধ চলছে। নিরস্ত্র রাজনৈতিক কর্মীদের ওপর এমন নির্মম আক্রমণ ও জুলুম নজিরবিহীন। তারা দলের মহাসচিবকে তার অফিসে ঢুকতে দেয়নি কিন্তু নিজেরা ঢুকে অফিসের কক্ষ, আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, হার্ডডিক্স, নগদ অর্থ ও অন্যান্য দ্রব্যাদি নিয়ে গেছে।
বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, নিজেরা ব্যাগে করে বোমা অফিসের ভেতরে নিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে যে, ওইগুলো অফিসে পাওয়া গেছে। কিন্তু সাংবাদিকদের চোখে তা ধরা পড়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তা প্রচার হয়েছে। এমন ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের নিন্দা করার ভাষ্য আমাদের জানা নেই।
তিনি বলেন, একই দিনে অফিসের ভেতর ও বাইরে থেকে দলের অনেক সিনিয়র নেতারাসহ প্রায় ৫০০ কর্মীকে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়। এমনকি গ্রেপ্তারকৃত অনেক আহত নেতাকর্মীকে উপযুক্ত চিকিৎসার সুযোগ পর্যন্ত দেয়া হয়নি। এমন নির্মমতা শুধু অনির্বাচিত সরকারের অনুগত কোনো দলীয় বাহিনীর পক্ষেই সম্ভব। আমরা গ্রেপ্তারকৃত সব নেতাকর্মীর মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবি করছি।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে নয়াপল্টন সড়কে ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের সম্মতি চেয়ে লিখিত চিঠি দেয়া সত্ত্ব্বেও তা নিয়ে সরকার গড়িমসি করে। আমরা না চাওয়া সত্ত্ব্বেও অযাচিতভাবে ও স্বপ্রণোদিত হয়ে পুলিশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নজিরবিহীনভাবে ২৬ শর্তে গণসমাবেশের যে সম্মতি দেয়া হয়েছিল— তা অনিবার্য ও যুক্তিসঙ্গত কারণে আমরা তা প্রত্যাখান করে আলোচনার মাধ্যমে তৃতীয় কোনো উপযুক্ত স্থানে সভার অনুমতি দেয়ার যে অনুরোধ জানিয়েছি, তাতে দিতে গড়িমসি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজ দুপুরে আমাদের একটি প্রতিনিধি দল ডিএমপি কমিশনার বরাবরে গোলাপবাগ মাঠে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠানের জন্য পত্র দেয়। কিছুক্ষণ আগে আমাদের চাহিদা মোতাবেক গোলাপবাগ মাঠে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের জন্য পুলিশ সম্মতি দেয়। অতএব ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ আগামীকাল ( আজ) ১০ ডিসেম্বর গোলাপবাগ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। আমরা তীব্র ক্ষোভের সাথে লক্ষ করছি, সরকারি বাহিনীগুলো ও সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা গত প্রায় ১৫ দিন যাবৎ প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে জনসভা বানচালের জন্য গোটা ঢাকা মহানগর ও ঢাকা বিভাগসহ সব বিভাগের সব জেলা, উপজেলা, মহানগরে মহড়া দিচ্ছে। তাদের এসব অগণতান্ত্রিক সন্ত্রাসী কার্যক্রম পুলিশের সামনেই ও সমর্থনে চলছে।
রাজধানী ঢাকায় সরকারি দল হঠাৎ করেই মিছিল করছে আর আমাদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক স্লোগান দিচ্ছে। এ অবস্থায় যদি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তার দায়দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। কারণ, আমাদের এ গণসমাবেশ দুই মাস আগ থেকেই নির্ধারিত ছিল। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম। কর্নেল অলি বলেন, বর্তমান সরকারের দুঃশাসনের বিষবাষ্প ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। নিশিরাতের সরকার দুঃশাসন জারি রেখে বিএনপি এবং বিরোধীদলগুলোর নেতাকর্মীদের নিধনে লিপ্ত রয়েছে। তারা রাতের অন্ধকারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে তুলে নিয়ে গেছে। তারা দুজনই বয়োজ্যেষ্ঠ। দেশের এই সম্মানীত দুইজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে রাতের অন্ধকারে তুলে নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গভীর রাতে আটকের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের মুক্তি দাবি করেছে গণঅধিকার পরিষদ। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সরকারের বেআইনি আদেশ পালন না করার পাশাপাশি সহনশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানায় তারা। দলটি অভিযোগ করে বলেছে, কর্তৃত্ববাদী সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে আইন-কানুন, নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছে না, যা অত্যন্ত উদ্বেগের এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য অশনিসংকেত। গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব নুরুল হক নুর এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন।
ফখরুল-আব্বাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ : পল্টন থানার মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম শুক্রবার এই আদেশ দেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। এর আগে গতকাল বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে তাদের আদালতে আনা হয়। তাদের রাখা হয় আদালতের হাজতখানায়। পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত বিকেল সোয়া ৫টার দিকে তাদের জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্যদের মুক্তি দাবিতে আদালতের সামনে স্লোগান দেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উসকানি দেয়ার অভিযোগে গতকাল পল্টন থানায় করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গতকাল বেলা সোয়া ২টার দিকে ডিবির প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।