- হাঙ্গামায় না জড়াতে বিএনপিকে কূটনৈতিক মিশনের আহ্বান
- বিজয়ের মাসে সংঘাত এড়িয়ে চলতে বিএনপি ও জোটের ঐকমত্য
- ৩০ ডিসেম্বর বিএনপির গণমিছিল গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশ
- সাত দফা দিয়ে হেফাজতের আল্টিমেটাম, আন্দোলনে জামায়াতের হুঁশিয়ারি
- ৩০ ডিসেম্বর এক ব্যানারে জোটের ১১ দলের ঢাকায় বিক্ষোভ
- ১৫ দিন চলারও রিজার্ভ নেই দাবি অলির, বিএনপির সাথে কর্মসূচি
বিজয়ের মাসে গরম কর্মসূচি থেকে সরে এসেছে বিএনপিসহ সরকারবিরোধীরা। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে মাঠের আন্দোলনে নামতে পর্দার আড়ালে ঐকমত্য হয়েছে। দেশে কোনো সংঘাত বা খারাপ পরিবেশের মাধ্যমে মর্যাদার মাসটি দেশ-বিদেশে প্রশ্নবিদ্ধ হোক তা কেউ চাচ্ছেন না। এ জন্য সরকার ও ক্ষমতাসীনদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচির দিনে আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি মিলে যাওয়ায় বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের আহ্বানে সাড়া দিয়ে শান্তিপূর্ণ পথ বেছে নিয়েছে।
২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলের কথা বিবেচনায় রেখে ওই দিন গণমিছিলের কর্মসূচি পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর করেছে বিএনপি। তবে অন্যান্য মহানগর ও জেলায় ২৪ ডিসেম্বরে ঘোষিত গণমিছিলের কর্মসূচি ঠিক থাকবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার জামায়াতে ইসলামীও তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেছে। একইসাথে বিএনপির সাথে তাল মিলিয়ে সরকারবিরোধী জোট গণতন্ত্রমঞ্চও কর্মসূচি পিছিয়েছে। বিএনপির সিদ্ধান্তে একমত্য হয়ে ২০ দলীয় জোটের ১১টি দলও ৩০ তারিখ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে অরাজনৈতিক সংগঠক হেফাজতে ইসলামীও উত্তাপ ছড়াচ্ছে। গতকাল ঢাকায় সমাবেশ করে শীর্ষ নেতাদের মুক্তি দিতে সরকারকে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। অতীতের মতো আবারও দাবি আদায়ে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
২০ দলীয় জোট ও সরকারবিরোধী মঞ্চের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন, খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিত্যপণ্যর মূল্যবৃদ্ধি ও সরকারকে সরাতে জানুয়ারিতে বড় কর্মসূচির কথা চিন্তা করা হচ্ছে। আন্দোলনের জন্য ২০২৩ সালের প্রথম ধাপকে বেছে নেয়া হয়েছে।
বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে, দেশ অচল কিংবা হাঙ্গামা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এমন সংঘাতের কর্মসূচি থেকে দূরে থাকতে কূটনৈতিক মিশনগুলো থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। আর তা ছাড়া এই মাসে কর্মসূচি পালন করলে সরকার কিছু ঘটিয়ে বিএনপির উপর দায় চাপাবে। সেটি মাথায় রেখে সংঘাতের সম্ভাব্য পথ থেকেও সতর্ক থাকতে বিএনপি কৌসুলি হয়েছে। তবে বিএনপির নীতি নির্ধারণী ফোরামের উপর মাঠ পর্যায়ের বড় একটি অংশ অসন্তোষ প্রকাশ করছে।
তারা বলছে, বিএনপির শীর্ষ নেতারা অন্য কারো ইশারায় চলছে। হাঙ্গামা ছাড়া দেশে কোনো পরিবর্তন আসবে না। শান্তির বার্তায় চললে বিএনপিকে আবারও ভরাডুবির মুখোমুখি হতে হবে। রাজপথে থেকেই দাবি আদায় করতে হবে। নিজেদের ভাগ্য ঠিক করতে হবে।
গত ১০ ডিসেম্বর গোলাপবাগ সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন কর্মসূচি ঘোষণাকালে দলীয় নেতাকর্মীরা বিএনপি কার্যালয় পর্যন্ত সব নেতাকর্মীকে নিয়ে বিক্ষোভ ও হরতালের কর্মসূচি দিতে চিৎকার দিয়ে উঠেন এবং এক সাথে স্লোগান দিতে থাকেন। ওই সময় প্রধান অতিথি কর্মীদের শান্ত থাকতে বলেন। খুব শিগগিরই সরকার সরাতে বড় কর্মসূচি দেবেন বলে জনতার সামনে আশ্বাস দেয়া হয়। বেলা শেষে গরম সমাবেশ থেকে নরম কর্মসূচি পেয়ে অবশেষে বাড়ি ফেরেন তারা।
এছাড়া চার্জশিটভুক্ত আসামি আমান উল্লাহ আমানকে ছেড়ে দিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে আটকে কেউ কেউ দলের ভেতরে দুরভিসন্ধি দেখছেন।
আবার অনেকে মনে করছেন, মহাসচিব অতীতে নেতৃত্ব থাকায় খালেদা জিয়ার আটক ও সাজার প্রতিবাদে কোনো আন্দোলন হয়নি, একাদশ সংসদ নির্বাচনে নানা ক্যু তৈরি ও সমঝোতায় মির্জা ফখরুলের হাত ছিল। মহাসচিব কারাগারে থাকায় এবার হয়তো জানুয়ারিতে সরকারকে বড় ধাক্কা দেয়া সম্ভব হবে। মহাসচিবকে কারাগারে রেখে ১০ ডিসেম্বর বিএনপি সমাবেশ বাস্তবায়নকেও বড় সফলতা দেখা হচ্ছে।
৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণমিছিল : ২৪ ডিসেম্বর যুগপৎ গণমিছিলের পরিবর্তে আগামী ৩০ ডিসেম্বর কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি ও অন্যান্য সমমনা রাজনৈতিক দল। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান কর্মসূচি পরিবর্তনের কথা জানান।
এর আগে ১০ ডিসেম্বর ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে সারা দেশে ২৪ ডিসেম্বর গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। তবে ওই দিন ঢাকায় আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন থাকায় বিএনপিকে কর্মসূচির তারিখ পরিবর্তনের অনুরোধ জানান ওবায়দুল কাদের। ক্ষমতাসীন দলের আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচির তারিখে পরিবর্তন আনছে দলটি। ফলে ২৪ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৩০ ডিসেম্বর হবে ঢাকায় গণমিছিল। আর ঢাকার বাইরে ২৪ ডিসেম্বরই যুগপৎ গণমিছিল করা হবে। সমমনা দলগুলোর সাথে আলোচনা করে এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে বিএনপি।
ঢাকায় ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিলের কর্মসূচির নতুন তারিখ দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের যে আন্দোলন, যথাযথ নির্বাচনের দাবি আদায়ের যে লড়াই, সে জন্য জনগণকে ৩০ ডিসেম্বর স্মরণ করিয়ে দেয়া গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ২০১৮ সালের এই দিনে বর্তমান সরকার দিনের ভোট রাতে করে ক্ষমতায় এসেছে।’
৩০ ডিসেম্বর সারা দেশে গণসমাবেশ গণমিছিলের ঘোষণা গণতন্ত্রমঞ্চের : ৩০ ডিসেম্বর সারাদেশে গণসমাবেশ, গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সাতদলীয় জোট ‘গণতন্ত্রমঞ্চ’। সরকার ও শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে আন্দোলনের এ কর্মসূচি ঘোষণা করে জোটটি । গতকাল সংবাদ সম্মেলনে জোটের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহামুদর রহমান মান্না বলেন, এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হলো। গণতন্ত্রমঞ্চ ওইদিন ঢাকা মহানগরে সমাবেশ শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মিছিল করবে। শুধু আমরা গণতন্ত্র মঞ্চ নই, আজকে আরও অনেক রাজনৈতিক দল যুগপৎ আন্দোলনে যেতে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি দেবে।
শীর্ষ নেতাদের মুক্তি দিতে সাত দফাসহ হেফাজতের আল্টিমেটাম : গতকাল শনিবার রাজধানীতে ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এ সময় নতুন সাত দফা দাবি ও তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সকালে শুরু হওয়া সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য শীর্ষ আলেম-ওলামা ও নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে হেফাজতের নেতা মাওলানা মামুনুল হকসহ নেতাকর্মীদের দ্রুত মুক্তি দাবি করা হয়। হেফাজতের সাবেক আমির শাহ আহমদ শফী ঘোষিত ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়ন ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি, শিক্ষা কারিকুলামে ধর্মশিক্ষার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করাসহ বিভিন্ন দাবিতে হেফাজতে ইসলামের পক্ষে বাংলাদেশের জাতীয় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলন থেকে সাতটি নতুন দাবি ঘোষণা করা হয়েছে।
এগুলো হচ্ছে— ১. অবিলম্বে হেফাজত নেতাকর্মী ও আলেম ওলামাদের মুক্তি দিতে হবে; ২. নেতাকর্মীদের নামে সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে; ৩. ইসলাম ও মহানবী সা.-কে কটূক্তিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে সংসদে আইন পাস করতে হবে; ৪. কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে; ৫. শিক্ষা কারিকুলামে ধর্মশিক্ষার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে; ৬. জাতীয় শিক্ষা কমিশনে হাইয়াতুল উলিয়ার প্রতিনিধি থাকা বাধ্যতামূলক করতে হবে; ৭. বিশ্ব ইজতেমায় বিতর্কিত মাওলানা সাদকে আসার অনুমতি দেয়া যাবে না। এ ছাড়া নতুনভাবে তিনটি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এ সবের মধ্যে রয়েছে— দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলা-উপজেলা কমিটি গঠন করা হবে। দেশের বিভাগীয় শহরে শানে রিসালাত সম্মেলন করা হবে। রাজধানীতে জাতীয় শানে রিসালাত সম্মেলন হবে। খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, অবিলম্বে আলেম-ওলামাদের মুক্তি দিন। তা না হলে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা জীবন দিতে প্রস্তুত। সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হলে তারা ১৩ দফা মেনে নেবে। হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, অবিলম্বে ১৩ দফা বাস্তবায়ন করুন। আলেমদের নিঃশর্ত মুক্তি দিন। না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। মাহফুজুল হক বলেন, নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি না হওয়া এবং জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থায় ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। সরকারের কানে পানি না গেলে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবো ইনশাআল্লাহ। ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে ইসলাম অবমাননা হবে, ইসলামী শিক্ষা সঙ্কোচন হবে এটি মেনে নেয়া হবে না। সংগঠনের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহিয়া, আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজি, মাওলানা মুহিবুল হক, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মাওলানা ফুরকানউল্লাহ খলিল, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী, ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানা, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রিস, প্রচার সম্পাদক মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারি প্রমুখ।
আমিরের মুক্তিতে বিক্ষোভ ও আন্দোলনের হুঁশিয়ারি জামায়াতের : জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নেয়ার প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে দলটি। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা কমলাপুর রেলস্টেশনের সামনে থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মু. দেলাওয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান, মু. শামছুর রহমান।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, দেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ও সব অপশক্তির বিরুদ্ধে জামায়াত সব সময়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে এসেছে। দেশের মানুষ যখনই কোনো বিপদ ও দুর্যোগের সম্মুখীন হয়েছে তখনই আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান মানবিক সাহায্য নিয়ে সবার কাছে ছুটে গেছেন। সাজানো অভিযোগে আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে সাত দিনের রিমান্ড দিয়েছে। আমরা ক্ষমতাসীনদের হুঁশিয়ার করে বলতে চাই— অনতিবিলম্বে ডা. শফিকুর রহমানের মামলা বাতিল করে তাকে মুক্তি দিন। অন্যথায় জনগণ আর ঘরে বসে থাকবে না। সব জুলুম অত্যাচার-নিপীড়নের সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
বিএনপির সাথে কর্মসূচি ঘোষণা ১৫ দিন চলারও রিজার্ভ নেই দাবি কর্নেল অলির : লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের নামে মানুষকে কবর দিয়েছে। বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর বানাতে গিয়ে মানুষের হাতে ভিক্ষার ঝুলি ধরিয়ে দিয়েছে। দেশে ১৫ দিন বা এক মাস চলার মতো বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ নেই। দেশীয় মুদ্রার ভয়ঙ্কর সংকট সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের আয়ের তুলনায় ব্যয়ের পরিমাণ তিনগুণ বেড়েছে। গতকাল রাজধানীতে একটি কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। এদিকে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপির সঙ্গে রাজপথে থাকবে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি)। আগামী ৩০ ডিসেম্বর বেলা ৩টায় রাজধানীর পূর্বপান্থপথস্থ এলডিপি কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল করবে দলটি। মিছিল মালিবাগ মোড়ে গিয়ে শেষ হবে। গতকাল শনিবার বিকেলে এক বিবৃতিতে এলডিপির প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম এ কথা জানান।
৩০ ডিসেম্বর এক ব্যানারে জোটের ১১ দল ঢাকায় বিক্ষোভ করবে : যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি হিসেবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরীতে ২০ দলীয় জোটভুক্ত ১১টি দল গণমিছিল কর্মসূচি পালন করবে। নেতারা বলেন, বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা কর্মসূচির আলোকে ভোট জালিয়াতি ও ভোটচুরির প্রতিবাদে, অনির্বাচিত দুর্নীতিবাজ সরকারের পদত্যাগ, নিত্যপ্রয়োজনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং গ্রেপ্তারকৃত সব রাজনৈতিক নেতার মুক্তি দাবিতে এ গণমিছিল কর্মসূচি পালন করা হবে। বিবৃতিদাতারা হলেন— জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, বীর প্রতীক, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপি চেয়ারম্যান কারী মোহাম্মদ আবু তাহের, বাংলাদেশ এলডিপি মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল রকিব, মুসলিম লীগের মহাসচিব শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম মহাসচিব গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব, অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক, কমরেড সৈয়দ নুরুল ইসলাম।