উদ্বোধনের অপেক্ষায় বাণিজ্যমেলা

রফিকুল ইসলাম, পূর্বাচল প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২২, ০১:৩৫ এএম
উদ্বোধনের অপেক্ষায় বাণিজ্যমেলা

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন হতে যাচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৭তম আসর।

রাজধানীর উপকণ্ঠে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার স্থায়ী সেন্টার বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে নতুন স্যাটেলাইট শহর পূর্বাচলের ৪ নম্বর সেক্টর কাঞ্চন ব্রিজের পাশে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৩ সালের প্রথম দিন থেকে অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টায় বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করবেন।

মেলা আয়োজনের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। উদ্বোধনের আর মাত্র তিনদিন বাকি। ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উপলক্ষে মাসব্যাপী কুড়িল থেকে ভেন্যু পর্যন্ত যাত্রী আনা-নেয়ার জন্য ৫০টি শাটল বাস চালু করবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন। সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলাচল করবে শাটল বাসগুলো। যাত্রীপ্রতি ৩৫ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে। প্রবেশ মূল্য বড়দের জন্য ৪০ টাকা এবং  অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

রাজধানী থেকে কুড়িল হয়ে এশিয়ার সবচেয়ে  দৃষ্টিনন্দন এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে মেলায় যেতে হবে। গেল বছরের তুলনায় এবারের এক্সপ্রেসওয়ে বেশ গুছানো। প্রতিবছরের মতো এবারো বাণিজ্য মেলায় সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, তুরস্ক, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারতসহ ১২টি দেশ বাণিজ্য মেলায় অংশ নেবে। মেলায় মোট ৩৫১টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন স্থাপন করা হয়েছে এবং বিদেশি কোম্পানির জন্য ২০টির মতো স্টল বরাদ্দ করা হবে বলে জানান রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর চেয়ারম্যান।

জাতীয় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বলছে, গত মেলার তুলনায় এবারের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও ভালো হয়েছে। তাই এবারের আয়োজন অনেক ভালো হবে।  মেলার পরিসরও বাড়ানো হয়েছে। মেলায় অংশ নেয়া দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও গতবারের চেয়ে অনেক বেশি বলে জানায় মেলা কর্তৃপক্ষ। ২০২২ সালের মেলা নতুন ভেন্যু হওয়ায় ও কোভিডের কারণে অনেকে মেলায় আসতে পারেননি।ধারণা করা হচ্ছে, এবার গ্রাম ও শহরের এক মিলন মেলায় পরিণত হবে বাণিজ্য মেলারএই নতুন ভেন্যু।

এছাড়াও নিয়মিত যাতায়াত করা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বিআরটিসি বাস বা গাড়িতে মেলায় যেতে পারবেন সবাই। এবার মেলায় প্রদর্শিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কারপেট, কসমেটিকস অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহ-সামগ্রী, চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি।

মেলার নিরাপত্তায় এক্সিবিশন সেন্টারে বিল্ট ইন ১৬০ সিসিক্যামেরার পাশাপাশি থাকছে অতিরিক্ত ৬০টি সিসিটিভি ক্যামেরা যা মেলা প্রাঙ্গণের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন করা হয়েছে। মেলায় প্রবেশ গেটে পর্যাপ্ত আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরের ব্যবস্থা হবে। অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে মেলায় সার্বক্ষণিক ফায়ার ব্রিগেড নিয়োজিত থাকবে।

আগত দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে সর্ববৃহৎ পার্কিং ব্যবস্থা। মেলায় একটি অস্থায়ী মনিটরিং সেল থাকবে সেখান থেকে মেলার সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিং করা হবে। থাকছে তথ্য কেন্দ্র, জনতা ব্যাংক, নামাজের ব্যবস্থা  ও বেশ কয়েকটি ব্যাংকের এটিএম বুথ। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টিও থাকবে। গত মেলার মতো মা ও শিশুর কথা বিবেচনা করে দুটি মা ও শিশু কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।