বছরের প্রথম দিন থেকেই ঢাকার পূর্বাচলে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা-২০২৩। গত রোববার পূর্বাচলে মেলার স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেলার তৃতীয় দিনে গতকাল মঙ্গলবার মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করে দেখা যায় ধীরে ধীরে জমে উঠছে বাণিজ্যমেলা।
সকাল থেকে দর্শনার্থীদের খুব একটা ভিড় না থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমানুপাতিক হারে বাড়ছে দর্শনার্থীদের আনাগোনা। এবারের মেলায় মোট ৩১১ স্টলের মধ্যে বিদেশি স্টল থাকবে ১৭টি। এর মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফার্নিচার এবং ইলেকট্রনিকস সামগ্রীর স্টলগুলো ক্রেতা এবং দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে। এ ছাড়া খাদ্যসামগ্রীর স্টলগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা লক্ষ করা যাচ্ছে।
বেচাকেনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মেলায় আগত বিক্রয় প্রতিনিধিরা বলছেন, সবেমাত্র মেলা শুরু হয়েছে। দর্শনার্থীরা আসছেন। দিন গেলে বেচাকেনা বাড়বে বলে আশা করছি আমরা। এবারের মেলা অন্যবারের চাইতে জমজমাট হবে, শুরু থেকেই ক্রেতাদের বেশ সাড়া পাচ্ছি। মেলা শুরু হওয়ার আগে আমাদের শঙ্কা ছিল, ঢাকা থেকে কিছুটা দূরে হওয়ায় হয়তো লোক কম হবে। তবে মানুষের সাড়া দেখে আমরা অভিভূত।
মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থী এবং ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা থেকে দূরত্বটা তাদের জন্য বেশি হয়ে যায় তবে গতবারের চেয়ে এবার ৩০০ ফিট সড়ক সংস্কার হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার ভেতরে পূর্বাচলের ৪ নম্বর সেক্টরে বসেছে এই মেলা। মেলায় আসা বেশির ভাগ ক্রেতাই নিজেদের ব্যক্তিগত গাড়িতে এসেছেন। যাদের ব্যক্তিগত গাড়ি নেই তাদের জন্য বিআরটিসির ৭০টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
মেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সার্বিক দায়িত্বে আছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি আনসার এবং মেলার নির্দিষ্ট নিরাপত্তারক্ষীরাও সমন্বয়ের মাধ্যমে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। মাসব্যাপী সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে মেলা। ছুটির দিনে খোলা থাকবে রাত ১০টা পর্যন্ত। প্রবেশমূল্য বয়স্কদের জন্য ৪০ ও শিশুদের জন্য ধরা হয়েছে ২০ টাকা। মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য কুড়িল থেকে মেলা পর্যন্ত বিআরটিসির শাটল বাস থাববে।