মডেল উপজেলা গড়তে কাজ করছেন চেয়ারম্যান জাবেদ

মো. তারেক পাঠান, পলাশ (নরসিংদী) প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২৩, ০২:০০ এএম
মডেল উপজেলা গড়তে কাজ করছেন চেয়ারম্যান জাবেদ

চারটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে ৯৪.৪৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনে গঠিত নরসিংদীর পলাশ উপজেলা। ২০১৪ সাল থেকে এখন অবধি দুই দফা উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন সৈয়দ জাবেদ হোসেন।

এ ছাড়া তিনি পলাশ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শনা বাস্তবায়নে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সহযোগিতায় সংগঠন সুসংগঠিত করেছেন বলে দাবি তার। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের গুরুত্ব পূর্ণ পদে রয়েছেন।

পলাশ উপজেলার উন্নয় পরিকল্পনা সম্বলিত কাজগুলো তিনি কিভাবে বাস্তবায়ন করছেন সেসব বিষয়ে জানতে চাইলে আমাদের প্রতিনিধি মো. তারেক পাঠানের সাথে কথা বলেছেন, চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন।

জানতে চাইলে চেয়ারম্যান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে দিন-রাত নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমার রাজনৈতিক অভিভাবক, সংসদ সদস্য উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ ভাইয়ের সহযোগিতায় পলাশ উপজেলার দৃশমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি উপজেলাকে দুর্নীতিমুক্ত ডিজিটাল ও আলোকিত উপজেলা গড়তে কাজ করছি।

‘বিগত দিনে সরকারি অর্থায়নে রাস্তাঘাট, কালভার্ট, ব্রিজ, পুরাতন রাস্তা মেরামত, নতুন রাস্তা নির্মাণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নতুন ভবন নির্মাণ, পুরাতন ভবন সংস্কার, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন, উপজেলার আনাচে-কানাচে অসংখ্য স্ট্রিটলাইট স্থাপন, আধুনিক মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়াম, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির নির্মাণ, উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে সোলার প্যানেল স্থাপন, হতদরিদ্র মানুষদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর যথাযথ বিতরণ ও উপজেলাবাসীর জনসেবা নিশ্চিতকরণসহ অসংখ্য উন্নয়নকাজ করেছি। নির্বাচনের আগে যে সব কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তার অধিকাংশ কাজের প্রতিশ্রুতি পলাশবাসী ইতোমধ্যে পেয়েছে। বাকি কাজগুলো চলমান।’

সৈয়দ জাবেদ হোসেনের মূল লক্ষ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, উপজেলার উন্নয়নের পাশাপাশি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা, চুরি-ডাকাতি, নারী নির্যাতন বন্ধ করা,গরিব লোকদের স্যানিটেশন, গৃহহীনদের পুর্নবাসন, চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণ, মাদকমুক্ত সমাজ গঠন, বয়স্ক মানুষের মধ্যে শতভাগ ভাতা পূরণ, প্রতিবন্ধী ও বিধবাদের পুনর্বাসন করা।

এ ছাড়া বহিরাগত সন্ত্রাস, ভূমির দালাল, ভূমি নিয়ে মানুষকে হয়রানি বন্ধ, বাল্যবিয়ে নির্মূল করা, শিক্ষানগরী উপজেলা গঠন করা, মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা, খেলাধুলা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা, কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে কৃষিউপকরণ বিতরণ করাসহ পলাশবাসী যে সব উন্নয়নের স্বপ্ন দেখে আসছেন তা বাস্তবে প্রতিষ্ঠিত করাই আমার মূল লক্ষ্য। 

উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যম আয়ের দেশ ও উন্নত দেশ হিসেবে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয়ে দুর্নীতিমুক্ত ডিজিটাল উপজেলায় গড়ে তুলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করা।