২১০০ সালের মধ্যেই ডুবে যাবে এশিয়া মহাদেশের বড় বড় বেশ কয়েকটি শহর। নতুন ওই গবেষণায় জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি সমুদ্রের সাধারণ বৈশিষ্ট্যের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরেই সাবধান করে আসছেন যে, সমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হিমবাহ গলছে স্বাভাবিকের থেকে কয়েক গুণ বেশি। ফলে অত্যন্ত দ্রুত সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।
সম্প্রতি ‘ন্যাচার ক্লাইমেট চেঞ্জ’ জার্নালে নতুন এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়। এতে এমন কিছু বিষয় যুক্ত করেছেন গবেষকরা যা এর আগে বিবেচনায় আনা হয়নি। গবেষণায় বলা হয়েছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে রয়েছে। এশিয়ার বেশ কয়েকটি মেগাসিটি এখনই চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তবে প্রাকৃতিক বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা বেশ কঠিন কারণ এগুলো বেশ অনিশ্চিত।
এরপরও বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মেগাসিটিগুলো সবথেকে বেশি ঝুঁকিতে আছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় গত শতাব্দীর তুলনায় ১৮ গুণ বেশি বন্যা হবে এ শতাব্দীতে। গবেষণায় ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে যে, অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূল বরাবর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা অনেক বেশি বাড়বে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে শুধুমাত্র এশিয়ান মেগাসিটিগুলোতে পাঁচ কোটি মানুষের জীবনের ওপর প্রভাব ফেলবে। এর মধ্যে তিন কোটিই ভারতের।
এছাড়া ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটির ৯০ লাখ, ব্যাংককের এক কোটি ১০ লাখ এবং ইয়াঙ্গুনের ৫৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে এসব প্রভাব টের পেতে এই শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন যদি বর্তমান হারেই অব্যাহত থাকে তাহলে বিপদ আরও দ্রুত ঘনিয়ে আসবে।