রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম এক টাকা বাড়িয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন থেকে রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলারের বিপরীতে ১০৫ টাকা পাবেন। এতদিন যা ছিল ১০৪ টাকা। তবে অপরিবর্তিত আছে রেমিট্যান্সের রেট। ব্যাংকিং বা বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী শ্রমিকরা রেমিট্যান্স পাঠালে প্রতি ডলারে পাবেন ১০৭ টাকা। সঙ্গে সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনাও পাবেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নতুন এ দাম ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাফেদার চেয়ারম্যান এবং সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. আফজাল করিম, এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেনসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা।
বৈঠক প্রসঙ্গে সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আফজাল করিম বলেন, ‘আজকের যৌথ সভায় রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম এক টাকা বাড়িয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন থেকে রপ্তানি আয়ের বিপরীতে প্রতি ডলারে ১০৫ টাকা দেয়া হবে আর রেমিট্যান্সে আগের মতো ১০৭ টাকা পাবেন।
কিছু ব্যাংক আগ্রাসী হয়ে বেশি দামে ডলার কিনছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাফেদার চেয়ারম্যান জানান, এবিবি ও বাফেদা যৌথভাবে সবাই একমত হয়ে ডলারের রেট পুনর্নির্ধারণ করেছি। আজকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে; সবাই জানিয়েছেন এই নির্ধারিত রেটেই ডলার কিনবেন। তারপরও যদি কেউ বেশি দামে ডলার নেয় তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। এটা দেখার দেখার দায়িত্ব নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে তারা সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশে ডলার-সংকট শুরু হয়। সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু তাতে ডলারের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে গত বছর সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব দেয় এবিবি ও বাফেদার ওপর। এরপর দুই সংগঠন যৌথভাবে ডলারের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে।