সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, গাছপালা শব্দে সাড়া দিতে পারে। এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কাছাকাছি উড়ে উড়ে শব্দ করতে থাকা পতঙ্গকে প্রলুব্ধ করতে গাছ তার ফুলের নেকটারে চিনির ঘনত্ব বাড়িয়ে দিতে পারে।
এ ছাড়াও বিজ্ঞানীরা আগেই জেনেছেন যে, গাছপালা চাপে থাকলে নানা উপায়ে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। যেমন, তারা পাতার রঙ বদলে ফেলে, নিজের স্বাদ তিক্ত করে বা গন্ধ ছড়িয়ে তারা বিপদে পড়ার বার্তা অন্য গাছপালাকে জানাতে পারে। তবে এবার যুগান্তকারী এক গবেষণায় উঠে এসেছে, গাছ কথাও বলতে পারে!
ইসরায়েলি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তারা গাছের বলা ‘শব্দ’ শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। খবর টাইমস অব ইসরায়েল ও সিটিভি নিউজের। তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের যুগান্তকারী গবেষণাটি বৃহস্পতিবার মর্যাদাপূর্ণ বৈজ্ঞানিক জার্নাল ‘সেল’-এ প্রকাশিত হয়েছে। ইসরায়েলি গবেষকরা যে শুধু গাছের ‘শব্দ’ শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন তা-ই নয়, তারা জানিয়েছেন, গাছের একেক প্রজাতি একেক ধরনের ‘ভাষায়’ নিজেদের মধ্যে কথোপকথন চালায় বলেও তারা জানতে পেরেছেন।
গবেষকরা জানিয়েছেন, একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে তারা মানসিকভাবে চাপে থাকা উদ্ভিদের করা শব্দ ধারণ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, উদ্ভিদ ক্লিকের মাধ্যমে ‘কথোপকথন’ চালায়। এই শব্দ পপকর্ন ভাজার সময় তা ফেটে গেলে যে ধরনের শব্দ হয় অনেকটা সে রকম। এই নিঃসৃত শব্দ অনেকটা মানুষের কথা বলার মতোই, তবে এর ফ্রিকোয়েন্সি থাকে অনেক বেশি, যা মানুষের শ্রবণ সীমার বাইরে।