- ১২০০ দোকান ভস্মীভূত
- ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি
- নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত নিউমার্কেট বন্ধ
- ডিএসসিসিকে দায়ী করছেন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা
- ফায়ার সার্ভিসের ৩০ ইউনিটের চেষ্টায় নির্বাপণ
- ফায়ার কর্মীসহ ৩০ জন হাসপাতালে
বিভিন্ন সময়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি হবে —স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আগুনের ঘটনাগুলো নাশকতা হলে কঠোর ব্যবস্থা —আইজিপি
নাশকতার আগুন কি-না খতিয়ে দেখার অনুরোধ থাকবে —ফায়ার ডিজি
আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সার্বক্ষণিক কাজ চলবে —র্যাব
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ শতকোটি টাকা —বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি
রাজধানীতে ১০ দিনের ব্যবধানে নিউ সুপার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বঙ্গবাজারের স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতে ফের এমন দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ী, সচেতন মহল ও স্বার্থসংশ্লিষ্টরা উদ্বিগ্ন। মাত্র এক সপ্তাহ পর পবিত্র ঈদুল ফিতর। সারা বছর ব্যবসায়ীরা ঈদের অপেক্ষায় থাকেন। ঈদ উপলক্ষে নতুন পোশাকের পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। করোনাকালীন দুই বছর লোকসানের পর এবার পুরোদমে ব্যবসা করবেন এমন আশাই ছিল ব্যবসায়ীদের মনে। কিন্তু এত বড় বিপদের মুখে পড়তে হবে ঘুনাক্ষরেও কল্পনা করতে পারেনি কেউ।
গতকাল শনিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে নিউ সুপার মার্কেটে লাগা আগুনে মার্কেটের তিন তলা ভবনে প্রায় ১২শটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ীরা শতকোটি টাকার ক্ষতির কথা জানান। ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা এটিকে বঙ্গবাজারের সাথে তুলনা করতে চান। বারবার এমন দুর্ঘটনায় ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে ধারণা করেন। দুই মার্কেটেই আগুন লাগার সময় মোটামুটি একই। বঙ্গবাজারে আগুন লেগেছিল ভোর ৬টা ১০ মিনিটে, আর গতকাল নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগে ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে। দুই মার্কেটেই ক্ষতির চিত্রেও মিল রয়েছে। ঈদের আগে বেচাকেনার জন্য আলাদাভাবে প্রস্তুতি নেয়া ছিল ব্যবসায়ীদের। আগুন কেড়ে নিয়েছে সব।
নিউ সুপার মার্কেট মূলত কাপড়ের মার্কেট। এখানে শাড়ি, লেহেঙ্গা, থ্রি-পিস, শার্ট-প্যান্ট এবং পাঞ্জাবিসহ নানা ধরনের কাপড় ছিল। এছাড়া খেলনা ও আসবাবপত্রসহ নানা ধরনের পণ্য ছিল। মোটামুটি ঘণ্টা চারেকের আগুনে পুড়েছে নিউ সুপার মার্কেট। তাতেই সর্বনাশ যা হওয়ার হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ব্যবসায়ীরা মার্কেটের ভেতরে ঢুকে দেখছেন সব শেষ। যে কাপড়গুলো পোড়েনি সেগুলোও নষ্ট হয়েছে পানিতে ভিজে। দুপুরেও এই মার্কেট থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ দোকানে ঢুকে কাগজপত্র, টাকাপয়সা যা পাচ্ছেন বস্তায় ভরে বের করছেন। কবির মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের যা ক্ষতি হওয়ার তা তো হয়েই গেছে।
এখন ঘুরে দেখছি কোনো কূলকিনারা পাওয়া যায় কি না। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আমার পাইকারি দোকানে বিশ লাখেরও বেশি টাকার কাপড় ওঠানো ছিল। আজ হোলসেল ডেলিভারি দেয়ার জন্য অনেকগুলো প্যাকেট কমপ্লিট করে রাতে বাসায় গিয়েছিলাম। সকালে এসে দেখলাম সব শেষ। এখন কীভাবে ঘুরে দাঁড়াব সেটি বুঝতে পারছি না। সামসুল আলম নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, আমার দোকানে শীতের জ্যাকেট ও তুলার তৈরি গরম কাপড় রাখা ছিল। আগুনে না পুড়লেও পানির ছাটে নষ্ট হয়ে গেছে।
এগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তারপরও কর্মচারীদের সাথে নিয়ে সবগুলো বের করার চেষ্টা করছি। কীভাবে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠব তা বুঝতে পারছি না। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা জোনের ডিসি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করেছে। আমরা খেয়াল রাখছি যেন কোনো দুষ্কৃতকারী এই জায়গায় কোনো ধরনের ঝামেলা তৈরি করতে না পারে।
যেভাবে আগুনের সূত্রপাত : ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটে গতকাল শনিবার সকালে আগুন লেগে পুড়ে গেছে শতাধিক দোকানের জিনিসপত্র। বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে এ আগুন লাগতে পারে বলে মনে করেন ওই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট (দক্ষিণ) বণিক সমিতির সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, তারা সকাল পৌনে ছয়টার দিকে মার্কেটের নিরাপত্তারক্ষীদের কাছ থেকে আগুন লাগার খবর পান। ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘নিরাপত্তারক্ষীরা আমাদের জানিয়েছে, ভোর চারটার দিকে (সাহরির সময়) সিটি কর্পোরেশনের একদল লোক নিউ সুপার মার্কেটের পূর্ব পাশের সিঁড়ি বিনা নোটিসে ভাঙতে আসেন।
নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের অনেকবার নিষেধ করেন, সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। অন্তত আগে বিদ্যুৎসংযোগ বন্ধ করে নিতে বলেন, কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের লোকজন কারো কথা না শুনে সিঁড়ি ভাঙা শুরু করেন। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই হঠাৎ মার্কেটের নিচতলা ও তিনতলায় বিকট শব্দ হয় এবং ধোঁয়া বের হতে থাকে।’ ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট (দক্ষিণ) বণিক সমিতির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব কাজী আবুল খায়েরও একই কথা জানান। তিনি মনে করেন, নিয়ম না মেনে, বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ না করে সিঁড়ি ভাঙার কারণে আগুন লাগতে পারে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যবসায়ীরা বলেন, গত রমজান মাসে ওই সিঁড়ি ঝুঁকিপূর্ণ বলে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছিল সিটি কর্পোরেশন। কিন্তু গত এক বছরেও তারা এ বিষয়ে কিছু করেনি। এদিকে ব্যবসায়ীদের দাবির কয়েক ঘণ্টা পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এক বিবৃতিতে বলেছে, আগুনের সঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের কাজের সম্পর্ক নেই। কারণ হিসেবে তারা বলেছে, নিউ মার্কেট সংলগ্ন একটি পথচারী পারাপার সেতুর সঙ্গে নিউ সুপার মার্কেটের সংযোগ দাপ্তরিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আগুন লাগার আধা ঘণ্টারও আগে তাদের কাজ শেষ হয়।
শতকোটি টাকা ক্ষতির শঙ্কা : বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন, নিউ সুপার মার্কেটে লাগা আগুনে আড়াইশটির মতো দোকান পুড়েছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ শতকোটি টাকা। তিনি বলেন, আগুন লাগা নিউ সুপার মার্কেটের তিন তলা ভবনে ১২শটির মতো দোকান রয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত ধারণ করছি, প্রায় ২৫০টির মতো দোকান পুড়ে গেছে। কারণ এক পাশ আগুনে একেবারে পুড়ে গেছে। এছাড়া অনেকগুলো দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পর ভেতরে ঢুকলে আসল চিত্রটি জানা যাবে। আমরা এখনো ভিতরে ঢুকতে পারিনি।
এদিকে নিউ সুপার মার্কেটের এই আগুনের জন্য সিটি কর্পোরেশনকে দায়ী করছেন মার্কেটের মালিক সমিতির সভাপতি মো. শহিদুল্লাহ। তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের লোক রাত ৩টার দিকে ব্রিজ ভাঙার কাজ করছিল। ব্রিজের ওখানে আমাদের কারেন্টের লাইন আছে সেটা তারা খেয়াল করেনি। ওই লাইনের ওপর বুলডোজার চালানোর সময়ই আগুনের সূত্রপাত হয়। তারা কোনো পরিকল্পনা না করে এই ব্রিজ ভাঙার কারণেই আজ এই দশা হয়েছে।
নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়ে খোলা হবে মার্কেট : পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত নিউমার্কেট খোলা হবে না বলে জানিয়েছেন নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন। তিনি বলেন, নিউমার্কেটের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি। সব দোকান মালিকদের নিয়ে আমরা এখানে অবস্থান করছি। যতক্ষণ পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত না হবে অর্থাৎ সম্পূর্ণভাবে আগুন না নিভবে ততক্ষণ পর্যন্ত মার্কেট খোলা হবে না। সবার সাথে বসে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিভিন্ন সময়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি হবে —স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : বিভিন্ন সময়ের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন। গতকাল শনিবার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, এসব ঘটনা নাশকতা কি-না, তা খতিয়ে দেখা হবে। অগ্নিকাণ্ডে ঘটনাগুলোতে গোয়েন্দাদের গাফিলতি ছিল না। এসব ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তারপরও দেখা হবে এসব ঘটনা নাশকতা ছিল কি না। কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে। রাজধানীর বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড এর মধ্যে অন্যতম। সর্বশেষ ঢাকার নিউমার্কেটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
আগুন নাশকতা কি-না, খতিয়ে দেখার অনুরোধ ফায়ারের ডিজির : ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেছেন, ঈদের আগে কেন মার্কেটে মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে। গতকাল শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিস মহাপরিচালক নিউমার্কেটের ৪ নম্বর গেটের সামনে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।
ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন রাখেন, ঈদের ঠিক আগে একের পর এক মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে। অধিকাংশ আগুন ভোরে ঘটছে। ব্যবসায়ীরা অধিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এই আগুনের ঘটনাগুলো একই সূত্রে গাঁথা কি না? নাশকতা কি না? জবাবে ফায়ার সার্ভিস মহাপরিচালক বলেন, আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অনুরোধ করব এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য। কেন একের পর এক মার্কেটগুলোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে।
আগুনের ঘটনাগুলো নাশকতা হলে কঠোর ব্যবস্থা —আইজিপি : সমপ্রতি দেশে ঘটে যাওয়া কয়েকটি বড় অগ্নিদুর্ঘটনা নাশকতা হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির আয়োজনে পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অসহায় মানুষের মাঝে ইফতারসামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। গতকাল ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার নিউ সুপার মার্কেটে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ৩০ ইউনিটের চেষ্টায় সকাল ৯টা ১০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
নিউমার্কেটের আগুন নাশকতা কি-না, খতিয়ে দেখছে র?্যাব : রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটে লাগা আগুন নাশকতামূলক ঘটনা কি না তা খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমেছে র?্যাবের তদন্ত দল। গতকাল বিকেলে বিষয়টি জানিয়েছে র?্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইং। র?্যাবের লিগ্যাল আ্য্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান জানান, নিউমার্কেট এলাকার অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর র্যাবের টহল দল ও সাদা পোশাকে র?্যাব সদস্যদের দল ঘটনাস্থলে যায়। তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করে। র?্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার করেন এবং মাইকিংয়ের মাধ্যমে উৎসুক জনতাকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সার্বক্ষণিক কাজ করেন।
তিনি আরও জানান, আগুনের ঘটনার পেছনে কোনো ধরনের নাশকতা রয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে র?্যাবের গোয়েন্দারা কাজ করছে। এএসপি আ ন ম ইমরান খান জানান, নিউ সুপার মার্কেটের বিভিন্ন দোকান থেকে মালামাল বের করে দোকান মালিকদের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করতে সহযোগিতা করেন র?্যাবের সদস্যরা। এছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থার সদস্য ও ভলান্টিয়ারদের খাবার পানি সরবরাহ করেন র?্যাব সদস্যরা।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যসহ আহত ৩০ জন হাসপাতালে : রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত ও ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে মোট ৩০ জন ঢাকা মেডিকেল ও বার্ন ট্রিটমেন্টসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গতকাল শনিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে নিউ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের ২৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-মিডিয়া) শাহজাহান সিকদার জানান, অগ্নিদুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের অফিসার তিনজন, ফায়ারফাইটার ২১ জন, ভলান্টিয়ার দুজন, আনসার সদস্য দুজন, স্কাউট একজন এবং বিমান বাহিনীর একজন সার্জেন্টসহ মোট ৩০ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল ও বার্ন ট্রিটমেন্টসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, যেহেতু এখানে সব দাহ্য পদার্থ তাই আগুন পুরোপুরি নির্বাপণে আমাদের আরও সময় লাগবে। এখন আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ ও ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে। যে কারণে ধোঁয়ার সৃষ্টি হচ্ছে।