- সেপ্টেম্বরে ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
আগামীতেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী
—বিজেপি সভাপতি
সম্পর্ক অটুট রাখতে কাজ করব
—বিজেপি সেক্রেটারি
বন্ধুত্ব আরও মজবুত হয়েছে
—আ.লীগ প্রতিনিধিদলের প্রধান
এখন আন্তরিকতা যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি উচ্চতায়
—ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের পাঁচ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল ভারত সফর করে দেশে ফিরেছে। এ সফর নিয়ে দেশের রাজনৈতিক মহলে বেশ আগ্রহসহ চলছে নানা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ। দুদেশের বিশ্লেষকরা এ নিয়ে নানা বিশ্লেষণও করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্ক সব সময়ই ভালো। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুগের পর যুগ সুসম্পর্ক রয়েছে ভারতের বর্তমান প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসেরও। কিন্তু ভারতীয় ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সঙ্গেও যে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক গভীর— তা নিয়ে সংশয় কেটে গেছে সাম্প্রতিক সফরে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল ভারতীয় জনতা পার্টির শীর্ষ দুই নেতা ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ শীর্ষ বেশ কজন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর দুই দলের পক্ষ থেকেই বলা হয় সম্পর্কটা অনেক উঁচুতে। অতীতের সব সময়ের চেয়ে গভীর। ফলে এটি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা বলছেন অনেকেই। যেখানে আওয়ামী লীগ-কংগ্রেস সম্পর্ক অর্ধশতাব্দীরও বেশি, সেখানে কংগ্রেসের প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে আওয়ামী লীগের দূরত্ব হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি; বরং কংগ্রেস ও বিজেপি উভয়ের সঙ্গে সমান্তরাল সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদল ভারতে তখন জার্মানভিত্তিক প্রভাবশালী একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছে ‘শেখ হাসিনার পাশেই দাঁড়াল বিজেপি’। অর্থাৎ ওই সংবাদমাধ্যমটি বলতে চাচ্ছে— সাম্প্রতিক ওই সফরের বার্তা হচ্ছে আওয়ামী লীগের পাশে যে বিজেপি রয়েছে, তা ভোটের আগে বুঝিয়ে দেয়া। এদিকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মনে করেন, বিদেশে আওয়ামী লীগের বন্ধু রয়েছে; কিন্তু কোনো প্রভু নেই। আওয়ামী লীগ নেতাদের ভারত সফরের কারণে বিরোধী দল বিএনপি হতাশায় পড়েছে বলেও মনে করেন ক্ষমতাসীন দলের এই সাধারণ সম্পাদক। তবে একজন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক বলছেন, এই সফর নির্বাচনকেন্দ্রিক নাও হতে পারে। এ অঞ্চলে জঙ্গি দমন ও নিরাপত্তার জন্য ভারত সব সময় আওয়ামী লীগের ওপরই বেশি আস্থাশীল। সে কারণে দেশটির ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায়।
ভারত সফর শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে। ওই প্রতিনিধিদলের প্রধান কৃষিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক সংবাদ সম্মেলনে সফর নিয়ে কথা বলেন। এ সময় তিনি জানান, ‘ভারতের সঙ্গে তার দলের সম্পর্ক অনেক উঁচুতে। দ্বিপক্ষীয় সফরের মাধ্যমে এ সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী লিখিত বক্তব্যে বলেছেন দুই দেশ সম্পর্কের সোনালি অধ্যায় পার করছে।’
ভারত সফর নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনায় আব্দুর রাজ্জাক জানান, ভারতীয় জনতা পার্টির আমন্ত্রণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল গত ৬ থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত ভারত সফর করে। ৬ আগস্ট আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদল ভারতের দিল্লিতে পৌঁছায় এবং ৭ ও ৮ আগস্ট বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ ও বিজেপি নেতৃবৃন্দ এবং ভারত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়। তিনি আরও বলেন, ৭ আগস্ট সকালে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রেসিডেন্ট জগত প্রকাশ নাড্ডার সঙ্গে তার বাসভবনে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বিষয়ের মধ্যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জঙ্গিবাদ দমন ও আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বিজেপি প্রেসিডেন্ট জেপি নাড্ডা বলেন, তার দল এ অঞ্চলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সন্ত্রাস দমনের স্বার্থে অতীতের মতো আগামীতেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। ওইদিন দুপুরে বিজেপির প্রধান কার্যালয়ে বিজেপির জেনারেল সেক্রেটারি বিনোদ তড়ের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে বিনোদ তড়ে বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের বর্তমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। আমাদের দুই বন্ধুপ্রতিম দল এ সম্পর্ক অটুট রাখতে কাজ করে যাবে। একইদিন বিকালে ভারতের পার্লামেন্টে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জয় শঙ্করের সঙ্গে তার দপ্তরে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ড. জয় শঙ্কর বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে দুই দেশের মধুর সম্পর্ক যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি উচ্চতায়।
৮ আগস্ট ভারতের পার্লামেন্টের লিডার অব দি আপার হাউস (রাজ্যসভা) ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল এবং ভারতে জি-২০ সম্মেলনের কোঅর্ডিনেটর ও ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যসভায় বিজেপির দলনেতা পীযূষ গয়াল বৈঠকে আশা প্রকাশ করেন, এ অঞ্চলের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, খাদ্যশস্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশ যাতে কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়টি ভারত সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে। একইসঙ্গে ভারত যাতে বাংলাদেশ থেকে আরও পণ্য আমদানি করতে পারে, সেজন্য তিনি আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদলের কাছ থেকে সক্রিয় সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন এবং বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যের তালিকা প্রস্তাবের অনুরোধ জানান।
বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর জি-২০ ফোরামের ভারতের কোঅর্ডিনেটর হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে অনুষ্ঠিত পৃথক বৈঠকে তিনি আগামী ৯-১০ সেপ্টেম্বর ভারতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণের বিষয়টি উল্লেখ করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল ভারত সফরকালে বিজেপির মহিলা সংগঠন মহিলা মোর্চা, যুব সংগঠন যুব মোর্চা, বিজেপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটি ও ভারতীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় করে। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা নয়াদিল্লির ওয়ার মিউজিয়ামও পরিদর্শন করেন।
বিজেপির আমন্ত্রণে আওয়ামী লীগ নেতাদের ভারত সফর নিয়ে গত ৮ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলন, নিয়মের অংশ হিসেবেই ভারত সফর। তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে একটি নিয়ম আছে। প্রতিনিধি তাদেরও আসবে, আমাদেরও যাবে। চীনের সঙ্গেও সফরবিনিময় হয়েছে। এবার ভারতে গেছে আমাদের প্রতিনিধিদল। করোনার কারণে আমরা নিয়মটি দেরিতে পালন করছি। তিনি বলেন, ভারতে আমাদের প্রতিনিধি যাওয়ার পর বিএনপি নেতাদের চোখে-মুখে দুশ্চিন্তা বেড়েছে। আওয়ামী লীগ ভারতে গিয়ে আবার কী করছে— সেই চিন্তায় তাদের ঘুম নেই। তিনি বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নেই। কোনো বন্ধু আমাদের ক্ষমতায় বসাবে না, ক্ষমতায় বসাবে দেশের জনগণ। জনগণের সঙ্গে আমরা আছি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, আর ক’মাস পরই বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির সদর দপ্তরে এসে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিজেপি প্রধান জেপি নাড্ডার সঙ্গে আলোচনা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে একটি বার্তা স্পষ্ট— ভোটের আগে বিজেপি পুরোপুরি আওয়ামী লীগের পাশে আছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, দিল্লিতে বিজেপি সদর দপ্তরে আওয়ামী লীগ নেতাদের অভ্যর্থনা জানান বিজেপিপ্রধান জেপি নাড্ডা। সূত্র জানাচ্ছে, বৈঠকে দুদলের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়টিও আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে। বিজেপি নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন, তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চান।
বিজেপি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ নেতাদের নাড্ডা বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামোর বিষয়ে জানিয়েছেন। তিনি বুঝিয়েছেন, বিজেপি কীভাবে তৃণমূল স্তরে কাজ করে। বিজেপির কাজের ধরন, ভিশন এবং ভারতের উন্নতিতে তাদের অবদানের কথা নাড্ডা তাদের বলেছেন। এছাড়া দুদলের মধ্যে কীভাবে যোগাযোগ বাড়ানো হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেছেন, তার দল এ অঞ্চলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সন্ত্রাস দমনের স্বার্থে অতীতের মতো আগামীতেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। সফরকালে আওয়ামী লীগের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে নাড্ডার বাসভবনে বৈঠককালে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিজেপির দীর্ঘদিনের উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং আগামী দিনগুলোতে আমরা দলীয় পর্যায়ে যোগাযোগ জোরদার করে আমাদের এ সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’
ওপি জিন্দল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের অধ্যাপক রাধা দত্ত মনে করেন, ভারত বরাবরই শেখ হাসিনার পক্ষে। আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যমকে রাধা বলেছেন, ভারত মনে করে শেখ হাসিনা নিরাপত্তার বিষয়টি ভালো বোঝেন। আর ভারতের অতীত অভিজ্ঞতা হলো, আওয়ামী লীগের বিরোধীরা বা বিএনপি ক্ষমতায় এলে নিরাপত্তার বিষয়টি বুঝবে; কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেবে না। এ ধারণা থেকেই তারা শেখ হাসিনার পাশে থাকে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদও ঠিক একই কথা মনে করেন। তিনি আমার সংবাদের এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়টি ভারতের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এই নিরাপত্তার বিষয়ে ভারতকে নিশ্চিন্ত থাকতে সহযোগিতা করেছেন শেখ হাসিনা সরকার। এটা ভারত সব সময়ই মনে রাখে।
তিনি মনে করেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে নানা বিশ্লেষণ হচ্ছে ঠিকই; নির্বাচনের আগে সফর হওয়ায় নানা কথা হচ্ছে। তবে এ সফরে রাজনৈতিক বিষয়ের চেয়ে জঙ্গি দমন ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়টিই বেশি গুরুত্ব পায়। ভারতের প্রবীণ সাংবাদিক শুভাশীস মৈত্র মনে করেন, ভারত যে বংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকার চায়— এটা তো ওপেন সিক্রেট।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হতে পারে। যেটা ভারত একেবারেই চায় না। তাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিজেপি যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে চাইবে, ভোটের আগে শেখ হাসিনার দলের পাশে থাকবে— সেটাই স্বাভাবিক। সাম্প্রতিক এই সফর নিয়ে ভারতের আরেক প্রবীণ সাংবাদিক জয়ন্ত ভট্টাচার্যও মনে করেন, বাংলাদেশের ভোটের আগে স্পষ্ট বার্তা দিলো বিজেপি। বার্তাটা হলো— বিজেপি আওয়ামী লিগের পাশে আছে। শেখ হাসিনাকেই তারা পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়।
প্রসঙ্গত, ভারত সফরে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। সঙ্গে ছিলেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আরমা দত্ত। সফর শেষে ৯ আগস্ট রাতে তারা ঢাকায় ফেরেন। গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকসহ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, দলীয় সংসদ সদস্য আরমা দত্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।