চেয়ারম্যানের জাদুকরী নেতৃত্বের নিপুণ ছোঁয়া

বিআরটিসিতে অভূতপূর্ব সাফল্য

নুর মোহাম্মদ মিঠু প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২৪, ১২:২১ এএম
বিআরটিসিতে অভূতপূর্ব সাফল্য
  • ২৯৭তম সভায় ভূয়সী প্রশংসায় পঞ্চমুখ পর্ষদ সদস্যরা
  • স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী চেয়ারম্যান শুরু থেকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন আর্থিক শৃঙ্খলায়

গত তিন বছরে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন-বিআরটিসি। আর্থিক শৃঙ্খলায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করায় অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমান বিআরটিসিতে ফিরেছে শতভাগ স্বচ্ছতাও। সংস্থাটির সার্বিক অগ্রগতির মূলেই রয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান সরকারের অতিরিক্ত সচিব তাজুল ইসলামের জাদুকরী নেতৃত্বের নিপুণ ছোঁয়া। অনেকটাই অন্ধকারে নিমজ্জিত সরকারের সেবা খাতের এ প্রতিষ্ঠানটিকে আলোর মুখ দেখাতে ইতোমধ্যেই সমর্থ হয়েছেন তিনি। এখন খোদ বিআরটিসির সমালোচনা করা যাত্রী সাধারণরাও করছেন তার সুনাম। সেবায় সন্তুষ্ট যাত্রীরা বলছেন, বিআরটিসির চলমান অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে এমন দক্ষ প্রশাসকের বিকল্প নেই। সংস্থাটির ২৯৭তম পর্ষদ সভার আলোচনায়ও উঠে আসে সার্বিক অগ্রগতি ও বর্তমান চেয়ারম্যানের নেতৃত্বগুণের কথা। গতকাল রোববার বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভার সভাপতি ছিলেন চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম।

সভায় উন্মোক্ত আলোচনায় বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এ পর্ষদ গঠিত হওয়ার পর বিআরটিসি গত তিন বছরে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে।’ মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব শাফায়াত মাহবুব চৌধুরী চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘স্যার, আমরা আপনার সাথে তিন বছর আস্থার সাথে কাজ করে বিআরটিসিকে একটি সম্মানজনক অবস্থানে নিতে পেরেছি’। একইভাবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনও বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যানের সময়কালে বিআরটিসিতে একটি গতি এসেছে, অনেক উন্নয়ন কাজ হয়েছে। 

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি-রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক সাফকাত মঞ্জুর বলেন, ‘বিআরটিসির আরও সাফল্য কামনা করি। প্রধানমন্ত্রী উপযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে আপনাকে এখানে নিযুক্ত করেছেন।’ ইলমা চট্টগ্রামের প্রধান নির্বাহী জেসমিন সুলতানা পারু বলেন, ‘বর্তমান চেয়ারম্যানের পরিচালনায় বিআরটিসি উত্তরোত্তর এগিয়ে যাচ্ছে।’ পর্ষদ সভার অন্যান্য সদস্যরাও বিআরটিসির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তবে অতীতেও এমন প্রশংসা চলত বিআরটিসিতে, যা কেবলই লোক দেখানো ছিল। বাস্তবে সমালোচনার তুঙ্গে ছিল প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে গতকালের সভার শুরুতেই আলোচ্যসূচি উপস্থাপন করেন বিআরটিসির পরিচালক (প্রশাসন) এসএম কামরুজ্জামান। বিআরটিসিতে অপারেটর (চালক) গ্রেড-সি পদে নিয়োগের জন্য পাবলিক সার্ভিস ভেহিক্যাল (পিএসভি) শিথিলকরণ এবং কন্ডাক্টর-ডি (কাউন্টারম্যান) শূন্য পদে জনবল নিয়োগে বিআরটিএ কর্তৃক কন্ডাক্টর লাইসেন্স ব্যতীত আবেদন গ্রহণসহ নিয়োগের অনুমতি প্রদান বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়াও গাড়ি মেরামতের ব্যয় প্রয়োজন অনুযায়ী বরাদ্দ প্রদান এবং আইসিডব্লিএসের টায়ার (রিট্রেডিং প্ল্যান্ট) চালু করার বিষয়েও আলোচনা হয়। কক্সবাজার, পটুয়াখালী (কুয়াকাটা) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন ও ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন পাবলিক স্কুল’-এর সংস্কার বাবদ অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়। 

সভার সভাপতি বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম পর্ষদ সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমরা স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী। আপনাদের সহযোগিতায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি আর্থিক শৃঙ্খলায়। বিআরটিসির কর্মচারীদের অকুণ্ঠ সমর্থনে বিআরটিসি এগিয়ে যাচ্ছে। আপনাদের সহযোগিতায় নগর পরিবহন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বিআরটিসির বাস সার্ভিস, পর্যটক বাস সার্ভিস, বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় শাটল বাস সার্ভিসসহ এবং ছাত্রছাত্রীদের হাফ ভাড়ায় পরিবহন সেবা চালু করা হয়েছে।’