- সুবর্ণা মুস্তাফা, শমী কায়সার, সাবা, তারিন, শাওন ও অপুরা হতাশ
- ছিটকে পড়েছেন মমতাজ ও অপু উকিলসহ অনেক প্রভাবশালী
- ফিরলেন মন্ত্রিসভার সাবেক তিন সদস্যসহ অনেকে
- আলোচনায় রাঙ্গামাটির সাবেক মেম্বার জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে এবারই আওয়ামী লীগ সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন পায়। আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের সমর্থন যোগ করে এবার ৫০ আসনের ৪৮টিই পাচ্ছে আওয়ামী লীগ। সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচনের জন্য এক হাজার ৫৫৩ মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে ৪৮ জনকে বেছে নিয়েছে দলটি। তবে এবার আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে বেশ চমক দেখিয়েছে। দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির সময় দলীয় কার্যালয় মাতিয়ে রাখেন সিনেমার নায়িকারা। অনেকটা দলবেঁধে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
এ নিয়ে রাজনৈতিক দলের কর্মী হিসেবে দীর্ঘদিন রাজপথে থাকা নেত্রীরা প্রকাশ্যে ক্ষোভও প্রকাশ করেন। দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিচরণ ও অতীতে ত্যাগ স্বীকার করা নেত্রীরা অগ্রাধিকার দেয়ার দাবিও ওঠে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চিত্রজগতের জন্য হতাশার খবরই আসে। দলীয় মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন বোর্ড ‘তারকা’ বিবেচনার চেয়ে দলে প্রার্থীর অবস্থান ও দলের জন্য প্রার্থীর ত্যাগকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। মেধাবী বিচেনায়, দলীয় পোস্ট ও পিতার অবদান বিবেচনায়ও মনোনয়ন পেয়েছেন কেউ কেউ। তবে মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে আলোচনায় থাকা এমন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেত্রীও নানা কৃতকর্মের কারণে দলীয় মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়েছেন।
সিনেমাপাড়ায় হতাশা : গত ৭ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সমপ্রতি সংরক্ষিত নারী আসনেও শিল্পীদের মনোনয়নপত্র কেনার ক্ষেত্রে বেশ আগ্রহ দেখা গেছে। তাদের মধ্যে লাকী ইনাম, সুজাতা বেগমের মতো বরেণ্য শিল্পীরাও কিনেছেন। এ ছাড়াও তরুণ প্রজন্মের সোহানা সাবা, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর কিংবা নুসরাত ফারিয়ার মতো তারকারাও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে সংরক্ষিত নারী আসনে সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন সুজাতা বেগম, লাকী ইনাম, সুবর্ণা মুস্তাফা, শমী কায়সার, রোকেয়া প্রাচী, তারিন হালিম, শিমলা, মেহের আফরোজ শাওন, তানভীন সুইটি, অপু বিশ্বাস, নিপুণ, শামীমা তুষ্টি, শাহনুর, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সোহানা সাবা, নুসরাত ফারিয়া প্রমুখ। অভিনয়শিল্পী সুবর্ণা মুস্তাফা গতবার নারী সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এবারও তিনি সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। সংরক্ষিত নারী আসনে লাকী ইনামের সংসদ সদস্য হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এ ছাড়াও শমী কায়সার, রোকেয়া প্রাচী, তারানা হালিম, মেহের আফরোজ শাওন, অপু বিশ্বাস ও নায়িকা নিপুণ মনোনয়ন পাচ্ছেন— এমন ধারণা ছিল ভক্ত মহলের। কিন্তু গতকাল দলীয় মনোনয়ন বোর্ড ভক্তদের হতাশ করেছে। তারানা হালিম ছাড়া বাকিরা কেউ দলীয় মনোনয়ন পাননি। এমনটি গত সংসদে এমপি থাকা সুবর্ণা মুস্তাফাও বাদ পড়েছেন।
বাদ পড়েন প্রভাবশালী নেত্রীরাও : নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পরপরই সম্ভাব্য মহিলা সংসদ সদস্য প্রার্থীতে নজর ছিল সবার। এবার মহিলা সংসদ সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক প্রভাবশালী নেত্রীও বাদ পড়েছেন। আলোচিত সংসদ সদস্য মানিকগঞ্জ থেকে এবার সংসদ সদস্য নির্বাচনে পরাজিত শিল্পী মমতাজ আলোচনায় থাকলেও তিনি মনোনীত হননি। ঢাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা ও সাবেক নারী সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিন, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, যুব মহিলা লীগের বর্তমান সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজী, অভিনেত্রী শমী কায়সার, অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা ক্রিক ও অ্যাডভোকেট তুরিন আফরোজের মতো প্রভাবশালীদেরও দলীয় মনোনয়ন বিবেচনায় আনা হয়নি।
আলোচিতদের মধ্যে কপাল খুলেছে যাদের : আওয়ামী লীগের কৃষি-বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহারার লাইলী দলীয় মনোয়ন পেয়েছেন। তিনি এবারের সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু পরে জোটের আসন সমঝোতায় তাকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে হয়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও বরিশাল থেকে দলের মনোনয়ন পাওয়ার পরও প্রার্থিতা বাতিল হওয়া শাম্মী আহমেদও দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী ও মন্ত্রিসভার সাবেক সদস্য তারানা হালিম, সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, সাবেক মহিলা ও শিশু-বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি ও সাবেক সংসদ সদস্য সানজিদা খানমও এবার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।
আলোচনায় রাঙ্গামাটির জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা : দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য পদে মনোনীত হলেন রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা জীবতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা। তিনি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাতব্বর তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এমপি হিসেবে মনোনিত হওয়ায় আমরা তাকে স্বাগত জানাই। গতকাল বিকেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৮ জন প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চূড়ান্ত হওয়া ৪৮ জন নারীর নাম ঘোষণা করেন। এ সময় ৪৬ নম্বরে রাঙ্গামাটির জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা নাম ঘোষণা করা হয়।
দলীয় মনোনয়ন পেলেন যারা : গতকাল দুপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপির সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দলটির সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনে দলটি ৪৮ জনকে মনোনীত করে।
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা হচ্ছেন— ১. দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালা, (ঠাকুরগাঁও), ২. মোছা. আশিকা সুলতানা (নীলফামারী), ৩. রেজিয়া ইসলাম (পঞ্চগড়), ৪. রোকেয়া সুলতানা (জয়পুরহাট), ৫. কোহেলী কুদ্দুস (নাটোর), ৬. জারা জাবীন মাহবুব (চাঁপাইনবাবগঞ্জ), ৭. রুনু রেজা (খুলনা), ৮. ফরিদা আক্তার বানু (বাগেরহাট), ৯. মোসা. ফারজানা সুমি (বরগুনা), ১০. খালেদা বাহার বিউটি (ভোলা), ১১. নাজনীন নাহার রশীদ (পটুয়াখালী), ১২. ফরিদা ইয়াসমিন (নরসিংদী), ১৩. উম্মি ফারজানা ছাত্তার (ময়মনসিংহ), ১৪. নাদিয়া বিনতে আমিন (নেত্রকোনা), ১৫. মাহফুজা সুলতানা (জয়পুরহাট), ১৬. পারভীন জামান (ঝিনাইদহ), ১৭. আরমা দত্ত (কুমিল্লা), ১৮. লায়লা পারভীন (সাতক্ষীরা), ১৯. বেগম মন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা), ২০. বেদৌরা আহমেদ সালাম (গোপালগঞ্জ), ২১. শবনম জাহান (ঢাকা), ২২. পারুল আক্তার (ঢাকা), ২৩. সাবেরা বেগম (ঢাকা), ২৪. শাম্মী আহমেদ (বরিশাল), ২৫. নাহিদ ইজাহার খান (ঢাকা), ২৬. ঝর্না হাসান (ফরিদপুর), ২৭. ফজিলাতুন নেসা (মুন্সীগঞ্জ), ২৮. শাহিদা তারেখ দীপ্তি (ঢাকা), ২৯. অনিমা মুক্তি গমেজ (ঢাকা), ৩০. শেখ আনার কলি পুতুল (ঢাকা), ৩১. মাসুদা সিদ্দীক রোজী (নরসিংদী), ৩২. তারানা হালিম (টাঙ্গাইল), ৩৩. বেগম শামসুর নাহার (টাঙ্গাইল), ৩৪. মেহের আফরোজ (গাজীপুর), ৩৫. অপরাজিতা হক (টাঙ্গাইল), ৩৬. হাছিনা বারী চৌধুরী (ঢাকা) ৩৭. নাজমা আক্্তার (গোপালগঞ্জ), ৩৮. রুমা চক্রবর্তী (সিলেট), ৩৯. ফরিদুন্নাহার লাইলী (লক্ষ্মীপুর), ৪০. আশ্রাফুন নেছা (লক্ষ্মীপুর), ৪১. কানন আরা বেগম (নোয়াখালী), ৪২. শামীমা হারুন (চট্টগ্রাম), ৪৩. ফরিদা খানম (নোয়াখালী), ৪৪. দিলোয়ারা ইউসুফ (চট্টগ্রাম), ৪৫. ওয়াসিকা আয়শা খান (চট্টগ্রাম), ৪৬. জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা (রাঙ্গামাটি), ৪৭. সানজিদা খানম (ঢাকা) ও ৪৮. মোছা. নাছিমা জামান ববি (রংপুর)।
মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যাই নারী জাগরণের প্রমাণ : গতকাল সকালে গণভবনে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের ৪৮ আসনের বিপরীতে মনোনয়নপ্রত্যাশী এক হাজার ৫৫৩ জন। এ সংখ্যাই প্রমাণ করে, নারী জাগরণ ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে আদর্শ নিয়ে জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছিলেন, তা ব্যর্থ হতে পারে না। সে আদর্শকে ধরে রাখতেই দেশে ফিরে আসা। কবরের মাটি ছুঁয়ে শপথ নিয়েছিলাম— এ স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে দেবো না, তাই করেছি। তবে সে চলার পথ সহজ ছিল না।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সবসময় অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছে। জেল-জুলুম সব সহ্য করেই ক্ষমতায় এসেছি। জীবনের হুমকি ছিল বারবার। লক্ষ্য ছিল যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করা, এ দেশকে সম্মানের জায়গায় নিয়ে যাওয়া। আজ তা অর্জন করেছি।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘মেয়েরা সাফল্যের সঙ্গে যেকোনো কাজ সম্পন্ন করে। পড়াশোনায় নারী আজ এগিয়ে। কর্মক্ষেত্রেও সফলতার সাক্ষর রাখছে। বিভিন্ন পেশায় ভালো করছে। নানা বাধা পেরিয়ে মেয়েরা আজ খেলাধুলার মাঠে আসছে। এখানেও এগিয়েছে তারা। এখন মেয়েরা অনেক পদক আনছে।’ তিনি বলেন, ‘মেয়েরা খেলতে পারবে না, ব্যবসা করবে না— ইসলাম ধর্মেও এমন বলা নেই। প্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন একজন নারী, কোনো পুরুষ নয়। সাহস করে বিবি খাদিজা এগিয়ে এসেছিলেন। তিনি ব্যবসা করতেন।’ মনোনয়নপ্রত্যাশীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাব। ১৫৫৩ মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যাই প্রমাণ করে নারী জাগরণ ঘটেছে। তারাও এগিয়ে এসেছে। তবে এত প্রার্থীর মধ্যে ৪৮ জনকে বেছে নেয়া কঠিন কাজ। আপনাদের (বেছে নিতে) দিলে তা আপনারা করতে পারবেন কি?’ প্রশ্ন রাখেন শেখ হাসিনা।
প্রসঙ্গত, গত ৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুযায়ী, ভোট হবে আগামী ১৪ মার্চ। তফসিল অনুযায়ী সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনে ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেয়া যাবে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সাধারণ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল বা জোটগুলোর পাওয়া আসনের বিপরীতে সংখ্যানুপাতে সংরক্ষিত নারী আসন বণ্টন করা হয়। এবার আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে ২২৩টি আসনে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত হয়েছেন ৬২টি আসনে। তারা সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী মনোনয়নে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দুটি দল দুটি আসন পেয়েছে। তারাও আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করেছে। ফলে আওয়ামী লীগ পাচ্ছে ৪৮টি আসন। অন্যদিকে জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। তারা দুটি সংরক্ষিত নারী আসন পাবে। সাধারণত সংরক্ষিত নারী আসনের বিপরীতে দল ও জোটগতভাবে সমানসংখ্যক প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হয়। এটি হলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় শেষে একক প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হতে পারে। সেটি হলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনেই সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যরা সংসদ অধিবেশনে যোগ দেয়ার সুযোগ পাবেন।