পরিবারের সাত সদস্যকে পরিচালক নিয়োগ করে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পরিকল্পিত অনিয়ম আর আত্মসাতের সুযোগ তৈরি করেন সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস
অনুদান, বিয়েবার্ষিকীর উপহার, এমডির জন্মদিন উদ্যাপনের সাজসজ্জা, চেয়ারম্যানের কুরবানির গরু ও এতিমখানার গরুসহ অন্যসব প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরের মাধ্যমে হাতিয়েছেন প্রায় ২০০ কোটি টাকা
দেশের পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বিমা কোম্পানি সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। সারা দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের গ্রাহককে বিভিন্নভাবে প্রলোভিত করে বিমা পলিসির নামে কয়েক হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ শেষে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাওয়ার পরই প্রতিষ্ঠানটিতে শুরু হয়েছে লুটপাট। প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ও তার পরিবার যেন হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন লুটপাটে। এত অর্থ দেখে সাবেক চেয়ারম্যান ও তার পরিবার যেন এখন হয়ে পড়েছেন বেহুঁশ। নিজের পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে ইতোমধ্যে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎও করেছেন তিনি। শুধু নিজের অন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও পরিবারের সদস্যদের মনোরঞ্জনের জন্যই লুটপাটে বেসামাল হয়ে উঠেছেন তিনি। পুরো প্রতিষ্ঠানটিকেই বানিয়েছেন ভোগবিলাসের আইটেম হিসেবে। যদিও তিনি বলছেন, তার বিরুদ্ধে এসব অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে করা তদন্তের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। আইডিআরএও ষ এরপর পৃষ্ঠা ১১ কলাম ১
তাকে কিছুই জানায়নি। বিমা কোম্পানিগুলোর এমন অহরহ অনিয়মের ঘটনার বিরুদ্ধে আইডিআরএ দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করার ফলেই বিমা খাতে ঘটছে এমন লুটপাট— বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
আমার সংবাদের অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটিতে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস পরিবারের লুটপাট, অনিয়ম-দুর্নীতি দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি একটি নিরীক্ষা কোম্পানি ‘হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানি’র তদন্তেও উঠে আসে এমন তথ্য। পারিবারিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে লুটপাটের সুবিধার্থে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শুরুতেই গোলাম কুদ্দস তার স্ত্রী ফজিলাতুননেসা, ছেলে মোস্তফা কামরুস সোবহান, মেয়ে ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া, তাসনিয়া কামরুন আনিকা, পুত্রবধূ শাফিয়া সোবহান চৌধুরী, মেয়ের জামাই শেখ মোহাম্মদ ড্যানিয়েলকে কোম্পানির বোর্ড অব ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ দেন। এরপর থেকেই সম্মিলিত পারিবারিক লুটপাটের মচ্ছবে মেতে উঠে কুদ্দুস পরিবার।
হুদাভাসি অ্যান্ড কোম্পানির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে জানা যায়, গোলাম কুদ্দুস তার পরিবারের সদস্য কোম্পানির পরিচালক নূর এ হাফজা, ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া, রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোং, শাফিয়া সোবহান চৌধুরী ও শেখ মোহম্মদ ড্যানিয়েলের কাছ থেকে কোনো টাকা গ্রহণ না করেই তাদের নামে কোম্পানির শেয়ার হিসেবে ৯ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার ইস্যু করেন। তিনি সোনালী লাইফ কোম্পানির এফডিআরের বিপরীতে সাউথবাংলা ব্যাংক থেকে দুটি সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর থেকে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা উত্তোলন করে একই ব্যাংকে কোম্পানির অন্য একটি হিসাব নম্বরে জমা করেন, তার পরিবারের সদস্য অর্থাৎ যাদের কোম্পানির পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তাদের কেনা শেয়ারমূল্য হিসেবে উল্লেখ করেন। মূলত পরিবারের সাত সদস্যকে কোম্পানির বোর্ডে পরিচালক রেখে পারিবারিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে অনিয়মের সুযোগ তৈরি করেন তিনি। তদন্তে উঠে এসেছে, কোম্পানির বোর্ড সভার কোনোরকম অনুমোদন ছাড়াই গোলাম কুদ্দুস তার নিজস্ব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ড্রাগন সোয়েটারকে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসে তিন কোটি করে ১৮ কোটি টাকা অবৈধভাবে প্রদান করেন।
শুধু তা-ই নয়, বোর্ড সভার কার্যবিবরণীর নকল উদ্ধৃতাংশ দাখিল করে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের এফডিআরের বিপরীতে তিনটি প্রাইভেট ব্যাংক থেকে ১৯৫ কোটি ৪২ লাখ ৮১ হাজার ২০০ টাকা ঋণ নেন এবং সেই টাকা থেকে ৮৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা কোম্পানির বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে কয়েকবার আদান-প্রদানের পর তিনি তার নিজস্ব মালিকানাধীন অপর একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকউন্টে জমার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। ওই টাকার ব্যাংক ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদ সোনালী লাইফের প্রায় ১৮ কোটি ২৯ লাখ সাত হাজার ৪৯৮ হাজার টাকা ক্ষতিসাধন করেন।
হুদা ভাসির তদন্তে উঠে আসে, বোর্ড সভার কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ছাড়াই নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থে গোলাম কুদ্দুস তার মালিকানাধীন অপর প্রতিষ্ঠান ইম্পেরিয়াল ভবন কোম্পানির সঙ্গে দুটি সমঝোতা করেন। দুটি চুক্তিতেই স্বাক্ষরকারী হিসেবে সোনালী লাইফের পক্ষ থেকে ছিলেন কোম্পানির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিইও তার মেয়ের জামাই রাশেদ বিন আমান এবং ইম্পেরিয়াল ভবন কোম্পানির পক্ষ থেকে মোস্তফা গোলাম কুদ্দস। চুক্তির সাক্ষী ছিলেন নূর এ হাফজা এবং তার পুত্র মোস্তফা কামরুস সোবহান। চুক্তিপত্রে দেখা যায়, জমি ও ভবন ক্রয়ের উদ্দেশ্যে ২০২১ সালের ৫ অক্টোবর ৩৫০ কোটি টাকার একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয় এবং ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত অপর চুক্তিতে ১১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা মূল্য উল্লেখ আছে। জমি-ভবন ক্রয় এবং মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি, ধার্যকৃত মূল্য ও অন্যান্য শর্তে কোনোটিতেই বোর্ড সভার কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না, যা অসৎ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে তদন্ত কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়। গোলাম কুদ্দুস অবৈধভাবে তার নিজস্ব মালিকানাধীন ড্রাগন ইনফরমেশন টেকনোলজি ও কম্যুনিকেশন লিমিটেড, ড্রাগন সোয়েটার লিমিটেড, ইম্পেরিয়াল সোয়েটার লিমিটেড এবং ড্রাগন সোয়েটার ও স্পিনিং লিমিটেড কোম্পানিতে বিভিন্ন সময়ে ১৪১ কোটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার ৫০০ টাকা লেনদেন করেন, যা কোম্পানি হেডে ‘মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস, ল্যান্ড ওনার অ্যাডভান্স এগেইনেস্ট ল্যান্ড’ লেখা আছে। স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়ের নামে অবৈধভাবে আত্মসাৎ করা এসব অর্থ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই পরিশোধ করা হয়েছে। পরে আত্মসাৎকৃত এসব অর্থের বৈধতার জন্য জমি ও ভবন কেনার নামে অভিনব প্রতারণার আশ্রয় নেন তিনি।
এখানেই শেষ নয়, মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস সোনালী লাইফ কোম্পানির নিজস্ব তহবিল থেকে তার মালিকানাধীন ড্রাগন সোয়েটার লিমিটেডকে সোয়েটার কেনা বাবদ দুই কোটি ৬৫ লাখ টাকা, ইম্পেরিয়াল স্যুটস অ্যান্ড কনভোকেশন সেন্টারকে আপ্যায়ন বাবদ এক কোটি ৭৮ লাখ ৬২ হাজার ৫৯২ টাকা এবং ড্রাগন ইনফরমেশন টেকনোলজি ও কম্যুনিকেশন লিমিটেডকে ইআরপি মেইনটেনেন্স ও সোয়েটার কেনা বাবদ তিন কোটি ৪২ লাখ ছয় হাজার ২২৫ টাকাসহ মোট সাত কোটি ৮৫ লাখ ৬৮ হাজার ৮১৭ টাকা অবৈধভাবে প্রদান করেছেন। গোলাম কুদ্দুস নিজে ও তার পরিবারের ছয় সদস্য এবং আরেকজন পরিচালক সাবেক চেয়ারম্যান নুর এ হাফজাসহ আট পরিচালক অবৈধভাবে মাসিক বেতন হিসেবে মোট দুই কোটি ২৪ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। গোলাম মোস্তফা নিজের বিলাসিতার জন্য আইডিআরএর দেয়া নির্দেশনা অমান্য করে প্রায় এক কোটি ৭০ লাখ টাকার বিলাসবহুল গাড়ি এবং গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের নামে ২১ লাখ ৫২ হাজার ৫০৫ টাকা তছরুপ করেন। রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি এবং পরিচালক নুরে হাফজাকে অবৈধভাবে এক কোটি ৬০ লাখ ৭৫০ টাকা পরিশোধের নামে কোম্পানি ঘোষিত ডিভিডেন্ডে অতিরিক্ত ডিভিডেন্ড বাবদ বিবিধ খাত থেকে আত্মসাৎ করেন।
মেয়ে তাসনিয়া কামরুন আনিকার স্বামী শেখ মোহাম্মদ ড্যানিয়েলকেও বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার ওনার অ্যাসোসিয়েশনের গ্রুপ বিমা পলিসি থেকে অবৈধভাবে ৯ লাখ টাকা প্রদান করেন তিনি এবং পদত্যাগের পর পরিচালক না হওয়া সত্ত্বেও কোম্পানির চেকে স্বাক্ষর করে কোম্পানির ১১টি বোর্ডসভায় অংশগ্রহণ করে অবৈধভাবে ৮৮ হাজার টাকা সম্মানি নেন। ব্যক্তিগত ঋণ, অনুদান, ভোগবিলাস, বিয়েবার্ষিকীর উপহার ও এমডির জন্মদিন উদ্যাপনের সাজসজ্জা এবং চেয়ারম্যানের কুরবানির গরু ও এতিমখানার গরু কেনা, এমনকি নিজের পরিবারের মনোরঞ্জনের জন্য বিদেশ ভ্রমণ কোনো কিছুই বাদ যায়নি, যা তিনি কোম্পানির ফান্ড থেকে গ্রহণ করেননি।
হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানির তদন্তে দেখা যায়, গোলাম কুদ্দুস ২০১৬ থেকে ১৮ সালে ব্যক্তিগত ঋণ সমন্বয় বাবদ ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিজিএমইকে ৫২ হাজার ৫০০ টাকা অনুদান, নিজের মেয়ে আনিকার জন্য এসি কেনা বাবদ এক লাখ ৮১ হাজার ৭৭৮ টকা, বিয়েবার্ষিকীর উপহার ১৫ লাখ টাকা, কোম্পানির এমডির জন্মদিন উদ্যাপনের সাজসজ্জা এবং ডায়মন্ড রিং ইত্যাদি বাবদ ১১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেয়া হয়। ২০২২ সালে চেয়ারম্যানের কুরবানির গরু ও ২০২৩ সালে ঈদে এতিমখানার জন্য গরু কেনা বাবদ ৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা ও পারিবারিক বিনোদনের জন্য সোনারগাঁ হোটেলের বিল ও ফ্যান্টাসি কিংডম ভ্রমণ ব্যয় তিন লাখ ৪২ হাজার ২৪০ টাকা; মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস নিজের ও পরিবারের সদস্যদের লন্ডন, দুবাই ভ্রমণ বাবদ খরচ চার কোটি ৯৮ লাখ ৯৪ হাজার ৩৬১ টাকা; আইপিও খরচের নামে অতিরিক্ত এক কোটি টাকা; পলিসি নবায়ন উপহার বাবদ নিজ প্রতিষ্ঠানের জন্য এক কোটি ৫২ লাখ ৬৭ হাজার ২০০ টাকাসহ মোট আট কোটি ২৬ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫৯ টাকা কোম্পানি থেকে অবৈধভাবে আত্মসাৎ করেন।
সোনালী লাইফ কোম্পানির অফিসের জন্য গোলাম কুদ্দুসের মালিকানাধীন ইম্পেরিয়াল ভবনের ২০২৩ সাল থেকে ২৭ সাল পর্যন্ত ভাড়ার চুক্তি দেখিয়ে ২০২২ সাল পর্যন্ত ভাড়া বাবদ ১১ কোটি ৯৪ লাখ ২০ হাজার ১৭ টাকা অবৈধভাবে ড্রাগন সোয়েটারকে দিয়েছেন। তার মালিকানাধীন ইম্পেরিয়াল ভবনে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ছাড়াও ইম্পেরিয়াল ক্যাফে, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইম্পেরিয়াল স্যুটস অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টার, স্টালিং স্টক অ্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেড, রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, ইম্পেরিয়াল হেলথ ক্লাব থাকলেও পুরো ভবনের বিদ্যুৎ ও ওয়াসার বিল পরিশোধ করার নামে সোনালী লাইফ কোম্পানি থেকে এক কোটি ৭২ লাখ ৪২ হাজার ২২৩ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি।
তদন্তে আরও উঠে আসে, অসম্পূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ, অনিয়মের তথ্য গোপন, অস্বচ্ছ হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি এবং অভ্যন্তরীণ কন্ট্রোল সিস্টেমের অনুপস্থিত ছাড়াও তদন্ত প্রতিবেদনে কোম্পানিটির অনিয়মের সব তথ্য উঠে আসেনি। কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ব্যাক সিগনেটেরিয়া প্রায় সবাই একই পরিবারের সদস্য হওয়ায় অর্থ আত্মসাতের উপযুক্ত পরিবেশ ছিল, যার কারণে বছরে গড়ে ২২ কোটি বা মাসে প্রায় দুই কোটি টাকা পেটি ক্যাশ হিসেবে ব্যয় করা হয়েছে।
জানতে চাইলে সোনালী লাইফের সচিব আব্দুর রব দৈনিক আমার সংবাদকে বলেন, কোম্পানির এসব বিষয় নিয়ে আমি কথা বলি না এবং এটা নিয়ে আমি কথা বলতেও ইচ্ছুক নই।
অনিয়মের তথ্য এবং হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানির তদন্ত প্রতিবদেন সম্পর্কে জানতে চাইলে সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস আমার সংবাদকে বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আইডিআরএর এই তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে আমাদের কিছু জানায়নি। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) মুখপাত্র জাহাঙ্গীর আলম আমার সংবাদকে বলেন, আমরা পরিচালনা পর্ষদ স্থগিত করে নতুন প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছি এবং আরও উচ্চতর তদন্তসাপেক্ষে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।