- ডিএমপির ২০৭ মামলা গ্রেপ্তার আড়াই হাজারেরও বেশি
- সাভারসহ ১১ জেলায় ১৫৫ মামলা, গ্রেপ্তার দুই হাজার ১৯০
- ঢাকায় ৭১ জনসহ সারাদেশে র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯০
চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেপ্তারেঅভিযান চলছে
—স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে সহিংসতা ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে হামলার ঘটনায় ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় দুইশরও বেশি মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকালে ঢাকা মহানগর পুলিশ এক বার্তায় জানিয়েছে, ২০৭টি মামলায় এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৫৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে কোন কোন থানায় মামলা হয়েছে সে ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই ওই বার্তায়। একইভাবে কোটা সংস্কারে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে জড়িয়ে পড়া বিএনপি- জামায়াতসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, হামলা ও নাশকতার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন জেলায়ও হচ্ছে মামলা, গ্রেপ্তার; চলছে সাঁড়াশি অভিযানও। সাভারসহ দেশের এগারোটি জেলায় গতকাল পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গেছে, মোট মামলা হয়েছে ১৫৫টি। আর এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই হাজার ১৯০ জনকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। এরই মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেককেই রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জুনের শেষে হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করলে শিক্ষার্থীরা মাঠে নামে। জুলাইয়ে তা সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা প্রথমে পরিপত্র পুনর্বহাল অর্থাৎ কোটা বাতিলের দাবি সামনে আনলেও পরে কোটা সংশোধন করে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ করার দাবি জানাতে থাকে। এই দাবিতে জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বাংলা ব্লকেড নামে অবরোধ কর্মসূচি আসতে থাকে। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে কোটা আন্দোলনকারীদের সংঘাতের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। পরদিন ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মীসহ দুজন, চট্টগ্রামে ছাত্রদল নেতাসহ তিনজন ও রংপুর রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রের মৃত্যু হয় সহিংসতায়। এর প্রতিক্রিয়ায় ১৮ জুলাই সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা হয়, সেদিন মাঠে নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলকলেজের শিক্ষার্থীরাও। রাজধানীর বাড্ডা, উত্তরা ও ধানমন্ডি এলাকায় গুলিতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর আসে।
পরবর্তীতে গোটা দেশে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ে, এর মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে হামলা শুরু হয়। রামপুরায় বিটিভি ভবন, বনানীতে সেতু ভবন, মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রের সাব স্টেশন, মেট্রোরেলের দুটি স্টেশনেও ভাঙচুর হয়। সেদিন থেকেই ঢাকার উত্তরার পথে পথে, ধানমন্ডির শংকর ও সোবহানবাগ এলাকা, মোহাম্মদপুর ও বসিলা, মিরপুর এলাকায় গোলাগুলির খবর আসে। ঢাকার বাইরে নরসিংদী কারাগারে হামলা করে ফটক ভেঙে ৮৫টি অস্ত্র লুট করা হয়। সন্দেহভাজন ৯ জঙ্গিসহ পালিয়ে যান আট শতাধিক বন্দি। এসব অস্ত্রের মধ্যে ২০টি পরে উদ্ধার হয়, গুলি উদ্ধার হয়েছে এক হাজারের কিছু বেশি। রামপুরা, বাড্ডা ও যাত্রাবাড়ী, কদমতলী এলাকা পাঁচদিন ধরে ছিল অচলপ্রায়। পুলিশ, বিজিবির সঙ্গে সংঘাতে ব্যাপকভাবে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের তথ্য আসে।
১৯ জুলাই রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি হয়। নামানো হয় সেনাবাহিনী। এর মাঝেও ঢাকার যাত্রাবাড়ী, রামপুরা, মোহাম্মদপুরে সংঘাত চলতে থাকে। সব মিলিয়ে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর তথ্য এসেছে গণমাধ্যমে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু-কিশোরও রয়েছে। কারফিউ জারির তিনদিন পর নিয়ন্ত্রণে আসে যাত্রাবাড়ী ও রামপুরা-বাড্ডা এলাকা। তবে অফিস সীমিত পরিসরে খুললেও কারফিউ এখনও চলছে। ২৯০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে রএদিকে কোটা সংস্কারে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, হামলা ও নাশকতার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন জেলায়ও গ্রেপ্তার চলছে।
সাভার : সহিংসতার ঘটনায় সাভার মডেল থানায় মোট ১৩টি মামলা হয়েছে এবং আশুলিয়া থানায় হয়েছে ছয়টি মামলা। গত ১৭ জুলাই থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় সাভার মডেল থানায় মোট ১২৯ জন এবং আশুলিয়ায় ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাভার মডেল থানায় দায়ের করা ১৩টি মামলার মধ্যে পাঁচটি মামলার বাদী পুলিশ। চারটি মামলা করেছে পুড়ে যাওয়া চার বাস কর্তৃপক্ষ। একটি করে মামলার বাদী সাভার উপজেলা প্রশাসন, সরকারি পশু হাসপাতাল, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি ও এনটিভির ক্যামেরা পারসন।
সাভার মডেল থানায় বিস্ফোরকসহ বিভিন্ন ধারায় পুলিশের দায়ের করা পাঁচটি মামলায় সাভারের বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতাসহ মোট ৩৮৪ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া এসব মামলায় বিএনপি-জামায়াত ও শিবিরের অজ্ঞাত অনেককে আসামি করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের দায়ের করা মামলায় অজ্ঞাত পাঁচ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনায় ৭০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সরকারি পশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলায় অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। চারটি বাস পোড়ানোর ঘটনায় পৃথক বাস কর্তৃপক্ষের দায়ের করা চারটি মামলায় বিএনপি-জামায়াত ও শিবিরের মোট ২৩০ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত অনেককে আসামি করা হয়েছে। বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভির ক্যামেরাপারসন জায়েদ আনসারিকে মারধর ও সাথে থাকা মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে চলমান আন্দোলনে সাভার থানা এলাকায় গুলিতে ১০ জন নিহতের ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলাও দায়ের করা হয়নি। আশুলিয়ার ছয়টি মামলার মধ্যে পাঁচটিরই বাদী পুলিশ। এর মধ্যে পুলিশের দায়ের করা একটি মামলায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নবীন রহমানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া ইতিহাস বিভাগের ৪০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মেহেদী, অর্থনীতি বিভাগের ৪০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাগর ও ইতিহাস বিভাগের ৪০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হিরনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া মামলাটিতে আরও আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা শিক্ষার্থী নয় বলে জানা গেছে। এছাড়া বাকি চারটি মামলায় বিএনপি-জামায়াত ও শিবির নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত অনেককে আসামি করা হয়েছে বলে জানান আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এ এফ এম সায়েদ।
গাজীপুর : ১৭ জুলাই থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ৩৭টি মামলা হয়েছে। ডিসি মিডিয়া নাজির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এ সময় মোট ৩৯৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় গাজীপুরে মহানগরের আট থানা ও জেলার পাঁচ উপজেলা থেকে ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে গতকাল দুপুর ১২টার মধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা সাম্প্রতিক নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি।
টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত ১৮ জুলাই থেকে দায়ের করা ১১টি মামলায় ১৭৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পাঁচটি থানায় এসব মামলা করা হয়েছে।
বগুড়া : বগুড়ার দুই থানায় ১৫টি মামলা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৬ জনকে। জেলা পুলিশ সুপার জাকির হাসান জানান, এ পর্যন্ত মোট ১৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গাইবান্ধা : গাইবান্ধার সদর উপজেলায় দুই মামলায় ৭৭ জনকে আটক করা হয়েছে। গাইবান্ধা সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৭ জুলাই সদর উপজেলায় একটি মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো গ্রেপ্তার হয়নি বলে জানান থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল হাসান।
রাজশাহী : শনিবার পর্যন্ত রাজশাহীর ৯টি উপজেলায় ১০টি এবং রাজশাহী মহানগরীতে সাতটি মামলা হয়েছে। মামলায় দুই শতাধিক নামীয় ও অজ্ঞাতনামা কয়েকশজনকে আসামি করা হয়েছে। রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাত পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ছয়জনকে গ্রেপ্তারসহ ৯টি মামলায় তারা ১৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এদিকে, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তারা গত ২৪ ঘণ্টায় শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে, গ্রেপ্তারের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০৯ জন।
জামালপুর : জামালপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা ১০ মামলায় দুই হাজার ৩৫১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাগুলোর মধ্যে জামালপুর সদরে ছয়টি, ইসলামপুরে একটি, সরিষাবাড়ীতে একটি, বকশীগঞ্জে একটি ও দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে ৯ দিনের মধ্যে। মামলায় ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সদর উপজেলায় ২৪ ঘণ্টায় দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে সদর থানা সূত্রে জানা গেছে। জেলায় কোনো শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়নি।
ফেনী : ফেনীতে গত ১০ দিনে দুই মামলায় ৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ফেনী সদর উপজেলায় পাঁচজন এবং ছাগলনাইয়া উপজেলার একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফেনী সদর মডেল থানার এসআই এমরান হোসেন ফেনীতে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের করা দুটি মামলায় ৮৪ জনকে গ্রেপ্তার ও আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান। নাশকতার দুটি মামলায় একটিতে ২১ জনের নাম ও অপরটিতে ২৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং দুই মামলায় ৩৫০ জনকে অজ্ঞাত পরিচয়সহ ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অপরদিকে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন অভিযোগ করেন, তাদের শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলার সাধারণ কর্মীদেরও পুলিশ খোঁজাখুঁজি করছে।
মাদারীপুর : মাদারীপুরে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরসহ নাশকতার ১০ মামলায় বিএনপি-জামায়াত ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীসহ ৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মাদারীপুর পুলিশ। গত সাত দিনে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানানো হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সূত্র জানায়, পুলিশ বাদী হয়ে চারটি মামলা দায়ের করেছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আরও ছয়টি মামলা দায়ের করেছে। সবগুলো মামলায় আড়াই হাজার মানুষকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জে সহিংসতা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নতুন দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলার পাঁচটি থানায় মোট মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪টি। গতকাল সকাল ছয়টা পর্যন্ত আরও ৫১ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। এ নিয়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮৭ জনে।
বরিশাল : বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ ও জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে সাত মামলায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা ১৩৪ জন। বিএমপির পুলিশ কমিশনার মো. জিহাদুল কবির বলেন, সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় ছয় দিনে মোট ১০০ এবং শুক্রবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।