১৮ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত বৈমষ্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম সারির সমন্বয়করা ছিলেন পুলিশ হেফাজতে। মুখ-পরিচিত অন্য যারা ছিলেন, তারাও ছিলেন গোয়েন্দাদের নজরবন্দি। এক সমন্বয়কের সঙ্গে অন্য সমন্বয়কের যোগাযোগও প্রায় বিচ্ছিন্ন। তখন অজ্ঞাত স্থান থেকে আসে কর্মসূচি। গণমাধ্যমে দেয়া হয় নতুন নতুন নামে কর্মসূচির প্রেস রিলিজ। দেশি গণমাধ্যমে সেসব কর্মসূচি অনেকে প্রকাশের সাহস না করলেও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তা অনায়াসে প্রকাশ পেয়েছে। ফলে মুহূর্তেই বিশ্বব্যাপী তা ছড়িয়ে যায়। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে কর্মসূচি অল্প সময়ে মানুষের জানা হয়ে যায়। মো. নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, নুসরাত তাবাসসুম ও আবু বাকের মজুমদার যখন প্রশাসনের নজরবন্দিতে ছিলেন, তখন গুপ্ত স্থান থেকে কারা আন্দোলন চালিয়ে যান?
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই সময়ে আব্দুল হান্নান মাসউদ, মাহিন সরকার, রিফাত রশিদ যোগাযোগ-বিচ্ছিন্ন অবস্থায় একসঙ্গে ছিলেন। একইসঙ্গে থেকে বিভিন্ন স্থানে রাতদিন একসঙ্গে ছিলেন। তখন ঢাকার দু-এক স্থানে যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যেত, সেখান থেকে পরিকল্পনা অনুযায়ী আব্দুল কাদেরের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন এই তিন সমন্বয়ক। তখন আব্দুল কাদেরও আরও কজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন বলে জানা যায়।
নাহিদ-আসিফ প্রশাসনের নজরবন্দি থাকায় তখন গণমাধ্যমে যে প্রেস রিলিজগুলো আসত, সেগুলো মূলত তিনজনের নামে ছিল। তারা হলেন আব্দুল কাদের, আব্দুল হান্নান মাসউদ ও মাহিন সরকার। গতকাল তিন সমন্বয়কের সঙ্গে এ নিয়ে বিস্তারিত কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তারা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে যারা শুরু থেকে সামনের সারিতে ছিলেন, আন্দোলন রুখে দিতে হাসিনা সরকার ১৮ তারিখ থেকে প্রথম সারির শিক্ষার্থীদের আটক করে। তাদের গুম করে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। নাহিদ ও আসিফকে এতই নির্যাতন করা হয় যে, ইনজেকশন পর্যন্ত দেয়া হতো বলে অভিযোগ করা হয়। একই সময় অসংখ্য শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশের গুলিতে নিহত হচ্ছেন। তখন চার সমন্বয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন প্রয়োজনে তারা দেশের জন্য মৃত্যুবরণ করবেন, তবুও আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। একইসঙ্গে তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে এই আন্দোলন তারা বিপ্লবে রূপ দেবেন এবং সরকার পতন নিশ্চিত করবেন। ক্ষমতায় টিকে থাকতে শত শত শিক্ষার্থীকে খুন করছে হাসিনা সরকার। এই আন্দোলন যদি কোনো কারণে কোটা সংস্কারের মাধ্যমে শেষ হয়ে যায়, তাহলে সরকার পরবর্তীতে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে খুন করবে। যারা প্রকাশ্যে রাস্তায় আন্দোলন করেছে, তাদের চিহ্নিত করবে। তাই পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ নেই। চার সমন্বয়ক আরও জানান, এই আন্দোলন শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের কয়েকজনের অর্জনের আন্দোলন নয়। তখন অনেকে ঝুঁকি নিয়ে সমন্বয়ক হতে চায়নি এমন শত শত শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে ছিলেন। আজ তাদের ভূমিকাকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। একইসঙ্গে আমরা অন্য যেসব সমন্বয়কের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি; কিন্তু কর্মসূচি দেয়ার পর অন্য সব সমন্বয়ক মাঠে থেকে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন। কারো মধ্যে বিরোধ ছিল না। আমরা যখন ৯ দফা দাবি উপস্থাপন করি এবং শেখ হাসিনাকে ছাত্রহত্যার দায়ে ক্ষমা চাওয়ার বিষয় যুক্ত করি, তখন দেশের সব মানুষ বুঝতে পেরেছে এই আন্দোলন এখন আর কোটা সংস্কার আন্দোলন নয়। এই আন্দোলন বিপ্লবের; এই আন্দোলন সরকার পতনের। অর্থাৎ কোটা আন্দোলনের মধ্যে দুটো অংশ তৈরি হয় : একটি কোটা সংস্কার, অন্যটি বিপ্লবের মাধ্যমে হাসিনা সরকারের বিদায়। আমাদের কৌশলী বার্তা জনগণ অল্প সময়ের মধ্যে বুঝতে সক্ষম হয়। তখন মানুষ আর পেছনে ফিরে তাকায়নি; যার যার অবস্থান থেকে রাস্তায় নেমে পড়ে। এই আন্দোলন শেষ পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি বা সমন্বয়কের মধ্যে থাকেনি। ছাত্র-জনতা সবার আন্দোলন হয়ে যায়। এখন আন্দোলনটা যে জন্য হয়েছে, সেটা বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষার্থী ও সরকারের মধ্যে আলাপ-আলোচনাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন ত্যাগ স্বীকার করা শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে গত ২০ জুলাই মধ্যরাতে রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। তার বাবা বদরুল ইসলাম তখন বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান। অন্যদিকে একটি সংবাদ সম্মেলনে আসিফ মাহমুদের বাবা বিল্লাল হোসেন ওই সময় বলেছিলেন, ১৯ জুলাই তার ছেলের সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তারপর বিভিন্ন জায়গায় তাকে খোঁজ করেও পাননি। ২৩ জুলাই দৈনিক ইত্তেফাকে খবর প্রকাশ হয় আসিফ মাহমুদকে গুম করা হয়েছে। তারপর আমরা শাহবাগ থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করতে গেলে ওসি আমাদের জিডি নেননি। সেখান থেকে যাত্রাবাড়ী থানায় যাই, সেখানেও একইভাবে আমাদের ফিরিয়ে দেয় পুলিশ। তারপর ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে খোঁজ করি; কিন্তু আসিফের কোনো সন্ধান না পেয়ে হাসপাতালের লাশঘরে (মর্গ) গিয়ে খোঁজাখুঁজি করি। তারপর ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটিতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আসিফ গুমের বিষয়টি দেশবাসীকে জানাই।
গতকাল রোববার প্রথম সারির সমন্বয়কদের অনুপস্থিতিতে আন্দোলন কীভাবে চলছে এ নিয়ে কথা হয় অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদের সঙ্গে। তিনি আমার সংবাদকে বলেন, কোটা আন্দোলনে যখন দেখছি আমাদের ভাইদের হত্যা করা হচ্ছে। যৌক্তিক দাবিগুলোকে মানা হচ্ছে না। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিই এ সরকার আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার রাখে না। আমরা ২৫ তারিখেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি এই সরকারকে ক্ষমতাছাড়া করব। আমরা যারা আছি, প্রয়োজনে সবাই মরে যাব। ২৫ তারিখ পর্যন্ত প্রায় ২০০ লোককে হত্যা করে ফেলছে। তখন নিজেদের বাঁচার বিষয় ভুলে গেছি। আমরা তখন ধাপে ধাপে আমাদের অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলে কর্মসূচির বিষয় চূড়ান্ত করি। একপর্যায়ে এসে আমরা অসহযোগ এবং এক দফার আন্দোলনের ঘোষণা দিই। তখন সরকার বাধ্য হয় পালিয়ে যেতে। আমরা তখন জনগণকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিÑ এটা শুধু কোটা আন্দোলন নয়, এটা স্বৈরাচার পতনের আন্দোলন। তখন যদি আমরা সরকার পতন আন্দোলনের ডাক না দিতাম, তাহলে হাসিনা আরও হাজার হাজার লোক মেরে ফেলত।
তিনি আরও বলেন, এখন যারা সামনে রয়েছেন, সরকারে রয়েছেন, তারা অনেকে তখন ডিবি কার্যালয়ে ছিলেন। তখন পুলিশ তাদের তুলে নিয়ে যায়। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার আমাদের কোনো সুযোগ ছিল না। আমরা তখন তিনজন একসঙ্গে ছিলাম আমি, মাহিন ভাই, রিফাত ভাই। আমরা তিনজন আলোচনা করতাম। পাশাপাশি আব্দুল কাদের ভাইকে আমরা অনলাইনে যুক্ত করতাম। এরপর হামজা ভাই, সাইদ ভাই, লুৎফর ভাই, তাদের সঙ্গে অনলাইনে পরামর্শ করতাম জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে। কে কোথায় থাকবে, কে কী করবে সে ছক করতাম। মাঠে কার্যকর করার জন্য কে কোন পয়েন্টে কী কাজ করবে, সে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতাম। কাকে কোন জায়গায় কীভাবে মাঠে নামাবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হতো। সারা রাত জেগে আমরা এসব প্ল্যান করতাম।
বর্তমান সরকারের সঙ্গে কোনো সমন্বয় নিয়ে দূরত্ব রয়েছে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন বর্তমান সরকারের সঙ্গে আমরা অনেক কিছু সমন্বয় করার চেষ্টা করছি। তবে সবগুলো যে পারছি, সেটা বলতে পারছি না। কিছু না কিছু সমন্বয়হীনতা অবশ্যই তৈরি হয়েছে। আমরা কিছুদিন আগে বিভাগীয় সফরে গিয়েছি; সেগুলো শেষ করে আমরা মাত্র ঢাকায় ফিরলাম। আশা করছি সরকার এবং জনগণের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা জনগণের চাহিদাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারব। ছাত্র-জনতার চাওয়া-পাওয়াগুলো আমরা সরকারকে বলতে পারব।
সমন্বয়ক মাহিন সরকার আমার সংবাদকে বলেন, কোটা সংস্কার মূলত শুরু হয়েছিল ৪ জুন থেকে যেদিন আদালত পরিপত্র বাতিলের রায় দেয়। সে মাসের ৯ তারিখে আমাদের একটা আল্টিমেটাম ঘোষণা হয়। ৩০ জুনের পর থেকে আমাদের আন্দোলন শুরু হবে। এর মধ্যে যেন পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপর পয়লা জুলাই আমরা প্রথমে রাজুতে বসি। জুলাইয়ের ২ তারিখে আমরা শাহবাগ দখল করি। এরপর আন্দোলন বেগবান হতে থাকে। ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরকারের দূরত্বের মনোভাব তৈরি হয়। আন্দোলনের তীব্রতা শুরু হয় ১৫ আগস্ট থেকে। ১৭ তারিখ পর্যন্ত আমরা ক্যাম্পাসে ছিলাম। শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাসে ছিল। ১৭ তারিখে আমাদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়া হয় স্বৈরাচারের দোসর ভাইস চ্যান্সেলর ও প্রশাসনের সহযোগিতায়। তারপর আমাদের আন্দোলনটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা ছাড়িয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি বিভিন্ন সময় পালন করেছি। সেই কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় আমরা যখন অনুভব করি এই সরকারের কাছে আমরা কেউ নিরাপদ নই, তখন থেকে আমরা আন্দোলন জোরালো করতে শুরু করি।
১৮ তারিখের পর যখন আমাদের সিনিয়ররা ডিবি হেফাজতে চলে গেলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ ছিল না। ওই সময় আমরা নিজেরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সারা দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে কর্মসূচিগুলো দিতাম। তখন আমাদের কয়েকজনের সিদ্ধান্তে কর্মসূচিগুলো আসত এবং সেগুলো বিভিন্ন নামে দেয়া হতো। সেখানে আমি কর্মসূচি দিয়েছি, ওই সময়ে সিনিয়রদের অনুপস্থিতে যাত্রাটা আমাদের জন্য সহজ ছিল না। চেষ্টা করেছি সময় ও জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিতে। ৩ আগস্ট আমরা ঘোষণা করি এক দফার কর্মসূচি। ৯ দফা বনাম এক দফা। মূলত দফা ছিল আমাদের এক দফা। যেদিন থেকে আমরা ৯ দফা দিই, সেখানে শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। সেদিন থেকে আমাদের টার্গেট ছিল এক দফা।
আমরা সেভাবে কর্মসূচি চূড়ান্ত করি। ৯ দফার প্রথমটি ছিল হাসিনার ক্ষমা প্রার্থনা। তিনি যদি ক্ষমা চান, তাহলে তার আর ক্ষমতায় থাকা সুযোগ থাকে না। শেষ সময় পর্যন্ত আমাদের ৯ দফার মধ্যে জনগণের চাওয়া এক দফার বাস্তবায়ন হয়।
সম্প্রতি যারা এ আন্দোলনকে সফল করেছেন, তাদের বিষয়গুলো বিস্তারিত জানতে আমরা সারা দেশে সফর করেছি। তাদের একত্রিত হওয়ার জন্য আহ্বান করেছি। রাষ্ট্র পুনর্গঠনের জন্য ঐক্যের আহ্বান করেছি। কোথাও হয়তো সমন্বয়ের অভাব আছে। আমরা সেটা বুঝতে পারছি, সমন্বয়হীনতা থাকার কারণে বাংলাদেশে এ মুহূর্তে এত বড় ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ক্যাম্পাসের ভেতরেও নানা ঘটনা ঘটেছে। যেগুলো আসলে চিন্তার বাইরে। আমরা দেখতে পাচ্ছি কিছু কিছু স্থানে প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। এরকম আমাদের কাছে তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। কয়েকটি ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে আমরা সত্যতা খুঁজে পেয়েছি। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনো রয়েছে। তারা বিভিন্ন রূপ ধরে আসার চেষ্টা করছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় ছদ্মরূপে আছে। এ থাকাটাই বাংলাদেশের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে কি না, সেটি আসলে প্রশ্নের ব্যাপার। সেই জায়গা থেকে বলতে পারি, সরকারের সঙ্গে যারা মাঠে থেকে এই আন্দোলন সমন্বয় করেছেন, তাদের সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। এ সুযোগে স্বৈরাচার মাথাচাড়া দেয়ার সুযোগ খুঁজছে। আশা করছি সরকার সে জায়গাগুলোর ঘাটতি পূরণ করবে; আবারও ছাত্র-জনতার চাওয়াগুলো সুন্দরভাবে পরিচালিত হবে।
নিজের ফেসবুকে সম্প্রতি এক মন্তব্যে আব্দুল কাদের বলেন, দায়িত্ব যেহেতু কাঁধে এসে গেছে, সেজন্য খেয়ে-না খেয়ে, পরিবার-পরিজন বাদ দিয়ে, দিন-রাত অমানবিক পরিশ্রম করে যাচ্ছি। যারা কাছ থেকে আমাদের চেহারা-ছবি দেখছেন, তারা কিছুটা বুঝতে পারছেন। কাজ তো করছি; কিন্তু এত কাজ... গুছিয়ে উঠতে পারছি না। এতকিছুর পরও মানুষের উপর্যুপরি উদ্দেশ্যমূলক সমালোচনায় অনেক আগেই হয়রান হয়ে গেছি। এখন মানসিকভাবেও কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলছি। তবে কাজ তো করে যাবই, হেরে গেলে তেমন আফসোস থাকবে না। আমাদের ১০-১২ জন মানুষের কল্লা না হয় আগেই যাবে, সেটা না হয় গেলোই। আফসোস নেই; সেটা তো হাসিনার আমলেই যেত। পরিশেষে তিনি বলেন, ‘আর তেমন কিছুই বলার নেই, কী আর বলব! সবাই ভালো থাকুন।’