দুর্নীতিতে ডুবতে বসা ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের রেগুলেটরি দুর্বলতার কারণে এ খাত সংস্কারের উদ্যোগ ঝুলে রয়েছে। খেলাপি ঋণের বোঝায় ন্যুব্জ দেশের ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংস্কার উদ্যোগ কবে নেয়া হবে— তা বলতে পারছেন না খাতসংশ্লিষ্ট কেউ।
জানা গেছে, ব্যাংক খাত সংস্কারে বাংলাদেশ ব?্যাংক সম্প্রতি ৬ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। এই টাস্কফোর্স ব্যাংক কোম্পানি আইন, বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ইত্যাদির সংস্কার ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি, ব্যাংক অধিগ্রহণ ও একীভূতকরণ-সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন, সংস্কার ও যুগোপযোগীকরণের প্রস্তাব দেবে এবং ব্যাংক খাতের শ্বেতপত্র প্রকাশের পদক্ষেপ নেবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই সিদ্ধান্তকে বেশ ইতিবাচকভাবেই দেখছেন খাত-সংশ্লিষ্টরা। তবে গঠন করা টাস্কফোর্সের মাধ্যমে ব্যাংক খাতের সংস্কারের কথা বলা হলেও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা এনবিএফআইগুলোর সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
আর্থিক খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পতিত সরকারের আস্থাভাজন কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তির অনিয়ম ও লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংকের মতোই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতেও অরাজকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের ত্বরিত কিছু পদক্ষেপের কারণে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ব্যাংক খাত। তবে চরম সংকটে থাকা এনবিএফআইগুলো বহু সংকটে থাকলেও এগুলোর সমাধানে এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপই নেয়া হচ্ছে না। নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে থাকা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সবশেষ প্রান্তিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানত বেড়েছে ৪৫ হাজার ১১৬ কোটি টাকা। এর আগের প্রান্তিকে যা ছিল ৪৪ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা। তবে একই সময়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছেড়েছে সাড়ে ৪৮ হাজারের বেশি আমানতকারী।
বেশিরভাগ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ অনিয়মে জড়িয়ে পড়ায় খেলাপি ঋণ বাড়ার পাশাপাশি দেখা দিয়েছে তারল্য সংকটও। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান আমানতকারীদের টাকা সময়মতো ফেরত দিতে পারছে না। এসব প্রতিষ্ঠানে নতুন করে আমানতও রাখতে চাচ্ছেন না গ্রাহকরা। এ অবস্থায় অবহেলিত এনবিএফআইয়ে সংস্কার করা খুবই জরুরি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক ও অর্থনীতিবিদ ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘ব্যাংক খাত সংস্কারে যেহেতু টাস্কফোর্স হয়েছে, একইভাবে এখন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংস্কার হওয়া দরকার। রেগুলেটর হিসেবে অবশ্যই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর এ ব?্যাপারে ভাববেন।’
ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মালিকরাও চাচ্ছেন এই খাতে সংস্কার হোক। এ ব্যাপারে তারা বাংলাদেশ ব?্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বলেও জানা গেছে। তারা বলছেন, খেলাপি ঋণ বৃদ্ধিসহ নানা কারণে এনবিএফআইয়ের প্রতি গ্রাহকের আস্থা কমেছে। আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে সংস্কার ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৭১১ কোটি টাকায়, যা তিন মাস আগে ছিল ২৩ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
খাত-সংশ্লিষ্টরা জানান, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান-পরিচালকদের যোগসাজশে ঋণ ভাগাভাগি করা হয়েছে। বেশিরভাগ ঋণের বিপরীতে নেয়া হয়নি জামানত। আবার ঋণ নেয়া অনেক গ্রাহককে খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না। এসব কারণে অর্থসংকটে প্রতিনিয়ত দুর্বল হয়ে পড়ছে অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। আবার কিছু প্রতিষ্ঠান আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিতে পারছে না। ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমন পরিস্থিতির জন্য অন্যতম দায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কারণ, নিয়ন্ত্রক সংস্থা হয়েও তারা কঠোরভাবে তদারকি করেনি।
স্বনামধন্য একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, কিছু পরিচালক ও প্রভাবশালী ব্যক্তি কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে লুটপাট করেছেন। তাদের সেই বড় বড় কেলেঙ্কারি ও অনিয়মের কারণে এখন খেলাপি ঋণ বেড়েছে। তাদের অনিয়মের কারণে অনেকগুলো আর্থিক প্রতিষ্ঠান এখন রুগ্ণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাব পুরো খাতে ছড়িয়ে পড়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ হালনাগাদ তথ্য থেকে জানা গেছে, ২০২৪ সালের জুন শেষে ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের স্থিতি দাঁড়ায় ৭৪ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২৪ হাজার ৭১১ কোটি টাকা, যা মোট স্থিতির ৩৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।
গত মার্চ শেষে ঋণ স্থিতি ছিল ৭৪ হাজার ৩৮৯ কোটি টাকা। ওই সময় খেলাপি ঋণ ছিল ২৩ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩২ শতাংশ। অর্থাৎ তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৮২২ কোটি টাকা বা ৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ২১ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা, যা ওই সময়ের মোট ঋণের ২৯ দশমিক ২৭ শতাংশ। সে হিসাবে ছয় মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা বা ১৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
অপরদিকে চলতি বছরের জুন শেষে আদায় অযোগ্য বা মন্দ ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৩৩ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা মোট ঋণের ২৮ দশমিক ২২ শতাংশ, যা গেলো মার্চে ছিল ২০ হাজার কোটি টাকা। এটি ওই সময়ের মোট ঋণের ২৬ দশমিক ৯১ শতাংশ।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএফসিএ) চেয়ারম্যান ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কোম্পানির (আইআইডিএফসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. গোলাম সরওয়ার ভূঁইয়া বলেন, যেগুলো খেলাপি হয়েছে, তার বেশিরভাগই পুরোনো ঋণ। ওই সময় অনেক ঋণ যাচাই-বাছাই ছাড়াই দিয়েছিল। নিয়ন্ত্রক সংস্থাও তেমন তদারকি করেনি। ফলে মন্দঋণ বেড়েছে। তবে সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবস্থা খারাপ নয়। হাতেগোনা কিছু প্রতিষ্ঠানের কারণে এ খাতে এ অবস্থার সৃষ্টির হয়েছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান অনেক ভালো করছে। এখন দেখেশুনে ঋণ দিচ্ছে। আদায়ে জোর দেয়া হচ্ছে, আগামীতে খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে জানান তিনি। দেশের ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দুরবস্থা নতুন কিছু নয়। আর্থিক খাতে লুটপাটের মহাকারিগর আলোচিত ব্যক্তি প্রশান্ত কুমার হালদার বা পিকে হালদার বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যে অনিয়ম করে গেছেন, তার সেই ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে পুরো সেক্টর। পিকে হালদারের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় ছিল— এমন কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপি ঋণের হার সবচেয়ে বেশি।
পাশাপাশি এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও খেলাপি ঋণ বাড়ছে। বিগত সরকারের আমলে দুর্দশাগ্রস্ত কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রশাসক নিয়োগ দিলেও পরিস্থিতির কাঙ্ক্ষিত উন্নতি হয়নি। যে কারণে আর্থিকভাবে এ খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েই চলেছে। তথ্য বলছে, পিকে হালদার সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পিপলস লিজিংয়ের খেলাপি ঋণের হার ৯৯ শতাংশ বা এক হাজার ৯৬ কোটি টাকা, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) খেলাপির হার ৯৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ বা ৭৪৩ কোটি টাকা, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের খেলাপি ঋণ ৯৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ বা তিন হাজার ৯১২ কোটি টাকা। এ ছাড়া পিকে হালদার-সংশ্লিষ্ট এফএএস ফাইন্যান্সের খেলাপি ঋণ ৮৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ বা এক হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা এবং আভিভা ফাইন্যান্সের খেলাপি ঋণ ৭১ দশমিক ৭২ শতাংশ বা এক হাজার ৯০২ কোটি টাকা। এছাড়া ফারইস্ট ফাইন্যান্সের খেলাপি ঋণ ৯৪ দশমিক ৪১ শতাংশ, জিএসপি ফাইন্যান্সের ৯২ দশমিক ৩৭ শতাংশ, ফার্স্ট ফাইন্যান্সের ৮৯ দশমিক ৪১ শতাংশ, প্রিমিয়ার লিজিংয়ের ৬৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ, সিভিসি ফাইন্যান্সের ৫৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ, মেরিডিয়ান ফাইন্যান্সের ৫৯ দশমিক ১৭ শতাংশ, আইআইডিএফসির ৫৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ, হজ ফাইন্যান্সের ৫৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ, ফিনিক্স ফাইন্যান্সের ৫৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ, ন্যাশনাল ফাইন্যান্সের ৫৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ, বে-লিজিংয়ের ৫২ দশমিক ৮২ শতাংশ ও উত্তরা ফাইন্যান্সের ৫০ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এরপরই খেলাপি ঋণের তালিকায় আছে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, মাইডাস ফাইন্যান্স, ইসলামিক ফাইন্যান্স, প্রাইম ফাইন্যান্স, ইডকল ও লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এমন দুরবস্থার জন?্য অনেকেই বাংলাদেশ ব্যাংককে দায়ী করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় বিশেষ করে বিএফআইইউর কর্মকর্তাদের নাকের ডগা দিয়ে পিকে হালাদার হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছেন; অথচ তারা কিছুই টের পায়নি! তিনি চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে অন্তত সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। সেগুলো কোথায় কোন কাজে ব্যবহার করছেন, তারা কী কিছুই টের পায়নি। এটা স্পষ্ট যে, এখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গাফিলতি ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর শেষে ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রেড জোনে ছিল ১৪টি। দুবছর আগে ২০২১ সালে রেড জোনে ছিল ১২টি। অর্থাৎ এই খাতের প্রতি মানুষের আস্থা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে।
এদিকে সম্প্রতি নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যানরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে দেখা করেছেন। ওই সময় তারা ব্যাংক খাত সংস্কারের পাশাপাশি নন-ব্যাংকিং খাত সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে বাংলাদেশ ব?্যাংক বিষয়টিতে সায় দেয়নি। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর তাদের বলেছেন, ‘এনবিএফআই সংস্কারের কাজ শুরু করবেন এখন থেকে আরও তিন-চার মাস পর।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘বাংলাদেশ ব?্যাংক যে টাস্কফোর্স গঠন করেছে, তা শুধু ব্যাংক খাত সংস্কারের জন্য। অর্থনীতি ঠিক করতে হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যাংক খাত ঠিক করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক আপাতত ব্যাংক খাতে সুশাসন ফেরানোর চেষ্টা করছে।’
প্রসঙ্গত, দেশে প্রথম আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮১ সালে আইপিডিসির মধ্য দিয়ে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ ব্যাংক লাইসেন্স দিয়ে থাকে এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন ১৯৯৪-এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে। অর্থাৎ ব্যাংকগুলোর মতো ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর রেগুলেটর হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশে বর্তমানে ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এর মধ্যে ২৩ আর্থিক প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারের তালিকভুক্ত।