সিমলা চুক্তি বাতিল আকাশসীমা বন্ধসহ পাকিস্তানের একগুচ্ছ পদক্ষেপ
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক পদক্ষেপের শঙ্কা
পাকিস্তান সীমান্তে আটক বিএসএফ জওয়ান
কাশ্মীর হামলায় জড়িতদের ‘অকল্পনীয়’ শাস্তি দেয়ার অঙ্গীকার মোদির
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের অভিযোগের তীর পাকিস্তানের দিকে। প্রথমদিকে এই অভিযোগ প্রচ্ছন্ন হলেও বর্তমানে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে। সেই হাওয়ায় ভেসে নরেন্দ্র মোদির সরকার পাকিস্তানের স্বার্থবিরোধী একের পর এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এ ধারাবাহিকতায় গতকাল বৃহস্পতিবার পাকিস্তানও ভারতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়। ফলে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তান ‘ইটের বদলে পাটকেল’ নীতিতে প্রবেশ করল।
গোটা বিশ্বের নজর এখন ভারতের দিকে। ভারতের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তার বিচার-বিশ্লেষণ চলছে। কারণ, মোদি বারবার বলছেন, অভিযুক্ত এবং পরিকল্পনাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। তিনি ভারতে তার দলের নেতাদের সাথে দেখা করেছেন। জরুরি সেসব বৈঠকে কী আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হচ্ছে তা সাংবাদিকদের জানানো হচ্ছে না। সাম্প্রতিককালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার শঙ্কা আরও বাড়াচ্ছে। ভারত ২০১৬ সালে সীমিত পর্যায়ে পাকিস্তানে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালায়। ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় হামলায় আধা সামরিক বাহিনীর অন্তত ৪০ সদস্য নিহত হওয়ার পর ভারত বালাকোটে পাকিস্তানে বিমান হামলা চালায়। তখন দেশটি দাবি করেছে, তারা কথিত সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছে। ওই সময় পাকিস্তানও পাল্টা হামলা করে। দু-দেশের শক্তি প্রদর্শন থামে ভারতীয় এক বিমানচালককে আটকের মধ্য দিয়ে। পরে সেই উত্তেজনা যুদ্ধে গড়ায়নি। এ ঘটনার পরবর্তী প্রেক্ষাপটে নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় সম্মত হয় ভারত ও পাকিস্তান। কিন্তু এবার ভারত সেই যুদ্ধবিরতি ভাঙলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পরে। কারণ, ইসলামাবাদ এবার ছাড় নাও দিতে পারে। ভারতের যে কোনো ধরনের সামরিক হামলার পাল্টা ব্যবস্থা ভয়ঙ্কর হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই দেশের মধ্যেকার উত্তেজনা যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে ‘মিসক্যালকুলেশন’ বা ভুল হিসাবের আশঙ্কা। উভয় দেশের কাছে বিপুল পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র থাকায় সংঘাত সীমিত না থেকে বিস্তৃত আকারও নিতে পারে। ভারতের সামরিক ইতিহাসবিদ শ্রীনাথ রাঘবন বিবিসিকে বলেছেন, ভুল হিসাবের ঝুঁকি সবসময় থাকে। একপক্ষ একটু বেশিই প্রতিক্রিয়া দেখালে, অপরপক্ষও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে বাধ্য হয়- এভাবে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, ভারত কিছুটা সীমিত আকারে পাল্টা আঘাত হানতে পারে, কিন্তু পাকিস্তান তা কীভাবে গ্রহণ করবে সেটাই মূল প্রশ্ন। কারণ প্রতিটি প্রতিক্রিয়ায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি আছে। ফলে চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। বিশ্ব কি আরও একটি যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে? চির বৈরী দুই পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যকার সংঘাতের ধকল সইতে কি পারবে বিশ্ব?
সিমলা চুক্তি বাতিল, বাণিজ্য স্থগিতসহ ভারতের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিল পাকিস্তান : ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিত, সিমলা চুক্তি বাতিল, আকাশসীমা বন্ধসহ একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তান। গতকাল বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে ওই বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাঠানো বিবৃতিতে সিদ্ধান্তগুলো জানানো হয়েছে। খবর ডনের। এর আগে কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার জেরে গতকাল সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি পদক্ষেপ নিয়েছিল ভারত। এর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এসব সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান। এর অংশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে সিমলা চুক্তি বাতিল, ওয়াঘাহ সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ। এগুলোর সঙ্গে নিজেদের আকাশে ভারতীয় মালিকানাধীন অথবা ভারত পরিচালিত সব বিমান প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পাকিস্তান।
এর পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যও বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। তারা জানিয়েছে, পাকিস্তান হয়ে তৃতীয় কোনো দেশের পণ্যও ভারতে প্রবেশ অথবা বের হতে পারবে না।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান কঠোরভাবে ভারতের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা নাকচ করেছে। পাকিস্তান বলেছে, এই চুক্তি বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যস্থতায় হওয়া একটি বাধ্যবাধকতামূলক আন্তর্জাতিক চুক্তি, এককভাবে এই চুক্তি স্থগিতের কোনো বিধান নেই। পানি ভারতের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ইস্যু, তা দেশের ২৪ কোটি মানুষের জীবন রক্ষা করে এবং যেকোনো মূল্যে এই পানি পাওয়ার বিষয়টি রক্ষা করা হবে। পাকিস্তান বলেছে, ভারতের বেপরোয়া ও দায়িত্বহীন আচরণের, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তগুলো এবং আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হয়েছে, পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে সব দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্থগিতের অধিকার প্রয়োগ করবে এবং তা শুধু সিমলা চুক্তি স্থগিতের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। আর তা ভারত পাকিস্তানের ভেতরে সন্ত্রাসবাদ উসকে দেয়া, আন্তঃসীমান্ত হত্যা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন ও কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাবগুলো না মেনে চলা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। পাকিস্তান অবিলম্বে ওয়াগা সীমান্তচৌকি বন্ধ করছে। দেশটি বলেছে, এই পথ দিয়ে ভারত থেকে সব ধরনের চলাচল বন্ধ থাকবে। বৈধভাবে যারা এই পথ দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছেন, তারা অবিলম্বে এখান দিয়ে ফেরত যেতে পারবেন। তবে ৩০ এপ্রিলের পর এ সুযোগ দেয়া হবে না।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক পদক্ষেপের শঙ্কা : ভারতশাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে মঙ্গলবারের রক্তপাতের ঘটনাকে ২০১৯ সালের পর থেকে সবচেয়ে মারাত্মক জঙ্গি হামলা হিসেবে চিহ্নিত করে দিল্লি দ্রুত বেশ কয়েকটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। এই তালিকায় প্রধান সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেয়া, একটা গুরুত্বপূর্ণ জল বণ্টন চুক্তি স্থগিত করা এবং কূটনীতিকদের বহিষ্কারের মতো সিদ্ধান্তও রয়েছে। এদিকে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এই হামলার ‘কঠোর জবাব’ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অপরাধীদের বিরুদ্ধেই নয়, ভারতের মাটিতে ‘ঘৃণ্য কাজের’ নেপথ্যে থাকা ‘মাস্টারমাইন্ডদের’ বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাজনাথ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মুহূর্তে প্রশ্ন এটা নয় যে, সন্ত্রাসী হামলার জবাবে ভারতের পক্ষ থেকে সামরিক প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে কি না। প্রশ্ন হলো- সেটা কখন হবে, তার মাত্রা কী হবে এবং তার ফলে কী মূল্য দিতে হতে পারে। সামরিক ইতিহাসবিদ শ্রীনাথ রাঘবন বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমরা সম্ভবত একটা দৃঢ় প্রতিক্রিয়া দেখতে পাব, যা ঘরোয়া দর্শক এবং পাকিস্তানে থাকা অভিনেতা- দুই পক্ষকেই একটা বার্তা দেবে।
২০১৬ সাল থেকে; বিশেষত ২০১৯ সালের পর থেকে এই জাতীয় ঘটনার ক্ষেত্রে প্রতিশোধমূলক যে ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, তা হলো আন্তঃসীমান্ত হামলা বা বিমান হামলা।’ শ্রীনাথ বলেন, ‘কাজেই সরকারের পক্ষে এখন সেই মাত্রার নিচে কোনো কাজ করা কঠিন হয়ে পড়বে। অনুমান করা যায়, পাকিস্তানও আগের মতোই জবাব দেবে। এক্ষেত্রে বরাবরের মতোই যে ঝুঁকিটা থেকে যায় সেটা হলো, হিসাবে ভুল- যা উভয় পক্ষেরই হতে পারে।’ এই প্রসঙ্গে তিনি ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুটো বড় প্রতিক্রিয়ার দিকে ইঙ্গিত করছেন। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উরি (জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলা জেলায় অবস্থিত) হামলায় ১৯ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যুর পর কার্যত লাইন-অফ-কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তানে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ করেছিল ভারত। সেই সময় ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তাদের লক্ষ্যবস্তু হলো পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরের সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি।
২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলায় আধাসামরিক বাহিনীর অন্তত ৪০ জনের মৃত্যুর পর ভারত পাকিস্তানের বালাকোটের কথিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায়। ১৯৭১ সালের পর সেবারই প্রথম পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হামলা চালায় ভারত। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে পাকিস্তানও বিমান হামলা চালিয়েছিল। বিবাদ বাড়তে থাকে। এই সময় ভারতীয় একজন পাইলটকে কিছুদিনের জন্য আটক করা হয় পাকিস্তানে। তবে দুই পক্ষই নিজেদের শক্তি দেখালেও তারা পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ এড়িয়ে গেছে। দুই বছর পর ২০২১ সালে তারা নিয়ন্ত্রণ রেখায় ‘সিজ ফায়ার’ বা পরস্পরের সীমান্তে গুলি বন্ধ করতে সম্মত হয়। ভারতশাসিত কাশ্মীরে বিভিন্ন সময় সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলা সত্ত্বেও কিন্তু এই শর্ত মূলত বহাল রয়েছে। পররাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান মনে করেন, সর্বশেষ হামলায় ভারতীয় বেসামরিক নাগরিকদের নিশানা করার মতো ঘটনা এবং এতগুলো মানুষের মৃত্যু; পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক প্রতিক্রিয়ার জোরালো সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়।
দিল্লি যদিও পাকিস্তানের জড়িত থাকার মাত্রা নির্ধারণ করতে পারে বা নিছকই ধরে নেয় যে তারা (পাকিস্তান) জড়িত- দুই ক্ষেত্রেই। কিন্তু, এই সম্ভাবনা থাকে।’ তিনি বিবিসিকে বলেছেন, ‘ভারতের জন্য এ জাতীয় প্রতিক্রিয়ার প্রধান সুবিধা হবে রাজনৈতিক দিক থেকে। কারণ, জোরালো জবাব দেয়ার জন্য তাদের ওপর ভারতীয় জনসাধারণের প্রবল চাপ থাকবে।’ কুগেলম্যান বলেন, ‘আরেকটা সুবিধা হলো, যদি প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে সফলভাবে সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুকে নির্মূল করা সম্ভব হয়, তাহলে তা প্রতিরোধ ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং ভারতবিরোধী হুমকিকে হ্রাস দুই-ই করতে পারে। আর অসুবিধা হলো, এটা একটা গুরুতর সংকট সৃষ্টি করতে পারে, এমনকি সংঘাতের ঝুঁকিও।’
পাকিস্তানে ঢুকে ধরা পড়লেন বিএসএফ জওয়ান : চলমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে আটক হয়েছেন ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের এক জওয়ান। ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভুল করে ওই জওয়ান পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সেক্টরের সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে আটক করেন পাকিস্তানি রেঞ্জার্স সেনারা। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার। ওই জওয়ানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে বিএসএফ এরই মধ্যে পতাকা বৈঠকে বসেছে বলেও দাবি করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলায় ২৬ জন নিহতের জেরে নতুন করে টানাপড়েন তৈরি হয়েছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই পাকিস্তান রেঞ্জারের হাতে আটক হন বিএসএফের ১৮২ নম্বর ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল পিকে সিং। তিনি ফিরোজপুর সেক্টরের আন্তর্জাতিক সীমান্তে কর্মরত ছিলেন। বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাতে সংবাদ মাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার ১৮২নং ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল পিকে সিং সামরিক পোশাক পরিহিত অবস্থায় ভুলবশত, ফিরোজপুরের কাছ দিয়ে পাকিস্তান সীমান্তে প্রবেশ করেন। ওই সময় তার হাতে রাইফেলও ছিল। তিনি স্থানীয় কৃষকদের সহায়তা করছিলেন। তখন পথভ্রষ্ট হয়ে পাকিস্তানের ভেতর ঢুকে পড়েন। আলোচনার মাধ্যমে তাকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
কাশ্মীর হামলায় জড়িতদের ‘অকল্পনীয়’ শাস্তি দেয়ার অঙ্গীকার মোদির : কাশ্মীরে ভয়াবহ হামলার জন্য দায়ীদের ভয়াবহ শাস্তি দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল বিহার রাজ্যের উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন শেষে এক জনসভায় এ অঙ্গীকার করেন তিনি। বক্তৃতার শুরুতেই নিহতদের স্মরণে দুই মিনিট নীরবতা পালন করেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
বিশাল জনসমাবেশের সামনে তিনি হিন্দিতে বলেন, আমি স্পষ্টভাবে বলছি, যে এই হামলা চালিয়েছে এবং যারা এটি পরিকল্পনা করেছে, তাদের এমন শাস্তি দেয়া হবে যা কল্পনারও বাইরে। আমরা তাদের পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত অনুসরণ করব। কাশ্মীরে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের হাতে ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার দুদিন পর ওই জনসভায় মোদি বলেন, ‘তারা অবশ্যই শাস্তি পাবে। এই সন্ত্রাসবাদীদের যেটুকু জমি আছে, তা ধুলোয় পরিণত করা হবে। ১৪০ কোটি ভারতীয়র সংকল্প এই সন্ত্রাসীদের মেরুদণ্ড চূর্ণ করে দেবে।’