Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪,

প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের জবাব দিলেন ড. ইউনূস

সাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া

জুন ৩০, ২০২২, ১০:৩৮ এএম


প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের জবাব দিলেন ড. ইউনূস

পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করাসহ সেতু বাস্তবায়নের পথে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দায়ী করে বিভিন্ন সময়ে বক্তব্য রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতুর উদ্বোধনকে ঘিরে প্রসঙ্গটি আরও বেশি আলোচিত হয় এর প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউনূস সেন্টার। 

বুধবার (২৯ জুন) রাতে এ বিষয়ে নিজের মতামত লিখিত আকারে তুলে ধরেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ইউনূস সেন্টার থেকে পাঠানো জবাবের শিরোনাম দেয়া হয়েছে, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রফেসর ইউনূসের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সমূহের জবাব’।

ইউনূস সেন্টারের বিবৃতিতে, পদ্মা সেতুর বিরোধিতা কিংবা ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে অস্বীকার করে ড. ইউনুস নিজেকে পদ্মা সেতুর স্বপ্নে বিশ্বাসী হিসেবে উল্লেখ করেন। পশাপাশি এ ঐতিহাসিক সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দনও জানান। তবে লিখিত বক্তব্যে সব অভিযোগের উত্তর মেলেনি বলে সমালোচনা করছেন অনেকেই।

পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধসহ, সেতু বাস্তবায়নের পথে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম বেশ পুরনো। বিষয়টি আরও আলোচিত হয় নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে সেতু উদ্বোধন হওয়ায়। তবে বিষয়টি নিয়ে এবার লিখিত আকারে নিজের অবস্থান জানান দিয়েছেন তিনি।

বিবৃতিতে ড. ইউনূস দাবি করেন, চাকরি ধরে রাখতে নয়, গ্রামীণ ব্যাংকের মৌলিক আইনি মর্যাদা রক্ষায় তিনি হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেছিলেন। যদিও ৬০ বছর বয়স পার হলেও গ্রামীণ ব্যাংকের এমডির পদ থেকে পদত্যাগ না করে পাল্টা পদ টিকিয়ে রাখতে মামলা করেছিলেন তিনি।

পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধে একজন সম্পাদককে সঙ্গে নিয়ে বিশ্বব্যাংক কার্যালয়ে বৈঠক করার বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ দুই বন্ধুর খেয়ালখুশি কিংবা একজন পত্রিকার সম্পাদকের সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার ওপর নির্ভর করে না। হিলারি ক্লিনটনকে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চাপ প্রয়োগের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। যদিও ড. ইউনূসের পদ টিকিয়ে রাখার সুপারিশ করতে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন, হিলারি ক্লিনটন এবং টনি ব্লেয়ারের স্ত্রী শেরি ব্লেয়ার।

নিজের আয়ের উৎস্য হিসেবে ভাষণের উচ্চ ফি, ২৫ ভাষায় প্রকাশিত বইয়ের রয়্যালটি এবং এসব অর্থ স্থায়ী আমানত হিসেবে রেখে অর্জিত আয়কে উল্লেখ করেছেন ড. ইউনূস। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি হিসেবে বেতনের বাইরে কোনো অর্থ গ্রহণ করেননি বলেও দাবি করেন।

পাশাপাশি তিনি কখনোই গ্রামীণফোনের শেয়ারের মালিক ছিলেন না বলেও জানান। যদিও তার বক্তব্যে, ওঠে আসেনি গ্রামীণফোনের প্রতিষ্ঠাতা ইকবাল জেড কাদীরের নাম।

অধ্যাপক ইউনূস কখনোই ক্লিনটন ফাউন্ডেশনকে কোনো অঙ্কের কোনো অনুদান দেননি বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এমন অভিযোগকে সম্পূর্ণ কল্পনাপ্রসূত এবং মানহানিকর আখ্যা দিয়ে জানান, সরকার আগেই তার সব ধরনের লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করেছে।


ইএফ

Link copied!