Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪,

বাইক চলাচলে অনুমতির ফরম পাওয়া যাবে যেখানে

মো. মাসুম বিল্লাহ

জুলাই ৭, ২০২২, ০২:৩৫ পিএম


বাইক চলাচলে অনুমতির ফরম পাওয়া যাবে যেখানে
ফাইল ছবি

সড়ক দুর্ঘটনা ঠেকাতে ঈদের আগে তিন দিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পরে তিন দিন এই সাত দিন এক জেলা থেকে আরেক জেলায় মোটরসাইকেল চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এসময় মহাসড়কে রাইড শেয়ারিং করা নিষেধ করা হয়েছে। 

তবে ছুটিতে জরুরি প্রয়োজনে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় মটরসাইকেল যাতায়াত করা যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে পুলিশের লিখিত অনুমতি লাগবে।

রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বুধবার (৭ জুলাই) ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, লিখিত অনুমতির জন্য নির্দিষ্ট ফরম রয়েছে। ফরম পাওয়া যাবে মহানগরগুলোর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে। জেলার ক্ষেত্রে এই ফরম পাওয়া যাবে পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ে। এছাড়া প্রতিটি জেলার থানা ও তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে পাওয়া যাবে এই ফরম।

অবশ্য এ বিষয়ে পুলিশ কোনো আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি দেয়নি। পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (অপারেশন্স ও মিডিয়া) মো. হায়দার আলী খান বলেন, যদি মনে হয় আবেদনকারীর অন্য জেলায় মোটরসাইকেলে গমন করা প্রয়োজন, সে ক্ষেত্রে তিনি অনুমতি পাবেন।

এদিকে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, এ সিদ্ধান্তের কারণে মানুষের মধ্যে বাজে বার্তা যাচ্ছে। বিআরটিএর এ সিদ্ধান্তে জনরোষ তৈরি হবে। শতশত মানুষ ঈদের সময় মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি যায়। পুলিশ কীভাবে তাদের ঠেকাবে। এটি বাস্তব সম্মত নয়। আমরা বিআরটিএকে জানিয়েছি, এ কাজ পুলিশের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকলে পুলিশ সেখানে সহায়তা করবে। বাড়ি যাওয়ার যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে পুলিশ মোটরসাইকেল চালকদের ছেড়ে দেবে।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, মোটরসাইকেল চালকদের আরেকটু সচেতন হওয়া উচিত। ঢাকার আশপাশের জেলায় ১ থেকে ২ ঘণ্টার দূরত্বের পথ তারা পাড়ি দিতে পারেন। একজন মোটরসাইকেল নিয়ে রংপুর পর্যন্ত চলে যাবে— এটি ঠিক নয়। নিজের ও পরিবারের কথা ভাবতে হবে। ঈদের সময় মহাসড়কে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা মোটরসাইকেল চালালে তার নিজের জন্য ঝুঁকি তৈরি হবে।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবর রহমান বলেন, মোটরসাইকেল চালানো একজন মানুষের নাগরিক অধিকার। জীবনের প্রয়োজনে মানুষ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যান। মোটরসাইকেল চলাচলে বিধিনিষেধ সরকারি আদেশ। বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত ছাড়া এটি প্রতিপালন পুলিশের জন্য চ্যালেঞ্জিং।

বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, মোটরসাইকেল চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপের বৈঠকে পুলিশের প্রতিনিধিও ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে বুধবারও ডিএমপি কমিশনার ও হাইওয়ে পুলিশের প্রধানের সঙ্গে কথা হয়েছে। এটি সরকারি আদেশ। এটি পালনের দায়িত্ব পুলিশের। আর আমাদের পর্যাপ্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত নেই।

আমারসংবাদ/এআই 

Link copied!