জুলাই ১৯, ২০২২, ০৮:১৪ পিএম
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেছেন, প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই এমন ভাবে লিখতে হবে, যাতে করে শিক্ষা শিশু মনে ভীতির নয় প্রীতির ভাব জাগাবে। পাঠ্যপুস্তক হতে হবে সহজ, সরল ও প্রাঞ্জল, যা শিশুকে আনন্দিত করবে, বইয়ের পাতা উল্টোতে তাগিদ সৃষ্টি করবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মঙ্গলবার এনসিটিবি সভাকক্ষে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড আয়োজিত ‘পরিমার্জিত প্রাথমিক শিক্ষাক্রম-২১ এর আলোকে প্রণয়নকৃত ১ম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষক সহায়িকার যৌক্তিক মূল্যায়ন সংক্রান্ত ৩দিন ব্যাপি কর্মশালার উদ্বোধন অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নতুন শিক্ষানীতির আলোকে সরকার পুরোনো ধারার শিক্ষার খোলনলচে পাল্টে এমন এক শিক্ষার বীজ বপন করছে, যা শিক্ষার্থীর মস্তিস্ক ও পিঠ থেকে মুখস্থবিদ্যার বোঝা ঝেড়ে ফলে তাদের কৌতুহল, জিজ্ঞাসা, অনুসন্ধান, শক্তিকে জাগাবে ও কাজে লাগাবে। এর মাধ্যমে শিশুর জানার পরিধি বাড়বে এবং সে স্বপ্ন ও কল্পনা দিয়ে আপন ভূবন সাজাবে। সে নিজেই নানা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবে, তা মোকাবেলা করে অভীষ্ট গন্তব্য পৌঁছাবে। তাই এটা বলা যায়, মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক শিশুর অপার সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ স্বপ্নকে সত্যি করে তুলবে।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ফরহাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহিবুর রহমান, পরিচালক ড. উত্তম কুমার দাশ, এনসিটিবির সদস্য মো. মশিউজ্জামান ও প্রফেসর একেএম রিয়াজুল হাসান, সচিব নাজমা আখতার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ইএফ