Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪,

৫২ উপজেলায় কোনো ভূমিহীন-গৃহহীন নেই: প্রধানমন্ত্রী

মো. মাসুম বিল্লাহ

জুলাই ২১, ২০২২, ১২:১১ পিএম


৫২ উপজেলায় কোনো ভূমিহীন-গৃহহীন নেই: প্রধানমন্ত্রী

পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সব উপজেলাসহ দেশের ৫২টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মুজিববর্ষের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার পাঁচ উপজেলার আরও ২৬ হাজার ২২৯টি পরিবারকে জমিসহ ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করে তিনি এই ঘোষণা দেন।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। 

তিনি বলেন, আমি পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলাকে এবং দুটি জেলার সব উপজেলাসহ সারাদেশের ৫২টি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করছি।

ঢাকার নবাবগঞ্জ; মাদারীপুর সদর; শরীয়তপুরের ডামুড্যা; কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী; টাঙ্গাইলের গোপালপুর; মানিকগঞ্জের ঘিওর, সাটুরিয়া; রাজবাড়ীর কালুখালী।

ফরিদপুরের নগরকান্দা; নেত্রকোণার মদন; ময়মনসিংহের ভালুকা, নান্দাইল, ফুলপুর, ফুলবাড়িয়া; জামালপুর বক্শীগঞ্জ।

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ; ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী; নীলফামারীর ডিমলা; নওগাঁর রাণীনগর; জয়পুরহাটের পাঁচবিবি; রাজশাহীর মোহনপুর, চারঘাট, বাঘা; বগুড়ার নন্দীগ্রাম, দুপচাঁচিয়া; নাটোরের বাগাতিপাড়া।

 চট্টগ্রামের পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া; লক্ষ্মীপুরের রায়পুর, রামগঞ্জ; ফেনী সদর, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরাম; গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ; পঞ্চগড়ের আটোয়ারী, পঞ্চগড় সদর, দেবীগঞ্জ, তেঁতুলিয়া, বোদা।

পাবনার ঈশ্বরদী; চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ; ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু; সাতক্ষীরার তালা; মাগুরার শ্রীপুর, মোহম্মদপুর, শালিখা, মাগুরা সদর; ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া এবং পটুয়াখালীর দশমিনা।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন দেশে কেউ যেন ভূমি ও ঠিকানাহীন না থাকে সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। এছাড়া কোনো মানুষ যেন ছিন্নমূল না থাকে সে লক্ষ্যের কাজ করছে সরকার।

সরকারপ্রধান বলেন, ঘর পাওয়ার পর মানুষের মুখে যে হাসি এর চেয়ে বড় কিছু পাওয়ার থাকে না।

সরকার প্রধানের মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস জানান, এর আগে তিন দফায় ১ লাখ ৮৫ হাজার ১২৯টি ঘর পেয়েছেন গৃহহীনরা। বৃহস্পতিবার পেল আরও ২৬ হাজার ২২৯টি পরিবার। এছাড়া আরও ৮ হাজার ৬৬৭টি ঘর নির্মাণাধীন।

প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২০২২ পর্যন্ত এক লাখ ৮৫ হাজার ১২৯টি বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি, ৬৩ হাজার ৯৯৯ গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার তাদের মাথার ওপর ছাদ পায়। আর গত বছরের ২০ জুন আশ্রায়ন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৩০টি পরিবার ঘর পায়।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে সরকার ঘরগুলোকে অধিকতর টেকসই ও জলবায়ু সহিষ্ণু করে গড়ে তুলতে ঘরগুলোর নকশা পরিবর্তন করে। এতে ঘরগুলোর নির্মাণ খরচ বেড়ে যায়।

ঘরগুলোকে অধিকতর টেকসই করে গড়ে তোলায় প্রতিটি ঘরের নির্মাণব্যয় এক লাখ ৯১ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে দুই লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত হয়।

ঘূর্ণিঝড় কিংবা বন্যার মতো যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়টি মাথায় রেখে বিশেষভাবে স্থানান্তরযোগ্য করে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।


ইএফ

Link copied!