Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪,

বিআরটির প্রকল্পে ৯ বছরে নিহত ১১, আহত ২৭৮

মো. মাসুম বিল্লাহ

আগস্ট ২১, ২০২২, ০৮:৩২ পিএম


বিআরটির প্রকল্পে ৯ বছরে নিহত ১১, আহত ২৭৮

যানজট নিরসনে গাজীপুর থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) নির্মাণ করছে সরকার। কিন্তু বিআরটির এই প্রকল্প ২০১২ সালে উদ্বোধনের পর গত ৯ বছরে সেখানে ১১ জনের প্রাণ ঝরেছে, আহত হয়েছেন ২৭৮ জন।

বিআরটির ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকার প্রজেক্টে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে ৪ হাজার ৮২১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আর ২০১৬ সালে শুরু হওয়া ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকার মেট্রোরেল প্রকল্পে প্রাণ ঝরেছে ৩ জনের, আর আহত হয়েছেন ৮৬ জন এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার ১৪০ কোটি ১২ লাখ টাকা।

রোববার (২১ আগস্ট) বেসরকারি সংস্থা সেভ দ্য রোডের মহাসচিব শান্তা ফারজানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বিআরটি প্রকল্পের সীমাহীন অব্যবস্থাপনা আর ঠিকাদারদের দায়িত্বে অবহেলা, প্রজেক্ট কর্তাদের অদক্ষতায় ২৯ হাজার ৫১২ কর্মঘণ্টা অপচয়ের পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্সে থাকা রোগীদের মধ্য থেকে হাসপাতালে যাওয়ার পথে যানজটেই প্রাণ হারিয়েছেন ১২৬ জন। অসহনীয় দূষণের কারণে অসুস্থ হয়েছেন ৯ বছরে ৩ হাজার ৫৬২ জন।

প্রায় একই অবস্থা ৭ বছর ধরে চলমান চরম বিদ্যুৎ সংকটের দেশে বিদ্যুতে পরিচালনার পরিকল্পনায় নির্মিতব্য মেট্রোরেল প্রজেক্টের কারণে। ১১ হাজার ৮৬০ কর্মঘণ্টা অপচয়ের সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ৫৪ রোগী দ্রুততম সময়ে হাসপাতালে পৌঁছাতে না পারায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেছেন। ভয়াবহ পরিবেশ দূষণের কারণে অসুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৫৬২ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রকল্পের মূল কাজ শুরু হয় ২০১৩ সালে। যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে সুচারুভাবে চলতি বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ না করা হয়; আগামী বছর বিআরটির সঙ্গে সঙ্গে মেট্রোরেল প্রজেক্টটি হবে ব্যস্ততম ঢাকায় মরার উপর খাঁড়ার ঘা। এই ২ প্রজেক্টের প্রতিটি পরিকল্পনাকারী এবং কর্তাদের উচিত প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের রূপরেখাকে সত্যিকার অর্থেই বাস্তবায়নের জন্য সতর্কতার সঙ্গে দ্রুত সময়ে কাজ সম্পন্ন করা।

শান্তা বলেন, মেট্রোরেল ও বিআরটি প্রকল্প চলাকালীন সময়ে এয়ারপোর্ট, উত্তরা, রামপুরা, বাড্ডা, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, মিরপুর, শাহবাগ, মহাখালী, গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, শ্যামলী, গাবতলী, সাতরাস্তা মোড়, মগবাজার, গুলিস্তান, পুরান ঢাকা, নিউ মার্কেট, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী এলাকায় বিশেষ টিম সার্বক্ষণিক সতকর্তার জন্য নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি। সঙ্গে রাজধানীতে ৩ কিলোমিটার অন্তর ‘পুলিশ বুথ’ স্থাপনের মাধ্যমে ধর্ষণ-খুন-নৈরাজ্য-ছিনতাই প্রতিহত করা সম্ভব।

এবি

Link copied!