আগস্ট ২৯, ২০২২, ০৪:৪৯ পিএম
১৪ দলের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে এবং আবারও এ দেশের মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। আবারও ১৪ দলীয় সরকার এ দেশে প্রতিষ্ঠিত হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন,শেখ হাসিনা এ দেশের মানুষের জন্য যা করণীয় তাদের অধিকার আদায়, উন্নয়নের স্বার্থ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত সব কাজই আস্তে আস্তে শেষ করে যাচ্ছেন। সেজন্যই বিএনপি জামায়াত স্বাধীনতা বিরোধীদের সহ্য হয়নি কোনোদিন। এর কারণেই তারা ২১ এ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। মানুষের অসীম দোয়ায় সেদিন আল্লাহ তাকে বাঁচিয়েছিলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, আমরা সবসময়ই রাজনৈতিকভাবে বিএনপি -জামায়াতকে পরাজিত করেছি,সামনের নির্বাচনেও পরাজিত করবো,ইনশাআল্লাহ ।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালে যারা গ্রেনেড হামলার মত নিকৃষ্ট কাজ করলো,হত্যাযজ্ঞ চালালো এরা এখন মিছিল -মিটিং, সমাবেশে মানবতার কথা বলে। আবার রাজনীতিও করছে তারা। তাদের মূল লক্ষ হচ্ছে সরকারকে উৎখাত করা। কারণ এ সরকার তাদের এত ক্ষতি করছে এটা তারা পূরণ করতে পারছে না। বঙ্গবন্ধু হত্যার মাধ্যমে তারা যে আসা পূরণ করতে চেয়েছিল তা তারা পূরণ করতে পারছেনা।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার,যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেন। মুক্তিযুদ্ধের যে মূল লক্ষ ছিল এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানো সেটিও পূরণ করেছেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য বীর বিক্রম মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, আমরা যখন মুক্তিযুদ্ধ করি, তখনই জিয়াউর রহমানরা কিন্তু স্বাধীনতার বিপক্ষে ভিতরে-ভিতরে কাজ করছিলেন। তারা পাকিস্তানের এজেন্ট হিসাবে মুক্তিযুদ্ধে ঘাপটি মারা অবস্থায় ছিলেন। বিএনপির সাথে জামাতের জোট ছাড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি রে তালাক দিয়া একজন গেছেগা। হেগো নাম আমি মুখে আনতে চাই না।
বিএনপি নালিশি দল উল্লেখ করে মায়া বলেন, বিএনপি দলটা হলো নালিশি দল। যারা সকাল বিকাল শুধু পায়ে ধরে। আর ষড়যন্ত্র করে। মিথ্যা, ষড়যন্ত্র আর নালিশ হলো তাদের মূল কাজ। জনগণের কাছে তারা যায় না। তারা পল্টন ও নয়াপল্টন দুই জায়গায় বসে একই বক্তব্য দিতে থাকে। বলতে থাকে আওয়ামী লীগের ধ্বংস করতে হবে। এছাড়া আর কোন কথা তারা বলে না।
মোফজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হয়ে জিয়াউর রহমানরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করে। এরপরে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়। এ হত্যার মধ্যে দিয়ে, জিয়াউর রহমান তার হাতকে রক্তে রঞ্জিত করেছেন। এরপরও যখন তারা দেখলো তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে না, তখন তারা জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেল হত্যার সাথে সরাসরি জিয়াউর রহমান জড়িত।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া ও তার কুলাঙ্গার পুত্র তারেক রহমান শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। দেশের মানুষের দোয়ায় স্বয়ং আল্লাহ সেদিন শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়েছিলেন। কিন্তু আইভি আপাসহ ২২ জনকে সে দিন তারা হত্যা করেছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, জিয়া পরিবার হল খুনির পরিবার। সন্ত্রাসীর পরিবার। তাদের হাতে বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা আইভি আপাসহ অনেকের রক্তে রঞ্জিত। এরা যদি রাজনীতি থাকে তাহলে দেশকে আবার পিছনে নিয়ে যাবে। জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে হবে। তাহলে দেশে গুম, খুন , হত্যা রাজনীতি বন্ধ হবে।
অ্যাডভোকেট এস.কে সিকদারের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত বক্তব্য রাখেন, সাবেক শিল্পমন্ত্রী কমরেড দীলিপ বড়ুয়া,শাহাদাত হোসেন সহ কেন্দ্রীয় ১৪ দল ও পার্টির নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।
এবি