সেপ্টেম্বর ২, ২০২২, ১১:৩৪ এএম
চলতি বছরের আগস্টে ৩ হাজার ৭৫৭ টি সড়কপথ দুর্ঘটনায় ৬০৩ জনের প্রাণ ঝরেছে, আহত হয়েছে ২৯৯০ জন। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠন সেভ দ্য রোড।
২৬টি জাতীয় দৈনিক, বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত-প্রচারিত তথ্যর পাশাপাশি সারাদেশে সেভ দ্য রোড’র স্বেচ্ছাসেবীদের তথ্যানুসারে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
সংগঠনটির মহাসচিব শান্তা ফারজানা স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগস্ট মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৫০ শতাংশ শিশু-কিশোর ও তরুণ। যাদের বয়স ৭ থেকে ২৫ বছর এবং অধিকাংশই শিক্ষার্থী।
বাকিদের মধ্যে ২০ শতাংশ বৃদ্ধ, যাদের বয়স ষাটোর্ধ্ব। বাকি ৩০ শতাংশের বয়স ২৫ থেকে ৬০ বছর। আগস্টে ঘটা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৬০ শতাংশই ঘটেছে বাইকলেন না থাকা এবং সড়কপথের বেহাল দশার কারণে।
খানা খন্দক, বিশ্রাম ব্যতিত একটানা পরিবহণ চালানোসহ বিভিন্ন ৮৯৬ টি বাস দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ৯১৮ জন এবং নিহত হয়েছেন ২৫৫ জন; পাড়া-মহল্লা-মহাসড়কে অসাবধানতার সাথে চলাচলের কারণে লড়ি-পিকআপ-নসিমন-করিমন-ব্যাটারি চালিত রিক্সা-সাইকেল ও সিএনজি দুর্ঘটনা ঘটেছে ৯৬০ টি আহত হয়েছে ৭৬২ জন এবং ১৮৮ জন নিহত হয়েছে।
এছাড়াও ১ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নৌপথ দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৫৫ টি। আহত ৩৭৭ জন, নিহত হয়েছে ১৫ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন ৩৪ জন রেলপথ দুর্ঘটনা ১৬৬ টি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ১৭৪ জন এবং নিহত হয়েছে ১৯ জন। আকাশপথে কোন দুর্ঘটনা না ঘটলেও বিমানবন্দরে চরম অব্যবস্থাপনার কারণে শারিরীকভাবে অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৪ জন।
সেভ দ্য রোড-এর চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম, প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, মহাসচিব শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, জিয়াউর রহমান জিয়া, আইয়ুব রানা, ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিল-এর সহ-সভাপতি আনজুমান আরা শিল্পীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে আগস্ট মাসের এই প্রতিবেদনে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি আলোচ্য তা হলো- বাইক লেন না থাকার পাশপাশি সড়কপথের বেহাল দশায় সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা যেমন বেড়েছে, বেড়েছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও।
এছাড়াও ১ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নৌপথে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৫৫টি। এসব দুর্ঘটনায় ৩৭৭ আহত, ১৫ জন নিহত ও ৩৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
আলোচ্য সময়ে রেলপথ দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৬৬টি। এতে আহত হয়েছেন ১৭৪ জন এবং নিহত হয়েছেন ১৯ জন। এ সময়ে আকাশপথে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলেও বিমানবন্দরে চরম অব্যবস্থাপনার কারণে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৪ জন।
আগস্ট মাসের এই প্রতিবেদনে বাইকলেন না থাকার পাশপাশি সড়কপথের বেহাল দশায় সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার বাড়ার তথ্য উঠে এসেছে। পাশাপাশি এ সময়ে বেড়েছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও।
টিএইচ