Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪,

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে প্রথম সাড়া দিয়েছিল পুলিশ: ডিআইজি হাবিব

মো. মাসুম বিল্লাহ

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২, ০৯:২৭ পিএম


বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে প্রথম সাড়া দিয়েছিল পুলিশ: ডিআইজি হাবিব

স্বাধীনতার পক্ষে প্রথম বুলেটটি ছুড়েছিল পুলিশ, জীবনও দিয়েছিল পুলিশ। স্বাধীনতা যুদ্ধে পুলিশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। সেটিতে প্রথম সাড়া দিয়েছিল বাংলাদেশ পুলিশ এমনটাই বলেছেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান।

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ শীর্ষক গ্রন্থের পাঠ উন্মোচন উৎসব অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। পাঞ্জেরি পাবলিকেশন লি. এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।

অনুষ্ঠানে ডিআইজি হাবিবুর রহমান বলেন, পুলিশে যোগ দেয়ার পর আমার ইচ্ছে হয়েছিল বাহিনীর ইতিহাস জানতে। তখন দেখেছি, পুলিশের একটি গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। বিশেষ করে পাকিস্তান আমলেও বাঙালি পুলিশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সহযোগিতা করেছে। আমাদের গবেষণায় উঠে এসেছে, পুলিশের প্রতি বঙ্গবন্ধুর আস্থা, বিশ্বাস বেশি ছিল।

 তিনি (বঙ্গবন্ধু) যখন বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে যেতেন, সেখানে বর্তমান এসবি পুলিশ (তৎকালীন ডিআইবি পুলিশ) তাকে সহযোগিতা করত। পেশাগত কাজের ফাঁক ফোকর দিয়েও সহযোগিতা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিশ্লেষণ করলেও দেখা যাবে, অনেকগুলো দিকে পুলিশ এগিয়ে আছে। পুলিশের ওয়্যারলেস মেসেজের মাধ্যমেই জানা যায়, স্বাধীনতা যুদ্ধের বুলেট দিয়ে জবাব দিয়েছে এই বাহিনী। যে খবর সারাদেশে পৌঁছে যায়।

‍‍`মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ‍‍` বইয়ের বরাত দিয়ে ডিআইজি হাবিব বলেন, ‍‍`স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি দলিলে এক ভারতীয় নাগরিকের জবানিতে পাওয়া গেছে, ২৫ মার্চ রাত্রে পাক সেনারা একমাত্র রাজারবাগ পুলিশ লাইন ছাড়া আর কোনো জায়গা থেকে প্রতিরোধ পায়নি। তাছাড়া তৎকালীন আরেকজন সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল আবু তাহের সালাউদ্দিন তার বইয়ে লিখেছেন, ‘যুদ্ধে যখন পাকিস্তানি বাহিনী কোনো রকম জয়লাভ করতে পারছিল না, তখন ভোর ছয়টার সময় ট্যাঙ্ক নিয়ে আক্রমণ চালায়। কারণ পুলিশ থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল দিয়ে প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছিল।’

যতদিন বাংলার মানুষ থাকবে ততোদিন এই রাজারবাগের  ইতিহাস স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের যুদ্ধে পুলিশের অবদান নিয়ে তেমন কোনো লেখা দেখা যায় না। এ কারণে রাজারবাগের ইতিহাস নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। অনুজ যেসব অফিসার আসবেন, তারা যেন সঠিক ইতিহাস আরও তুলে আনেন।

গ্রন্থের পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত চিত্রকর, র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) কামরুল আহসান, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি এসএম রুহুল আমিন, অতিরিক্ত আইজিপি আতিকুল ইসলাম, ভাস্কর ও রেডিও শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার, কথাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ সংগঠক ও নাট্যজন অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী প্রমুখ।

Link copied!