নোয়াখালী প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২, ০৭:২৫ পিএম
নোয়াখালী প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২, ০৭:২৫ পিএম
নোয়াখালী সদরে এতিম শিশু ভাতিজার দোকান ঘর ও সম্পত্তি আপন চাচা দেলোয়ার হোসেন কর্তৃক অবৈধভাবে দখলের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিশুর মা নাজমা আক্তার।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রতিকার চেয়ে আপন দেবরসহ ৩জন কে অভিযুক্ত করে সুধারাম মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে এতিম শিশুর মা নাজমা আক্তার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের চুলডগির হাবিব উল্যাহ খলিফার বাড়ীর মৃত সৈয়দ আহাম্মদ ৩টি স্ত্রী ছিল। প্রত্যেক স্ত্রীর সংসারে সন্তান আছে। দৈয়দ আহম্মদের প্রথম স্ত্রীর ছেলে ইকবাল হোসেন সবার বড় ছেলে ছিল, সে জীবিকার তাগিদে প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশে এসে বাবা সৈয়দ আহম্মদের নির্দেশে স্হানীয় সৈয়দ আহম্মদ নামীয় মার্কেটে ২টি দোকানঘর নির্মিণ করে একটিতে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্হা করতো ও পাশাপাশি ব্রিকফিল্ডে মাঝি হিসেবে লেবার সরবরাহ করতো, ব্রিক ফিল্ডে কাজে গেলে তখন ব্যবসাটি চাচা বাচ্ছু মিয়া ব্যবসাটি পরিচালনা করতো।হঠাৎ ইকবাল হোসেন ২০১৬ইং ব্রিক ফিল্ডে মারা যায়। ১নং অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেনের যোগসাজসে অপরাপর অভিযুক্তরা মৃত ইকবাল হোসেনের ব্রিক ফিল্ড থেকে পাওয়া প্রায় ৭লক্ষ্য ৪৫ হাজার টাকা আদায় করে সুকৌশলে আত্মসাত করে। এবং একটি দোকান ঘরও নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মৃত শুশুর সৈয়দ আহম্মদের চাকুরীর ওয়ারিশি অংশের টাকা আত্মসাত করার পায়তারা করে ব্যর্থ হয়ে আপন শিশু ভাতিজা নুরুল হুদার সাগরের নামে পাওয়া ভাড়া দেওয়া দোকান ঘরে তালা ঝুলিয়ে ভাড়াটিয়ার প্রায় ৫লক্ষ টাকার মালামাল ক্ষতি সাধন এবং দোকান ঘরটি দখলের অপচেষ্টা করছে বলে জানা যায়।
অপরদিকে ২নং অভিযুক্ত বাচ্ছু মিয়া ইকবাল হোসেনের ব্যবসাটি পরিচালনা করতো এবং মৃত্যুর পর দেবর মনির হোসেন দোকানের ব্যবসাটি পরিচালনা করে।
এ সুযোগে ২নং অভিযুক্ত চাচা বাচ্ছু মিয়া ও ৩নং অবিযুক্ত মনির হোসেনের যোগসাজসে ব্যবসার ১২/১৩ লাখ টাকার মালামালসহ পাওনা টাকার কোন খাতাপত্র ও আসবাবপত্র ইকবালের পরিবার কে ফেরত দেয় নাই। উল্টো ইকবাল এবং শুশুর সৈয়দ আহম্মদ দেনা আছে বলে উভয়ে শুশুরের চাকুরীর ওয়ারিশি টাকা ও মৃত স্বামী ইকবাল হোসেনের দোকান ও সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ করে নাজমা।
সরেজমিনে গেলে অভিযুক্ত বাচ্ছু মিয়া বলেন, নাজমার স্বামী অনেক টাকা দেনা রেখে মারা যায়,তাই দোকান ও ব্রিক ফিল্ড থেকে যা পেয়েছি তা ইকবালের দেনা দিয়েছি এবং সৈয়দ আহম্মদের ও অনেক দেনা আছে। কিন্তু বাতিজা বৌ টাকার ভাগ নিতে রাজী দেনা দিতে রাজি হয় না। আমরা সত্য বলাতে আমাদের নামে অভিযোগ।
দোকান ঘর দখলের বিষয়ে স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাহাদাত উল্যাহ সেলিম বলেন, দোকান ঘরের তালার লাগানোর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিযয়টি আমি অবগত আছি, এদের এখানে অনেক ঝামেলা আছে। তারপরও আমি দোকানের তালা খুলে দিতে বলেছি, তারা বলেছে আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছি, যা করবে থানায় করবে।
অভিযোগের বিষয়ে সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করে আইনি ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
কেএস