Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

‘ঘূর্ণিঝড়টি আম্পানের মতো শক্তিশালী হতে পারে’

মো. মাসুম বিল্লাহ

অক্টোবর ১২, ২০২২, ০৬:১৮ পিএম


‘ঘূর্ণিঝড়টি আম্পানের মতো শক্তিশালী হতে পারে’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেছেন, চলতি মাসের শেষের দিকে বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির বার্তা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা এ বিষয়ে সতর্ক আছি।

বুধবার (১২ অক্টোবর) সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

আগামী সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে বলে আলোচনা আছে- এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমেরিকার গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম বা জিএফএস বার্তাটি দিয়েছে। আমরা বার্তাটি পেয়েছি। তারা বলেছে, ১৭ তারিখে (অক্টোবর) একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হবে। যেটা পরবর্তী সময়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঝড় হবে, সেটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ হয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও আমাদের সুন্দরবনের কিছু অংশে আঘাত হানতে পারে। এটি আম্পানের মতো সুপার সাইক্লোনে রূপান্তরিত হতে পারে।

তিনি বলেন, কিন্তু আমাদের আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, তারা এটার ওপর নজর রাখছেন। এখন পর্যন্ত সেই ধরনের কোনো আশঙ্কার কথা তারা আমাদের জানাননি। তারা বলেছেন, এটি আরও পর্যবেক্ষেণ করতে হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ও লঘুচাপ এখনও সৃষ্টি হয়নি।

‘আমরা বিষয়টি নজরদারিতে রেখেছি। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। তিনিও এটা নজরদারিতে রাখতে বলেছেন। ঝড়টি সৃষ্টি হলে এর নাম হবে সিত্রাং। এটি থাইল্যান্ডের দেয়া নাম,’ যোগ করেন তিনি।

এনামুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন, আমরা সতর্ক আছি। আমাদের আবহাওয়া দফতর জাপান ও ভারতের আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে। সিদ্ধান্ত আসলে, আগাম প্রস্তুতির বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করব। কিন্তু আজকের দিন পর্যন্ত কোনো নিম্নচাপ বা লঘুচাপের তথ্য আমরা পাইনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মাঠ প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে এ বার্তাটি পৌঁছে গেছে, তারা প্রস্তুত আছে। সাধারণত নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার পর আমরা প্রস্তুতিমূলক কাজ করতে থাকি। ঘূর্ণিঝড় হলে এর মাত্রা বুঝে যখন মহাবিপদ সংকেত হবে ওই সময় মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসব।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এর আগে আমাদের কাজ হলো স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত করা। সতর্কবার্তা পৌঁছে দেয়া ও আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা এবং আশ্রয় কেন্দ্রের পথ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে কাজ করা। আশ্রয় কেন্দ্রে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে চাল, শুকনো খাবার, সুপেয় পানি ও নগদ টাকা পৌঁছে দেব।’

এবি

Link copied!